কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে বৃহস্পতিবার সিইএসসি এলাকায় বিপর্যস্ত হয়ে গেল বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। ব্যাপক লোডশেডিং হয় উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চলে। সিইএসসি সূত্রের খবর, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ফের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ দিন বিকেল ৬টা নাগাদ হঠাৎই কোলাঘাটের চারটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তার প্রভাব পড়ে সিইএসসি-র বণ্টন এলাকাতেও। বন্ধ হয়ে যায় সিইএসসি-র মেটিয়াবুরুজের দু’টি ইউনিট। ফলে সন্ধ্যায় যখন সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে, তখনই ১৬০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ-ঘাটতি দেখা দেয়। পরিস্থিতির সামাল দিতে সিইএসসি এলাকায় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে লোডশেডিং করা হয়। রাজ্যের এক বিদ্যুৎকর্তা জানান, কোলাঘাটের ইউনিটগুলি বসে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন এলাকাতেও হঠাৎ ৩৫০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ-ঘাটতি হয়। পুরুলিয়া জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বাড়িয়ে ওই ঘাটতি মেটানো হয়। তবে সিইএসসি এলাকায় চাহিদা মেটাতে সন্ধ্যায় যে-বিদ্যুতের প্রয়োজন ছিল, তা সরবরাহ করা গিয়েছে বলেই ওই কর্তার দাবি।
|
রাজ্যের মন্ত্রীদের দফতরে সিএ বা আপ্ত-সহায়কের পদ তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মহাকরণে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই প্রস্তাব দিয়ে বলেন, দু’বছর কাজ করলেই সিএ-রা মাসিক আট হাজার টাকা করে পেনশন পান। কিন্তু তাঁদের কাজটা কী? বৈঠকে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে সিএ-দের পদ তুলে দেওয়ার ব্যাপারে সবিস্তার প্রস্তাব তৈরি করতে বলেন তিনি। বামফ্রন্টের আমলে মন্ত্রীদের সরকারি কাজের বাইরে তাঁদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংগঠনিক প্রয়োজন ও নির্বাচন কেন্দ্রের বাসিন্দাদের চাহিদা দেখভাল করার জন্য আপ্ত-সহায়কের পদ তৈরি করা হয়। প্রত্যেক মন্ত্রীর দফতরে তাঁর দলের তরফে বাছাই করে দেওয়া এক জন দলীয় কর্মীকে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সিএ-পদে নিযুক্ত করা হত। বাম সরকার বিদায় নেওয়ার আগে সিএ-দের পেনশন ও চিকিৎসা ভাতা অনেক বাড়িয়ে দেয়। দু’বছর কাজ করলেই সিএ-দের মাসিক আট হাজার টাকা পেনশন ও ছ’হাজার টাকা চিকিৎসা ভাতা দেওয়ার নির্দেশ বলবৎ করে গিয়েছিল বাম সরকার। দু’বছরের বেশি কাজ করলে প্রতি বছরের জন্য ৫০০ টাকা হারে পেনশন বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। তবে সর্বাধিক পেনশন বেঁধে দেওয়া হয় মাসিক ১২ হাজার টাকায়। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে নতুন মন্ত্রীদের অনেকে নিজেদের দফতরে সিএ নিযুক্ত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরে কর্মরত সিএ-দের কী হবে, তা অবশ্য এ দিন জানা যায়নি।
|
প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই প্রস্তুত করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সেই বই প্রকাশ করেন। এ বার বইগুলি সম্পর্কে শিক্ষাবিদদের মতামত চাওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৃহস্পতিবার এ কথা জানান। প্রথম শ্রেণির জন্য একটি, তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির জন্য চারটি করে মোট ন’টি বই তৈরি হয়েছে। ছবি সংবলিত বইগুলি রঙচঙে হওয়ায় তা খুদে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করবে বলে সরকারের আশা। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “৪টি আলোচনাসভার আয়োজন করা হচ্ছে অক্টোবরে। আমরা চাই, শিক্ষাবিদেরা বইগুলি দেখে মতামত জানান। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না-হয়ে কেউ যদি সমালোচনা করেন, পরের বছর প্রয়োজনে বইগুলিতে সেই অনুযায়ী সংশোধন করা হতে পারে।”
|
রামকৃষ্ণ মিশন এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত স্কুলকে শিক্ষক নিয়োগে স্বাধীনতা দিতে অর্ডিন্যান্স জারি করল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবারেই এই মর্মে অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে বলে মহাকরণে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে রামকৃষ্ণ মিশনের ১৬টি, সারদা মিশন এবং অন্য একটি সংস্থার একটি করে স্কুল সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের ছাড়পত্র পাবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) আইনের একটি ধারা সংশোধন করে বলা হয়েছে, আয়কর আইনের ৮০জি ধারায় ছাড় পাওয়া কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আবেদন করলে সরকার তাদের শিক্ষক নিয়োগে স্বাধীনতা দেবে।
|
শ্রীরামপুর কলেজ ও তা সংলগ্ন ডেনমার্কের স্থাপত্যকীর্তি রক্ষণাবেক্ষণে উদ্যোগী হয়েছে ডেনমার্ক ও রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। দু’পক্ষের মধ্যে এই নিয়ে মউ স্বাক্ষরিত হয় মঙ্গলবার। স্থাপত্যগুলি সংরক্ষণের ব্যয়ভার বহন করবে ডেনমার্ক সরকার ও ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ডেনমার্ক। চুক্তির জন্য কলকাতায় এসেছিলেন স্থপতি তথা সংরক্ষণবিদ ফ্লেমিং আলুন্ড ও ডেনমার্ক ন্যাশনাল মিউজিয়ামের প্রতিনিধি বেন্ট উল্ফ ও সাইমন রাস্টিনও। হেরিটেজ কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন বলেন, “সর্বতো ভাবে ডেনমার্কের প্রয়াসকে সাহায্য করব।”
|
উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যালেরও আসন পড়বে অন্য স্কুলে। সেখানকার শিক্ষকেরা খাতা দেখে ও স্ক্রুটিনি করে নম্বর পাঠাবেন সংসদে। আগামী বছর এই পদ্ধতি চালু হবে।
|
রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলবে ১ থেকে ১৯ অক্টোবর এবং ৩০ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত তালিকা বেরোবে ২০১৩-র ১৫ জানুয়ারি।
|
দুর্গাপুজো ও মহরমে বেশি সরকারি বাস চলবে। পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “পাঁচটি নিগম ৫০০ বাস কিনে চালাবে। সব ডিপোর কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।” |