বিদেশি ব্যাঙ্কের ঋণের টোপ দিয়ে টাকা হাতাতে গিয়েছে দুর্গাপুরে ধরা পড়েছে দু’জন। শুক্রবার রাতে সিটি সেন্টার এলাকার একটি দোকান থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ তাদের ধরে।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের এক জনের নাম দেবাশিস রায়, বাড়ি চন্দননগরে। অন্য জন ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ ভর। আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদবের দাবি, “জেরায় ধৃতেরা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। দলের পাণ্ডার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রায়ই বিভিন্ন মোবাইলে লটারি জেতা বা বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার টোপ দিয়ে এসএমএস আসে। কেউ ফাঁদে পা দিলেই ‘প্রসেসিং ফি’ বাবদ নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কয়েক হাজার টাকা জমা দিতে বলা হয়। এর পরে দফায়-দফায় ‘ফি’ চাওয়া চলতেই থাকে। অনেকেই এই ফাঁদে পা দিয়ে টাকা খুইয়েছেন। বছরখানেক আগে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে বেশ কয়েক জনের সর্বস্ব খোওয়াও গিয়েছিল।
মাসখানেক আগে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের কম্পিউটার বিক্রেতা বুদ্ধদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ইংলন্ডের একটি ব্যাঙ্ক থেকে দেড়শো কোটি টাকা ঋণের এসএমএস পেয়ে ইন্টারনেটে খোঁজ করেন। বেশ কিছু দিন ধরেই একটি বিএড কলেজ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। কিন্তু ইন্টারনেট সূত্রে জানা যায়, বছর তিনেক আগেই ওই ব্যাঙ্ক লাটে উঠেছে। তিনি পুলিশকে বিষয়টি জানান। শুক্রবার সন্ধ্যায় দু’জন বুদ্ধদেববাবুর দোকানে এসে কোনও কাগজপত্র ছাড়াই ‘প্রসেসিং ফি’ বাবদ ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা চায়। পুলিশ তাদের পাকড়াও করে।
পুলিশের দাবি, আগে তারা বিভিন্ন সংস্থায় বিপণনের কাজ করত বলে জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে। বর্তমানে তারা কর্মহীন। জুলফিকর হাসান নামে কলকাতার এক বাসিন্দার তত্ত্বাবধানে মোবাইল গ্রাহকদের এই ধরনের এসএমএস পাঠানো হয় বলেও দাবি করেছে তারা। এডিসিপি (পূর্ব) জানান, চক্রটি এর আগে শিলিগুড়ির দুই মোবাইল গ্রাহকের থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা করে হাতিয়েছে। কিন্তু তাঁরা কেউই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি। দুর্গাপুরের কম্পিউটার দোকানির পরে আসানসোলের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাদের নজরে ছিল বলেও পুলিশের দাবি। |