ডাকঘর

রানি স্বর্ণময়ীর দান
গত ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সুদীপ আচার্যের লেখা ‘বিস্মরণে স্বর্ণকুমারী’ শীর্ষক পত্রের প্রেক্ষিতে এই চিঠি। তিনি রাজা কৃষ্ণনাথকে নিঃসন্তান ও পিকককে লেফটেন্যান্ট বলে উল্লেখ করেছেন। লোকমাতা স্বর্ণকুমারীর দান করা অর্থের যে পরিমাণগত তথ্য দিয়েছেন তাও যথার্থ নয়। ওই তথ্যগুলি সুদীপবাবু কোথায় পেয়েছেন জানালে সমৃদ্ধ হব। কৃষ্ণনাথ-স্বর্ণময়ীর দুই কন্যা ছিল। নাম লক্ষ্মী ও সরস্বতী। তিনি ছিলেন কলির অন্নপূর্ণা। মুর্শিদাবাদ থেকে লন্ডন, আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত তাঁর দানের ক্ষেত্র। সেই দানের তালিকার কয়েকটি উল্লেখ করা হল। চট্টগাম সেলর হোম নির্মাণে ৩০০০ টাকা, ভৈরব নদ সংস্কারে ১০০০ টাকা, নোটিভ হসপিটালে ৮০০০ টাকা, কলকাতা বেথুন স্কুলে ১৫০০ টাকা, মিল ম্যালি ম্যান প্রতিষ্ঠিত স্ত্রী বিদ্যালয়ে ১০০০০ টাকা, রংপুর হাইস্কুলে ৪০০০ টাকা, জিওলজিক্যাল উদ্যানে ১৪০০০ টাকা, মাদ্রাজ ফেমিন রিলিফ ফান্ডে ১০০০ টাকা, হিন্দু হস্টেল নির্মাণে ৪০০০ টাকা, আইরিস ফেমিন রিলিফ ফান্ডে ১০০০০ টাকা, আমেরিকান ফেমিন রিলিফ ফান্ডে ১০০০ টাকা, সেন্ট জেমস স্কুলে ৫০০ টাকা, সিমলা রিপন হাসপাতালে ২০০০ টাকা, ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফান্ডে ১০০০ টাকা, টেনেন্সি বিলের বিপক্ষে আন্দোলনে ৫০০ টাকা, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীদের হস্টেল নির্মাণে ১৫০০০০ টাকা, কেশব অ্যাকাডেমিতে ৫০০ টাকা, লন্ডন ইম্পিরায়াল জুবলি ইন্সটিটিউটে ৫০০০ টাকা, ডাফরিন মেমোরিয়াল ফান্ডে ৩০০০ টাকা। দার্জিলিং স্বাস্থ্য নিবাস নির্মাণে ৮০০০ টাকা, বহরমপুরে জলের কলের জন্য ১৫০০০০ টাকা, বহরমপুর কলেজে (বর্তমানে কৃষ্ণনাথ কলেজ) বার্ষিক নূন্যাধিক ২০ সহস্র মুদ্রা। শিক্ষা বিস্তারে ও সাধারণ হিতকর কাজে এ জাতীয় আসামান্য দানশীলতার জন্য ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দের স্বর্ণময়ী লাভ করেন ব্রিটিশ খেতাব। ১৮৭৮ সালের ১৪ অগস্ট প্রেসিডেন্সি বিভাগের কমিশনার এম বি পিকক ছোট লাটের প্রতিনিধি রূপে কাশিমবাজার রাজভবনে গিয়ে মহারানি স্বর্ণময়ীকে আর একটি উপাধি প্রদান করেন।


বাসুদেবপুর বাজার বেহাল
কমর্সূত্রে মুর্শিদাবাদ জেলার চাচণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসুদেবপুর বাজারে ১৬ বছর ধরে বাস করছি। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বাসুদেবপুর বাজারটি ঘনবসতিপূর্ণ। ওই বাজারে হাজার খানেক দোকান রয়েছে। রয়েছে সব্জির বড় ধরনের পাইকারি বাজার। কিন্তু ওই বাজারটি স্থানীয় পঞ্চায়েতের দ্বারা উপেক্ষিত। বাজারের ভিতরের রাস্তা, শৌচাগার ও নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা। অথচ ওই বাজার থেকে পঞ্চায়েতের আয় যথেষ্ট।
বিনোদন কেন্দ্র চাই
প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন শহর জিয়াগঞ্জ শিক্ষা-সংস্কৃতিতে এগিয়ে থাকা এক বিশেষ জনপদ। অনেক গুলি স্কুল, কলেজ, ক্লাব, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান থাকলেও কোনও সাংস্কৃতিক ভবন বা বিনোদন কেন্দ্র নেই। তাই শহরের কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে গেলে আয়োজকদের ভীষণ অসুবিধায় পড়তে হয়। অথচ নাট্যকার বিধায়ক ভট্টাচার্য, কীর্তনীয় রাধারানি দেবী, চিত্রশিল্পী ইন্দ্র দুগার প্রমুখের স্মৃতিধন্য এ শহর। জিয়াগঞ্জ লক্ষ্মী টকিজে অনেক দিন থেকে সিনেমা দেখানো বন্ধ। ফলে বর্তমানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে লক্ষ্মী টকিজ ব্যবহার করা হয়। হয় সরকারি ভাবে লক্ষ্মী টকিজ কিনে নিয়ে সেখান অত্যাধুনিক সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়া হোক, অথবা অন্য কোথাও পুরোপুরি নতুন ভাবে বিনোদন কেন্দ্র গড়া হোক।
সদর্থক ভূমিকা চাই
লালবাগ শহরে প্রবেশের জন্য ছোট ও বড় গাড়িগুলিকে কর দিতে হয়। ওই সব গাড়ির সওয়ারি পর্যটকদেরও পৃথক ভাবে মাথা পিছু কর দিতে হয়। কর আদায় করে পুরসভা। ছোট গাড়ি ৩০ টাকা, মাঝারি গাড়ি ৫০ টাকা, বাস ২০০ টাকা এবং যাত্রী পিছু ১০ টাকা। অথচ পার্কিং-এর কোনও ব্যবস্থা নেই। পার্কিং-এর জন্য আবার আলাদা টাকা লাগে। রাস্তাঘাট ঘিঞ্জি, অপরিস্কার ও অপ্রশস্ত। কর আদায় পুরসভার আয় বৃদ্ধি করতে পারে, কিন্তু ভ্রমণকারীদের খুশি করতে পারে না। পর্যটকদের সঠিক পরিষেবা দান থেকে হাজারদুয়ারির মতো ঐতিহাসিক স্থানকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হোক। পুরসভা সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করুক।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.