টুকরো খবর
ধর্মদা-বেথুয়াডহরির ‘অগম্য’ পথে বন্ধ বাস
ধর্মদা থেকে বেথুয়াডহরি, মাস তিনেক ধরেই বাস চলছে অনিয়মিত। কারণ, ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ চেনা ওই রাজ্য সড়ক খানাখন্দে ক্রমেই অচেনা চেহারা নিয়েছে। কোনও কালেই এ রাস্তার হাল তেমন ভাল ছিল না। এমনিই অপ্রশস্থ। তার উপর দীর্ঘদিন সেখানে সংস্কারের ছোঁয়া পড়েনি। রাস্তার মাঝে গভীর গর্ত, খোয়া উঠে কঙ্কালসার চেহারা। প্রতি বর্ষায় জল জমে তা রীতিমতো সোঁতার চেহারা নেয়। এই অবস্থায় ওই রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন বাস মালিকেরা। তাঁদের প্রশ্ন, এমন রাস্তায় বাস চলাচল করলে তার নিত্য মেরামতির খরচ কে জোগাবে? নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য অসীম দত্তের অভিযোগ, “ওই রাস্তা খুবই খারাপ। আর যাই হোক ওখানে বাস চালানো যায় না। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি।” ফলে বাস গিয়েছে থমকে। আর, তার জেরে বিপাকে পড়েছেন তেঁতুলবেড়িয়া, নতুনপাড়া, বিল্বগ্রাম, কাঠালবেড়িয়ার বাসিন্দারা। কৃষ্ণনগর থেকে বাড়ি ফিরতে তাঁদের এখন নামতে হচ্ছে ধর্মদা বাজারে। তারপর ভ্যান রিকশা আর আঁধার নামলেই অনন্ত হন্টন। তেতুঁলবেড়িয়ার বাসিন্দা কৃষ্ণনগর সরকারী কলেজের ছাত্র শামিম বিশ্বাস বলেন, “ওটা কী আর রাস্তা আছে! ডাঙাপাড়া-নতুনপাড়া ওই পথটুকু প্রায় অগম্য। এখন তাই ভরসা ভ্যানরিকশা।” শেষ কবে যে এই রাস্তার সংস্কার হয়েছিল তা স্থানীয় গ্রামবাসীরা কেউই মনে করতে পারেছেন না। ধর্মদা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাপিরুল মণ্ডল বলেন, “রাস্তার এই বেহাল দশা নিয়ে বারবার জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। ওনারা গা-ই করেন না।” ফলে, পা পুড়ছে স্থানীয় গ্রামবাসীদের!

দুই বাড়িতে ডাকাতি
গ্রিল ভেঙে বাড়িতে ঢুকেই তড়িঘড়ি করতে থাকা যুবকেরা জানিয়েছিল, ‘পিছনে পুলিশ। বেশি বেগড়বাঁই করিস না, যা আছে তাড়াতাড়ি দিয়ে দে!’ বৃহস্পতিবার ভোররাতে নদিয়ার আড়ংঘাটার মধ্যপাড়ায় সৃষ্টিধর প্রামাণিকের বাড়িতে ঢুকে মিনিট পনেরোর অপারেশন সেরে দলটি বেরিয়ে যেতেই পুলিশ এসেছিল সে বাড়িতে। তবে দুষ্কৃতীদের ধরা যায়নি। পুলিশ যে আসবে তারা অনুমান করেছিল। কারণ, সে রাতে ধানতলায় সুশান্ত সাহা নামে অবসরপ্রাপ্ত এক প্রাথমিক শিক্ষকের বাড়িতে আগেই হামলা করেছিল তারা।তবে সে কাজে তেমন ‘সাফল্য’ আসেনি। উল্টে স্থানীয় আরজি পার্টির হাতে ধরা পড়ে গিয়েছিল দলেরই এক জন। পুলিশ এসে তাকে জেরা করেই জানতে পেরেছিল তাদের পরে ‘ঠিকানা’ আড়ংঘাটা। পুলিশ তাই সেখানেও হাজির হয়েছিল। কিন্তু কিলোমিটার তিনেক আসতে পুলিশ যা সময় নিয়েছিল তার আগেই ‘কাজ’ হাসিল করে চম্পট দিয়েচিল ডাকাতেরা। আড়ংঘাটায় সৃষ্টিধরবাবুর বাড়ি থেকে তারা নিয়ে গিয়েছে নগদ টাকা ছাড়াও সোনার গয়না, কয়েকটি মোবাইল সেট, একটি ক্যামেরা। তবে, তার আগে ওই দলটিই হানা দিয়েছিল সুশান্তবাবুর বাড়িতে। কিন্তু তাড়া খেয়ে সে যাত্রায় বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি তারা। পালানোর সময়ে তাদের এক সঙ্গী মুকেশ দাসকেও ধরে ফেলে স্থানীয় আরজি পার্টির লোকেরা। সেখানেতেমন কিছু নিতে না পারলেও সৃষ্টিধরবাবুর পুত্রবধূর কানের দুলটা ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হওয়া ওই দুষ্কিৃতীকে জেরা করে অন্যান্যদের হদিস পাওয়ার চেষ্টা চলেছে।

ছাত্রীকে কটুক্তি , ধৃত
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পথ চলতি এক ছাত্রীকে কটুক্তি করছিল দশম ও একাদশ শ্রেণীর কয়েকজন ছাত্র। খবর পেয়ে আচমকা হানা দিয়ে তাদের দু’জনকেই হাতেনাতে ধরে ফেললেন ফুলিয়ার টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায়। বাকিরা অবশ্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এরপর ওই দুই ছাত্রকে পঞ্চায়েতে নিয়ে আসেন প্রধান। খবর দেওয়া হয় স্কুলের প্রধানশিক্ষক ও অভিভাবকদের। তাদের উপস্থিতিতেই সঙ্গী অন্য ছাত্রদের নামও লিখে নেন তিনি। ওই দুই ছাত্রকে সতর্ক করে তুলে দেওয়া হয় অভিভাবকদের হাতে। রঘুনাথবাবু বলেন, “স্থানীয় একটি কো-এড স্কুলের মোট আট ছাত্র ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এদিন তারা স্কুল পালিয়ে স্থানীয় এক যুবকের গাড়িতে করে হবিবপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরায়। তারপর বেলা আড়াইটে নাগাদ স্কুল থেকে কিছুটা দুরে রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে একটি ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করছিল। ছাত্রীটির বাবার কাছে খবর পেয়ে আমি একাই ঘটনাস্থলে যাই এবং হাতেনাতে দু’জনকে ধরে ফেলি।”

আধিকারিক প্রহৃত
শংসাপত্র অ্যাটেস্ট করতে দেরি হওয়ায় নাকাশিপাড়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জীবেশ বাইনের উপরে চড়াও হল বেথুয়াডহরি কলেজের এক ছাত্র। এই ঘটনায় রুখে দাঁড়ায় রোগীর পরিবারের লোকজন। তাঁরা ছাত্রটিকে একটি ঘরে আটকেও রাখে। যদিও জীবেশবাবু ছাত্রটির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। জীবেশবাবু বলেন, “আমি আউটডোরে রোগী দেখছিলাম। রোগীর প্রচন্ড চাপ ছিল। হঠাৎ ওই ছাত্রটি আমার ঘরে ঢুকে তখনই শংসাপত্রগুলি অ্যাটেস্ট করার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। আমি কিছু সময় অপেক্ষা করতে বলায় সে আমাকে বিভিন্ন অপমানজনক কথা বলতে থাকে। প্রতিবাদ করাতেই সে আমার উপর চড়াও হয়।”

ভাগীরথীতে নিখোঁজ
ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। নাম অশোক সাধু খাঁ (৪২)। বাড়ি শান্তিপুরের সূত্রাগড় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে অন্য দিনের মতোই শান্তিপুরের বড় বাজার ঘাটে তিনি স্নান করতে গিয়েছিলেন। আচমকা পা ফসকে তিনি জলে তলিয়ে যান। ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

অস্বাভাবিক মৃত্যু
এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। নাম রাধারানী মণ্ডল (৬০)। কান্দি থানার মহাদেববাটী এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওই মহিলা কীটনাশক খান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান। আত্মহত্যার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

নওদায় ফুটবল
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে নওদার গঙ্গাধারী হাসপাতাল মাঠে দু’দিন ব্যাপী এক ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৮টি দল এই খেলায় অংশ নেয়। ফাইনালে ওঠে অম্মরপুর নবীন সংঘ ও ডাঙাপাড়া ভাই ভাই সংঘ। বুধবারের এই ফাইনালে অম্মরপুর নবীন সংঘ ২-১ গোলে জয়ী হয়।

শহিদ দিবস
সারাদিন নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হল শহিদ দিবস। প্রতিবছর ৬ সেপ্টেম্বর দিনটিকে তৃণমূল শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ১৯৭৯ সালের এই দিনে সিপিএমের হাতে খুন হন স্বপন দাস ও রঞ্জন সাহা নামে দুই কংগ্রেস কর্মী।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.