বিস্ফোরণ-কাণ্ডে মিলল আরও একজনের দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
রামপুরহাট থানার বগটুই গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও এক জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বগটুইয়ের পাশের গ্রাম কুমাড্ডায় একটি কাঁদর থেকে সাফাতুল ওরফে ছোট শেখ (১৮) নামে এক একাদশ শ্রেণির দেহটি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কুমাড্ডা গ্রামের বাসিন্দারা কাঁদরে দেহটি ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। রামপুরহাটের এসডিপিও দেবাশিস নন্দীর বাড়ি বগটুই গ্রামে জাতীয় সড়কেরা ধারে। বগটুই গ্রামে এই ঝামেলার সম্পর্কে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু বলেন, “এদিন যার দেহ উদ্ধার হয়েছে সে রামপুরহাটের একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তদন্ত চলছে।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোমা বাঁধার সময়ে বিস্ফোরণে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনার জেরে বুধবার বগটুই গ্রামে প্রাথমিক ও আপার প্রাথমিক স্কুল, দু’টি অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্র, শিশুশিক্ষাকেন্দ্র ও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার রাতে তদন্তে গিয়েছিলেন জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা এবং পরের দিন তদন্তে যান ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) বাসব তালুকদার। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ইতিমধ্যে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “এ দিন আরও একটি ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়েছে। বোমায় দেহটি পুড়ে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে বগটুই গ্রামের কাঁদরে দেহটি ভাসতে ভাসতে কুমাড্ডা গ্রামে গিয়ে পৌঁছয়। তবে আমরা গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।” |
চন্দন গাছ চুরি মামলায় খালাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী বাড়ি ‘মালঞ্চ’ থেকে চন্দন গাছ চুরি ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর এক প্রাক্তন আধিকারিক-সহ তিনজনকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত। সরকার পক্ষের আইনজীবী জয়ন্ত পণ্ডিত বলেন, “উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে বোলপুরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুতপা মল্লিক তিন অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন।” অভিযুক্তদের আইনজীবী সৈয়দ মহিউদ্দিন ও সৈয়দ শাহিদুল আরেফিন বলেন, “বিচারকের রায়ে আমরা খুশি। নিরপরাধীরা বেকসুর খালাস পেয়েছেন।” প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৫ জানুয়ারি বিশ্বভারতীর ‘মালঞ্চ’ বাড়ি থেকে একটি চন্দন গাছ চুরি যায়। সেই চুরির অভিযোগে ওই বছর ১৯ এপ্রিল বিশ্বভারতীর রন্ধনকর্মী শেখ আখতার নবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁর ছেলে শেখ আফরোজকেও গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরই ১৪ অক্টোবর চুরির ঘটনায় উদ্যান বিভাগের তৎকালীন অধ্যক্ষ অভয় মহাপাত্র আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। চন্দন গাছ চুরির ঘটনায় উদ্যান বিভাগের অধ্যক্ষ-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়। পুলিশের দাবি ছিল, শেখ আখতার নবিকে জেরা করেই শ্রীনিকেতন কালীসায়র পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় চন্দন গাছ। কিন্তু এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকেই বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন বিচারক সুতপা মল্লিক। |
কাকা খুনে ভাইপো-সহ ৫ জনের কারাদণ্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
কাকা খুনে ভাইপো-সহ ৫ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালত। সরকার পক্ষের আইনজীবী ভাস্কর ঘোষ বলেন, “বুধবার এই মামলায় বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহ নিহতের এক ভাইপো-সহ পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার খুনের দায়ে প্রত্যেককে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি খুনের উদ্দেশ্যে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জড়ো হওয়া, দাঙ্গা বাধানোর দায়ে প্রত্যেককে দু’বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস সশ্রম কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়বে। সমস্ত সাজা একসঙ্গে চলবে।” জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের ২৮ মার্চ খুন হয়েছিলেন নানুর থানার চিত্তগ্রামের বাসিন্দা অম্বুজাক্ষ দাস। অভিযোগ, খামের ঢুকে তাদের গোরু খড় খেয়ে নিচ্ছে এই অভিযোগ জানাতে খুড়তুতো ভাইপোর কাছে গিয়েছিলেন অম্বুজাক্ষবাবু। ওই ঘটনায় ভাইপো ভরত দাস তাঁর সঙ্গে বচসা শুরু করে। ওই বচসাকে ঘিরেই ভরত দাস ও তার চার সাঙ্গোপাঙ্গো মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাকা অম্বুজাক্ষ দাসকে কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। ভরতদের বাধা দিতে গিয়ে আহত হন অম্বুজাক্ষবাবুর স্ত্রী উষা দাস ও ছেলে কৃষ্ণ দাস। ওই দিনই নিহতের পুত্রবধূ বৈশাখী দাস নানুর থানায় ভরত দাস-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার দিন চারেকের মধ্যেই ধরা পড়ে প্রত্যেক অভিযুক্তই। এই মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। |
প্রতিবাদ সভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ। বন্ধ অটো। —নিজস্ব চিত্র। |
পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্রের বক্তব্যের প্রতিবাদে অটো রিকশা, ট্রেকার মালিক ও কর্মীরা প্রতিবাদ সভা করলেন রামপুরহাট স্টেশনের কাছে। গত ১ সেপ্টেম্বর মদন মিত্র তারাপীঠে এসে বলেছিলেন, “রামপুরহাট-তারাপীঠ ৯ কিলোমিটার রাস্তার ভাড়া ৩০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটা অনেক বেশি। প্রয়োজনে আমি সরকারি বাস চালাব।” এই বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রায় ২০০ জন কর্মী ও মালিক এ দিন সকাল ৮টা-১০টা পর্যন্ত কোনও অটো বা ট্রেকার চালাননি। অটো রিকশা মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল রেকিব বলেন, “এটা আমাদের প্রতীকী প্রতিবাদ। আজ, শুক্রবার রামপুরহাটের এসডিও অটো নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন। কোনও সুরাহা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “এ দিন তাঁরা অটো রিকশা ও ট্রেকার কিছুক্ষণ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ সভা করেছেন সে ব্যাপারে জানা ছিল না। আজ শুক্রবার ভাড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক ডেকেছি।” |
সচেতনতা শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
কিষান ক্রেডিট কার্ড কী, কীভাবে একজন চাষি ওই কার্ডের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের জন্য এবং স্বল্প সুদে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেতে পারেন বা তা পেতে হলে একজন কৃষককে কী কী করতে হবে--এই সব বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে ব্লক প্রশাসনের সহযোগিতায় ও কৃষি দফতরের উদ্যোগে দুবরাজপুরের প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত এলাকায় শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই শিবির চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দুবরাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ আধিকারিক গোঁসাইদাস বিশ্বাস বলেন, “দুবরাজপুর ব্লকের পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ১২০০০ চাষির কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে এলাকার মোট (রাষ্ট্রায়ত্ত ও গ্রামীণ ব্যাঙ্ক) ১০টি ব্যাঙ্কের কাছে পাঠানো হলেও যে সব চাষিরা কার্ড পেয়েছেন তাঁদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য নয়। এই ফারাকটা দূর করতে এবং আরও বেশি সংখ্যক চাষির হতে ওই কার্ড তুলে দিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি ও চাষিদের সঙ্গে নিয়ে এই শিবিরগুলি চালানো হচ্ছে।” |
বাজ পড়ে মৃত ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর ও খয়রাশোল |
বাজ পড়ে মৃত্যু হল দু’জনের। মৃতেরা হলেন বোলপুরে মুলুক-গয়েসপুরের সুরজকুমার সিংহ (৩৮) ও খয়রাশোলের পেরুয়া গ্রামের সজল সূত্রধর (২৫)। বৃহস্পতিবার দু’টি ঘটনা ঘটেছে। |