কেন্দ্রের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু যথেষ্ট টাকা দেওয়া হলেও বহু ক্ষেত্রেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের গতি এতটাই শ্লথ যে তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সুন্দরবন এলাকার মানুষ। বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে এ ভাবেই রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন বলে জানান। পাশাপাশি সীমান্ত রক্ষায় বিএসএফের হাতে আরও আধুনিক সরঞ্জাম তুলে দেওয়ার কথা জানান তিনি। |
হাসনাবাদে বিএসএফ ক্যাম্পে মন্ত্রী (মাঝখানে)। ছবি: নির্মল বসু। |
এ দিন হাসনাবাদে সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের আইজি সঞ্জয় কুণ্ডু, রাজ্যে বিএসএফের এডিজি বিডি শর্মা, আইজি আর কে পুনত, ডিআইজি রাজেশ গুপ্ত এবং ১৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডান্ট সঞ্জয় মুকুল কিসপোটার। এ ছাড়াও ছিলেন এডিএম রণবীর কুমার, বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল, টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।
বুধবার সন্ধ্যায় সন্দেশখালির ধামাখালিতে পৌঁছন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। সেখান থেকে স্পিড বোটে করে যান গভীর জঙ্গলের পাশে টি পয়েন্টে। বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের বুড়িরডাবরি ও কাটুয়াঝুরি যান। পরিদর্শন করেন বিএসএফের বিভিন্ন সীমান্ত চৌকি। কথা বলেন জওয়ানদের সঙ্গে। এ দিন মন্ত্রীকে স্থানীয় মানুষের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সেখানে গরু পাচার ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ বন্ধের দাবি জানানো হয়। মন্ত্রী বলেন, “সীমান্তে গরু পাচার বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট পঞ্চয়েতকে এগিয়ে আসতে হবে। গ্রামবাসীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাচারের খবর জানাতে হবে বিএসএফ এবং পুলিশকে।” এ প্রসঙ্গে বিডি শর্মা বলেন, “সীমান্ত সুরক্ষায় পশ্চিমবঙ্গে ৫০ হাজার বিএসএফ জওয়ান মোতায়েন রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ সহযোগিতা না করলে বিএসএফ বা পুলিশের পক্ষে গরু পাচার আটকানো সম্ভব নয়।” |