শহরের জঞ্জালে কুমলাই নদী দূষিত। নাব্যতা হারিয়েছে। ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির কাজ কতদূর?
কৃষ্ণ দেব, প্রধান শিক্ষক
ডাম্পিং গ্রাউন্ডটা সত্যিই বড় একটা সমস্যা। কোথাও ময়লা ফেলতে গেলে বাসিন্দা বাধা দিচ্ছেন। তা হলে ফেলা হবে কোথায়? স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলোচনায় সমস্যা দূর করার চেষ্টা হচ্ছে। বিজ্ঞানসম্মত ডাম্পিং গ্রাউন্ড হলে যে দূষণ ছড়ায় না তা বোঝানো হবে। আবর্জনা শহর থেকে দূরে ফেলা হবে।
জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রণাধীন সুরেশ দে স্মৃতি মার্কেট অপরিকল্পিত তৈরি হয়েছিল। দোতলায় মাছ বাজার থাকায় বরফ গলা মাছের জল দোতলার ছাদ চুঁইয়ে বাজারে ক্রেতাদের মাথায় এসে পড়ে। ব্যবসায়ীরা জেলা পরিষদ ও কর দিচ্ছেন। ১০ বছর ধরে নানা সমস্যায় ব্যবসায়ীরা জর্জরিত। পুরসভা কিছু করতে পারে না?
হিমাদ্রি সাহা, সম্পাদক, ফোসিড
|
যে হেতু বাজারটি জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে, তাই ইচ্ছে থাকলেও করতে পারছি না। আমরা বাজারের দায়িত্ব নিজেদের হাতে পেলে সমস্যা দূর করতে পারব। ওই বাজার পুরসভা যাতে পায় সে জন্য মহাকরণে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।
ধূপগুড়ি শ্মশানে পুরসভার তরফে পরিকাঠামো তৈরি হোক। জ্বালানি কাঠের সমস্যা অনেক দিনের। এ ছাড়া, শববাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন আছে। কিছু করা যায় কী?
সুবীর চৌধুরী, শিক্ষক
কিছু দিনের মধ্যে একটি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু হবে। শব বহন করার গাড়ির বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। শ্মশানে সর্বক্ষণের সাহায্যকারী রাখার বিষয়টি ভাবনায় রয়েছে। কাঠ সমস্যা মেটাতে বনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। দরিদ্র যাতে কম দামে কাঠ কিনতে পারেন, তা দেখা হচ্ছে। বিগত বোর্ড জ্বালানির জন্য যে টাকা পাঠিয়ে ছিল, তার কী হল তা জানা নেই।
ধূপগুড়িতে এত যানজট কেন? প্রচুর সংখ্যক ভ্যান রিক্শা পুর এলাকার বাইরে থেকে শহরে আসছে। সাপ্তাহিক দুটি হাটের দিন চলাফেরা দায় হয়ে ওঠে।
সপ্তর্ষি সরকার, শিক্ষক
শহরের যানজট সমস্যা দূর করতে বিগত পুরসভা তেমন ভাবে কাজ করতে পারেনি। শহরে যানজটের সমস্যার স্থায়ী সুরাহা করতে আমরা পর্যায়ক্রমে এলাকা বেছে নিয়েছি। থানা রোডে যানজটের সমস্যা তীব্র। সে জন্য আমরা ওই এলাকায় প্রথম হাত দিতে চলেছি। থানার পাশে ফাঁকা জায়গায় ভ্যান রিক্শা স্ট্যান্ড তৈরি করা হবে। তার পাশে থাকছে পার্কিং জোন পার্কিং জোন। রাস্তার পাশে কোন রকম গাড়ি দাড় করা যাবে না। শান্তি সঙ্ঘের পাশের জায়গায় তিন চাকার গাড়ি দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। |