বৃষ্টি রাজ্যের পশ্চিমেও, হড়পা বানের আশঙ্কা
টানা তিন দিন বৃষ্টি চলছে মূলত কলকাতা এবং উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। আজ, শুক্রবার থেকে ভারী বৃষ্টি হবে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলেও।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছে একটি নতুন ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তার অভিমুখ রয়েছে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির দিকেই। আবহবিদেরা বলছেন, ওই ঘূর্ণাবর্তের দাপটেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। সেই বর্ষণের জেরে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে হড়পা বান হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন আবহবিদদের কেউ কেউ। এ দিন বিভিন্ন উপকূলবর্তী জেলায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ এ দিন বলেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টায় বীরভূম, বাঁকুড়া, বর্ধমান এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন ঘূর্ণাবর্তটিই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জোরালো করেছে।” গত তিন দিনে অবশ্য মেদিনীপুর ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তেমন বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু এ বারের ঘূর্ণাবর্ত তাদের বৃষ্টি-ভাগ্য খুলে দেবে বলে আবহবিদদের আশা।
বৃষ্টি থেকে বাঁচতে প্লাস্টিকের আশ্রয়ে। কলকাতার ময়দানে দেশকল্যাণ চৌধুরীর তোলা ছবি।
ওড়িশা উপকূলে সোমবার একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। সেটির জেরে মঙ্গলবার ভোর থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝেঁপে বৃষ্টি শুরু হয়। পরে নিম্নচাপটি মধ্যপ্রদেশে চলে গেলেও বৃষ্টির রেশ বিশেষ কমেনি। বৃহস্পতিবারেও শহরে বৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া অফিসের হিসেব অনুযায়ী বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৪৭.৭ মিলিমিটার। যা স্বাভাবিকের থেকে কয়েক গুণ বেশি। আবহবিদেরা বলছেন, নিম্নচাপটি দক্ষিণবঙ্গের মৌসুমি বায়ুকে সক্রিয় করে দিয়ে গিয়েছে। এ দিন তা মাটি থেকে ৫.৮ কিলোমিটার উপর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। একই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখাও অবস্থান করছে। এই দু’টি তো রয়েছেই। তার উপরে মধ্যপ্রদেশের নিম্নচাপের জোর বাড়াচ্ছে গুজরাত উপকূলের অন্য একটি ঘূর্ণাবর্ত।
দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, কয়েক দিনের বর্ষণে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি-ঘাটতি ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে। কিন্তু তা চাষ-আবাদের বিশেষ উপকারে লাগবে না বলেই কৃষিকর্তারা মনে করছেন। তবে এই ধারাবর্ষণের পরোক্ষ উপকারিতা আছে বলে সেচকর্তাদের অভিমত। তাঁরা বলছেন, আমন চাষে সেচের জল দিতে গিয়ে জলাধারগুলি খালি হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলে রাজ্যের বড় জলাধারগুলির সঞ্চয়ের ঘাটতি এই ভারী বৃষ্টিতে অনেকটাই মিটবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার ফলে বোরো চাষের জল পেতে অসুবিধা হবে না।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.