টুকরো খবর
ডেঙ্গি আক্রান্ত বেড়ে ৩২ পশ্চিমে
পশ্চিম মেদিনীপুরেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬। আর বৃহস্পতিবার তা বেড়ে হয়েছে ৩২। আক্রান্তরা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে জেলায় কারও মৃত্যু হয়নি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। মশা মারার জন্য দফতরের পক্ষ থেকেও তেল ও পাউডার ছড়ানো হচ্ছে।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত যে ৩২ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের চিকিৎসা চলছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, ৩ জন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, ১ জন হিজলি হাসপাতালে, ৭ জন শালবনি ব্লক হাসপাতালে, ১ জন ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে, ১ জন চাঁদড়ার দে- পাড়া হাসপাতালে, ৫ জন চন্দ্রকোনা রোডের দ্বারিগেড়িয়া হাসপাতালে। মেদিনীপুর শহরের নজরগঞ্জ এলাকার আকাশ বেগ নামে ৯ বছরের এক কিশোরও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। এদিকে, জেলায় অজানা জ্বর ও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দাবি করে বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, জেলার বিভিন্ন এলাকাতেই অজানা জ্বর ও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে চেষ্টা চালালেও তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ডেঙ্গি প্রতিরোধে অবিলম্বে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ না করা হলে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলবে। এবং তা জনজীবনে আতঙ্কের সৃষ্টি করতে পারে। স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য জানিয়েছে, পরিস্থিতির মোকাবিলায় যা যা করণীয়, তা করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষকে নানা ভাবে সচেতন করা হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন,“ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।”

বহির্বিভাগ বন্ধ আধঘণ্টা আগে
নির্দেশ না মেনে আধ ঘণ্টা আগে বন্ধ হয় জলপাইগুড়ি হাসপাতালের বর্হিবিভাগ। জেলা হাসপাতালগুলিতে কী ভাবে কাজ হবে হবে তা নিয়ে গত জুলাই মাসে স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশনামা প্রকাশ করে। তা অনুসারে, সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত বর্হিবিভাগে রোগীদের নাম নথিভুক্ত করা চলবে। রোগী দেখা হবে শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে। জলপাইগুড়ি হাসপাতালে দুটোর আগে বর্হিবিভাগ বন্ধ হয় বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ি সদর ও মালবাজার মহকুমা থেকে রোগীরা হাসপাতালে আসেন। কোচবিহারের হলদিবাড়ি ও মেখলিগঞ্জ থেকেও রোগীরা আসেন। দু’টাকার বিনিময়ে বিশেষজ্ঞ, প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসকদের দেখানো যায় বলে দরিদ্রের সংখ্যাই বেশি থাকে। এ বছরের ১৭ জানুয়ারি রাজ্য বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ১টা ৪৫ মিনিটে বর্হিবিভাগ তালাবন্ধ দরজা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সুপার ব্রজেশ্বর মজুমদারকে ডেকে সরকারি বিজ্ঞপ্তি মতো দুটো পর্যন্ত বর্হিবিভাগ খোলার নির্দেশ দেয় কমিটি। পরে কদিন ২টো পর্যন্ত খোলা থাকলেও ফের নিজের নিয়মেই ফিরে গিয়েছে বর্হিবিভাগ। সরকারি নির্দেশ প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার দাবি করেন, “এমন কোনও নির্দেশ আমার জানা নেই।”

মৃত্যু, আন্দোলন নার্সিংহোম বন্ধে
গাফিলতিতে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগে নার্সিংহোম বন্ধ করার দাবিতে আন্দোলনে নামল জনতা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের দেবীনগরের এক নার্সিংহোমে। পরে নার্সিংহোমের চিকিৎসক শান্তনু দাস ও নার্সদের একাংশের নামে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে দু’ঘণ্টা নার্সিংহোম চত্বরে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিজনেরা। নার্সিংহোমটি বন্ধ করে দেওয়ারও দাবি তোলা হয়। পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মৃতের নাম মজিফুর রহমান (৩২)। পেশায় গাড়ির ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তির বাড়ি মালদহ জেলার চাঁচল থানার শাউরগাছি এলাকায়। দুপুর দেড়টা নাগাদ নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। রায়গঞ্জ থানার আইসি সমীরকুমার পাল বলেন, “মৃতের পরিজনেরা মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ জানাননি। তা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” চিকিৎসক শান্তনুবাবু বলেন, “চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ সঠিক নয়। ওই রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল।” সোমবার রাতে মজিফুরকে চাঁচল হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকেরা রক্তপরীক্ষা করে জানিয়ে দেন, তাঁর রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু রয়েছে।

অজানা জ্বরে মহিলার মৃত্যু
অজানা জ্বরে ভুগে মৃত্যু হল এক মহিলার। বারাবনি থানার মনোহরবহাল গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার নাম ললিতা দেবী (৪২)। তাঁর স্বামী রামলক্ষ্মণ কেউট জানান, দিন সাতেক আগে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হন ওই মহিলা। কিন্তু সুস্থ না হওয়ায় বুধবার তাঁকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে পরিবারের লোকেরা রাজবাঁধের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান তিনি। পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসক মহিলার ডেঙ্গি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। যদিও সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় আসানসোল মহকুমা স্বাস্থ্য দফতর। মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক অরিতা সেন চট্টরাজ জানান, তাঁদের কাছে এ’বিষয়ে কোনও খবর নেই। তবে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে ওই মৃতার চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট তাঁর কাছে জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

‘অভিভাবকহীন’ হাসপাতাল
এক্সরে বিভাগের এক কর্মীকে বদলির নির্দেশের প্রতিবাদে তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত কর্মী সংগঠনের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন রঞ্জিত ভকত। বুধবার সিদ্ধান্তের কথা তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে কার্যত অভিভাবকহীন শিলিগুড়ি হাসপাতাল। রবিবার সুপার প্রদীপ সরকার অসুস্থ হয়ে পড়লে রঞ্জিতবাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে এক্স-রে বিভাগের ‘টেকনোলজিস্ট’ কৃষ্ণ ঘোষকে সেবক রোডের টিবি হাসপাতালে বদলির নির্দেশ দেন তিনি। বুধবার তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের শিলিগুড়ি হাসপাতাল শাখার সম্পাদক ওই কর্মীকে বদলির বিরোধিতায় সুপারের দফতরে গিয়ে তাঁকে ঘেরাও করেন ওই সদস্যরা। দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর ভৌমিক বলেন, “ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। এমন হলে তো কেউই দায়িত্ব নিতে চাইবেন না।”

চিকিৎসা শিবির
ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
ঠোঁট ও তালুতে বিকৃতি রয়েছে এমন পড়ুয়াদের বিনা ব্যয়ে চিকিৎসা করার কথা আগেই জানিয়েছিল সর্বশিক্ষা মিশন। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে ও কলকাতার ‘স্মাইল-ট্রেন টিম মেডিকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে’র তত্ত্বাবধানে ঝাড়গ্রামের ননীবালা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই সংক্রান্ত শনাক্তকরণ শিবির হল। শিবিরে ঝাড়গ্রাম মহকুমার ৬ মাস থেকে ১৮ বছর বয়সী ৫৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই ৫৫ জনকে কলকাতার হাসপাতালটিতে নিয়ে গিয়ে বিনা ব্যয়ে অস্ত্রোপচার করানো হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.