|
পিঁপড়ে হাই তোলে, সত্যি |
অবিশ্বাস্যের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। অতএব থাকল কিছু আজব ঘটনা, আর সঙ্গে কিছু উদ্ভট খবর।
|
১৩৮৬ সালে ফ্রান্সে একটি শিশুকে মেরে ফেলার অপরাধে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় একটা শুয়োরকে। বিচারটাকে জনতার গ্রহণযোগ্য করার জন্য শুয়োরটাকে মানুষের মতো জামাকাপড় পরিয়ে, গোটা আইনি ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, এমনকী ধরিয়ে দেওয়া হয় আইনি চিঠিও। |
|
|
পৃথিবীর তাবৎ মানুষের হাতের আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট যে স্বতন্ত্র ও আলাদা, সে তো জানা কথা। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের জিহ্বার ছাপও যে ইউনিক, তা জানেন কি? |
|
|
ভেবেছেন আড়মোড়া ভাঙাটা কেবল মানুষের
একচেটিয়া? পিঁপড়েরাও ঘুম থেকে জেগে
শরীরটা টানটান করে নেয় খানিক। এমনকী,
দিনের কাজে নামার আগে ঠিক মানুষের
মতোই হাই তুলে নেয় একবার। |
|
|
|
উপন্যাসের কোনও চরিত্রকে মনে রেখে একটা গোটা শহর যে উৎসবে মাততে পারে, তার প্রমাণ আয়ারল্যান্ডের
ডাবলিনে ব্লুমস ডে সেলিব্রেশন। জেমস জয়েসের নন্দিত উপন্যাস ‘ইউলিসিস’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্র লিওপোল্ড ব্লুম-এর
স্মরণে ফি-বছর ১৬ জুন শহর জুড়ে চলে মাতামাতি। উপন্যাসে বর্ণিত ব্লুম-এর সে দিনকার রোজনামচা ধরে সবাই
চলে-ফেরে ইউলিসিস রুটে। পাব-লাইব্রেরি-হাসপাতালও বাদ যায় না উৎসবের রোশনাই থেকে। |
|
|
জিয়াং ইয়ুনলং, জিয়াং ইয়ুনশিয়াও, জিয়াং ইয়ুনহান, জিয়াং ইয়ুনলিন। গুলিয়ে যাচ্ছে তো? সকলেরই যায়, এমনকী ওদের মা-বাবারও। দক্ষিণ চিনের শেনঝেন শহরের ছ’বছর বয়সী এই চার ভাইয়ের জন্ম একসঙ্গে, এবং তাদের দেখতে হুবহু এক। এক ভাই দুষ্টুমি করলে আর এক ভাই শাস্তি পেয়েছে, এ রকম তো কত বার ঘটেছে! স্কুলে মাস্টারমশাই, দিদিমণিরাও নাজেহাল। তো, ঠেকায় পড়লে বুদ্ধি বেরোয়, আর বুদ্ধি থাকলেই উপায় হয়। শেষ পর্যন্ত উপায় বের করেছেন বাবা-মা। চার জনের চুল কাটিয়েছেন এমন ভাবে যে এক এক জনের মাথায় এক একটি সংখ্যা ১, ২, ৩, ৪। চুলের অক্ষরে লেখা, দিব্যি ফুটে উঠেছে। ব্যস্, আর কোনও গোল নেই, চুল দিয়ে যায় চেনা। নিয়মিত চুলের কেয়ারি না করলে অবশ্য নবকেশোদ্গমে শিশুদের আইডেনটিটি ঢাকা পড়ে যাবে। |
|
|
চার হাজার বছর আগের ব্যাবিলনে মেয়ের বিয়ে দেওয়া বাবা
তার জামাইকে বিয়ের পর গোটা এক মাস জামাইয়ের ইচ্ছেমতো
‘মিড্’ (মধু মেশানো বিয়ার)-এর জোগান দিতে বাধ্য থাকতেন।
চান্দ্র-ক্যালেন্ডার অনুসারে ওই মাসটাকে বলা হত ‘হানি মান্থ’।
সেখান থেকেই এসেছে আজকের ‘হানিমুন’ বা মধুচন্দ্রিমা। |
|
|
|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া প্রদেশের অগস্টা শহরে একটি হাসপাতালের গবেষণাগারে টেকনিশিয়ানের কাজ
করেন কোলি ওনিল মিচেল। সম্প্রতি এক সোমবার সকালবেলায় তাঁকে অর্ধনগ্ন এবং অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে
গবেষণাগারে। তিনি নাকি সারা রাত প্রচুর ড্রিঙ্ক করেছেন এবং ওই ল্যাবরেটরিতে রাখা দুটি বাঁদরের সঙ্গে তুমুল পার্টি
করেছেন। উইকএন্ডে বাঁদর দুটিকে খাঁচা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। বেচারি মিচেল, তারও সঙ্গীর অভাব হয়েছিল
নিশ্চয়ই। হাসপাতালের চিকিৎসকরা বাঁদর দুটিকে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, তাদের কোনও ক্ষতি হয়নি,
তারা হইহুল্লোড় করে নিজের খাঁচায় ফিরে গেছে। হাসপাতালের কর্তারা বলেছেন, মিচেলের আচরণ নিন্দনীয়।
বাঁদর দুটি সম্পর্কে অবশ্য তাঁরা কিছু বলেননি। |
|
|
|
২০০১ সালে হরিয়ানার এক গ্রামবাসী গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে একটি
মোষ কিনেছিলেন। পনেরো হাজার টাকার বিমাও ছিল মোষটির জন্য। কয়েক
মাস পরে সে মারা যায়। ব্যাঙ্ক বিমার টাকা দেয় না। মামলা চলে দশ বছরের
বেশি। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছে, ওই গ্রামবাসীকে
পঁচিশ হাজার টাকার বেশি মিটিয়ে দিতে হবে বিমা প্লাস ক্ষতিপূরণ।
অবান্তর মামলা সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য বিচারকদের
কাছে কড়া বকুনি খেয়েছেন ব্যাঙ্কের কর্তারা। স্বভাব যাবে কি? |
|
|
অদূরে পিতৃপক্ষ। সারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী মানুষ গয়ায়
পিণ্ডদানের জন সমবেত হবেন। শৌচালয় পরিষ্কার করা এক বিরাট কাজ।
সরকারি অফিস থেকে কলেজে কলেজে নির্দেশ গিয়েছে, সাফাইকর্মীদের সঙ্গে
কলেজের শিক্ষকদেরও ওই ক’দিন হাত লাগাতে হবে। শিক্ষকরা এমন হুকুমের
কথা শুনে তুমুল রেগে গেছেন। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এখন কর্তারা বলছেন,
ছি ছি, মস্ত ভুল হয়ে গেছে, তাঁরা আসলে বলতে চেয়েছিলেন, সাফাইয়ের কাজ
তদারকি করতে শিক্ষকদের সাহায্য চাই। অর্ডার প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
মাও জে দংয়ের চিনে অবশ্য এমন নির্দেশকে সাংস্কৃতিক বিপ্লব বলা হত। |
|
|
|