সফল হল ইসরোর ১০০তম মহাকাশ অভিযান। আজ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে সকাল ৯টা ৫৩ নাগাদ মহাকাশ পাড়ি দিল পিএসএলভি-সি২১। আর ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানের একশো ছোঁয়ার সাক্ষী থাকলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
এ বারের অভিযান পুরোপুরি ‘বাণিজ্যিক’। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগে আরও দু’বার বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ করেছিল ইসরো। বাণিজ্যিক বলার একটাই কারণ, কোনও ভারতীয় উপগ্রহ নয়, পিএসএলভি-র সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে দুই বিদেশি কৃত্রিম উপগ্রহ। ফরাসি ‘স্পট ৬’ এবং জাপানের ‘প্রোইটেরেস’। মহাকাশের ‘আবর্জনার’ সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে পিসএলভি-র উৎক্ষেপণে মিনিট দুয়েক দেরি হয়ে যায়। তবে আর কোনও অসুবিধার মুখে পড়তে হয়নি ভারতীয় রকেটটিকে। ৯টা ৫৩ নাগাদ রওনা হয় পিএসএলভি। উৎক্ষেপণের ১৮ মিনিটের মধ্যেই নিজের নিজের কক্ষে পৌঁছে যায় কৃত্রিম উপগ্রহ দু’টি। |
ইসরোর একশো ছোঁয়ায় উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীও। গবেষণা কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমে বসে উৎক্ষেপণের প্রত্যেকটা ধাপ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন তিনি। বলেন, “দুর্দান্ত সাফল্য। ইসরোর প্রত্যেক সদস্যকে অভিনন্দন জানাই।”
শতকের পথে ৬২টি কৃত্রিম উপগ্রহ, একটি মডিউল (মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ মেরামতির বিশেষ যান) এবং ৩৭টি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে ইসরো। তাদের পথ চলা শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৯ এপ্রিল। সে দিন রাশিয়ান রকেটের পিঠে চেপে মহাকাশ পাড়ি দিয়েছিল ভারতের কৃত্রিম উপগ্রহ ‘আর্যভট্ট’।
ইসরোর পরবর্তী লক্ষ্য মঙ্গল। চেয়ারম্যান রাধাকৃষ্ণন বলেন, “মঙ্গল অভিযান নিয়ে কাজ চলছে জোরকদমে।” যদি সব কিছু পরিকল্পনামাফিক চলে ২০১৩-তেই যাত্রা শুরু করবে ‘মঙ্গলযান’। ইসরোর সব ‘কৌতূহল’ আপাতত তাকে ঘিরেই। |