শহরে ট্রাক নিয়ন্ত্রণে কড়া হবে পুরসভা

ধূপগুড়িতে সৌন্দর্যায়নের বিষয়টি পুরসভার ভাবা উচিত। ধূপগুড়িতে শুধুমাত্র কলেজে সুকান্ত ভট্টাচার্যের মূর্তি ছাড়া অন্যত্র মূর্তি বসানো হয়নি। শহরের বিভিন্ন স্থানে মনীষীর মূর্তি বসানো খুবই প্রয়োজন। শহরের ৭০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ছবি আঁকেন। বহু প্রতিভা শহরে থাকলেও তাদের সৃষ্টি শিল্পকর্ম শহরের মানুষের কাছে পরিচিত হচ্ছে না। চিত্র প্রদর্শনী কেন্দ্র না থাকায় আর্ট গ্যালারি তৈরি করা প্রয়োজন। পুরসভা একটু ভাবুক।
উদয় ভৌমিক,

শহর সেজে উঠুক সেই স্বপ্ন আমাদের রয়েছে। আমরাও মডেল পুরসভা গড়তে চাই। কিন্তু দৈনন্দিন সমস্যা মিটিয়ে সৌন্দর্যায়নে মন দিতে চাই।
প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার বন্ধ হয়নি। শহরেরর প্রায় প্রতিটি জায়গায় সুপারির প্রক্রিয়াকরণ করতে প্রচুর সালফার গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।
দীপ চৌধুরী,

ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে পথে নামব। সুপারির চাতালে গ্যাস প্রয়োগ বন্ধ করার বিষয়ে নাগরিক সচেতনতার মাধ্যমে এগোতে চাইছি। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করব। জনতাকে নিয়ে আমরা ধীরে ধীরে বিষয়টি নিয়ে এগোব।
কুমলাইকে বাঁচাতে কী ভাবা হচ্ছে?
অরিন্দম ভট্টাচার্য,

নদীর সৌন্দর্যায়নের জন্য পাড় বাঁধাই হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে কাজটি হবে। আশা করি দু-আড়াই বছরের মধ্যে কুমলাই নদী পুরোপুরি দূষণ মুক্ত হবে।
ধূপগুড়ি হাসপাতালে অনেক বেশি সংখ্যক প্রসূতিদের প্রসব করানো হয়। এই চাপ কমাতে মাতৃ সদন তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি শহরের অনেক পাড়ায় অবৈজ্ঞানিক ভাবে পথবাতি বসানো হয়েছে।
অভিজিৎ দে,

প্রসূতিদের জন্য মাতৃ সদন তৈরির ভাবনা রয়েছে। রাজ্য ধূপগুড়ি হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়নে ৫ কোটি বরাদ্দ করেছে। তা হলে প্রসূতিদের সমস্যা অনেকটা মিটবে বলে আশা করছি।
ধূপগুড়ি-ফালাকাটা রোডের ধারে নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে ওই রাস্তার পাশে জল জমে পথচলতি মানুষদের চলাফেরা করতে সমস্যা হয়। এ ছাড়া রেলওয়ে স্টেশন যাওয়ার রাস্তা অত্যন্ত খারাপ। বিকল্প রাস্তা প্রয়োজন। করের বোঝা কমাতে আপনারা কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন?
সঞ্জয় সরকার,
ছবি: রাজকুমার মোদক।

রাস্তাটি পূর্ত দফতরের। ওই রাস্তার ধারে হাই ড্রেন তৈরি করাটা খুব প্রয়োজন। তা নিয়ে পূর্ত বাস্তুকারের সঙ্গে কথা বলেছি। শহরের মধ্য দিয়ে বিকল্প রাস্তা হচ্ছে। একটি সেতুর কাজ হচ্ছে। সেতু তৈরি হলে খুব তাড়াতাড়ি স্টেশনে যাতায়াত করা যাবে। পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স পাঁচ থেকে সাত হাজার হওয়ার কথা। এত দিনে ট্রেড লাইসেন্স হয়েছে মাত্র ১১০০টি। আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার পরে পদক্ষেপ করছি। ফালাকাটা রোডে ডিভাইডার তৈরি করায় রাস্তাটি অপ্রশস্ত হয়েছে। পাশাপাশি বিভাজিকার দু পাশের ফেরিওয়ালারা বসায় যানজট বাড়ছে। ফুটপাতে যারা বসে ব্যবসা করছেন, তাদের নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়ার পাশাপাশি ধানা রোডে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করাটা প্রয়োজন।
দেবাশিস দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক,

বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। আলোচনা করে কী ভাবে ওই সমস্যা দূর করা যায় তা দেখা হচ্ছে।
স্থায়ী বাস স্ট্যান্ড না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যাত্রীদের জন্য শেডের ব্যবস্থা হয়নি। বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে দোকানের শেডের নীচে মাথা গুঁজতে হয়। শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই।
করিশমা সেন,

শ্মশানের পাশে স্থায়ী বাস স্ট্যান্ড তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেখানে বিদ্যুতের কাজ বাকি রয়েছে। পুরসভার নিজস্ব ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার না থাকায় পূর্ত দফতরের কাছে সাহায্য চেয়েছি। কাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি বাসস্ট্যান্ডটি চালু করতে পারব বলে আশা রাখি।
আলুর মরসুমে মালবাহী ট্রাক পাড়ার গলিতে দাড়িয়ে থাকে। অনেক সময় পাড়ায় ঢুকতে পারা যায় না। এ সমস্যা দূর করার জন্য পুরসভা কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? পাশাপাশি গত বছর বইমেলা হয়নি। আগামীতে বইমেলা করতে পুরসভা উদ্যোগী হবে?
অমিত কুমার দে,

আলু এখানকার অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি। প্রধান ব্যবসা। সেই সুবাদে আলুর মরসুমে প্রচুর ট্রাক শহরের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়ায়। গুদাম থেকে আলু ওঠে গাড়িতে। আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করব। শহরের ভেতর বড় ট্রাক ঢোকার সময় বেঁধে দিলে সমস্যা অনেকটা দূর হবে। বইমেলা যাতে হয় সেই ব্যাপারে চেষ্টা করা হবে। ধূপগুড়ি হাসপাতালে যাতায়াতের মুখে প্রচুর সংখ্যক ভ্যান রিক্শা দাঁড়িয়ে থাকে। হাসপাতালে ঢুকতে সমস্যা হয়। পুরসভা ব্যবস্থা নিক।
রেশমি চক্রবর্তী,

এই ব্যাপারে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধূপগুড়ি বাজারের ভেতর সাইকেল ও বাইক নিয়ে যাতায়ত নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন। শহরে সুইমিং পুলের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।
ঈপ্সিতা দে,

থানা রোডে পার্কিং-এর ব্যবস্থা করলে সাইকেল-বাইক চলাচল বন্ধ হবে। দুই নম্বর ওয়ার্ডে পুকুর আছে। সুইমিং পুল করা যেতে পারে। জেলা পরিষদের কমিউনিটি হলে নাটক করতে হলে প্রচুর টাকা কর দিতে হয়। ওই অঙ্কের টাকা ব্যয় করে নিয়মিত নাটক অনুষ্ঠিত হয় না। ধূপগুড়িতে কয়েকটি গ্রুপ থিয়েটার রয়েছে। পুরসভা কী ভাবছে?
পিনাকী সাহা,

হল ভাড়া ছাড় দেওয়া দরকার। নাট্যকর্মীদের সঙ্গে যৌথ ভাবে জেলা পরিষদে জানাতে হবে।
সামান্য বৃষ্টি হলে ওয়ার্ড গুলিতে জল জমে। এ নিয়ে কী ভাবছেন?
রত্না নন্দী,

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে প্রকল্প জমা দিয়েছি। টাকা যত দিন না আসে নালা সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছি।

(তথ্য সহায়তা: নিলয় দাস)



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.