কুকুরের কামড়ে ছড়াল আতঙ্ক। চন্দ্রকোনা রোডে চার মহিলা-সহ জখম হয়েছেন ১৩ জন। বংশীবদন সাহা নামে এক ব্যক্তিকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে চন্দ্রকোনা রোডের দ্বারিগেড়িয়া ব্লক হাসপাতালে। হাসপাতালের সুপার দীপক ক্যুইলা বলেন, “১২ জনের চিকিৎসা চলছে। একজনের মুখে কুকুর কামড়ানোয় তাঁকে মেদিনীপুরে রেফার করা হয়েছে।”
তবে কুকুরটিকে ধরা যায়নি। বন দফতরের ডিএফও (মেদিনীপুর রেঞ্জ) আশিস সামন্ত বলেন, “কুকুর বন্যপ্রাণী নয়, ফলে এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।” বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কুকরটির অস্বাভাবিক হাবভাব দেখা যায়। প্রথমে এলাকার কেউ আমল না দিলেও হঠাৎই পথচলতি মানুষ থেকে বাড়িতে ঢুকে লোকজনকে কামড়াতে শুরু করে কুকুরটি। ক্রমে আতঙ্কিক হয়ে পড়েন ডাবচা, বড় ডাবচা, বিলা প্রভৃতি এলাকার বাসিন্দারা। বড় ডাবচার বেলা সিংহ রায় বলেন, “সকালে বাড়ির কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আচমকাই কুকুরটি বাড়িতে ঢুকে পিঠে কামড়ে পালায়।” বিলা গ্রামের রাধাকান্ত সামন্তেরও প্রায় একই অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “কাজে বেরিয়েছিলাম। পেছন থেকে কুকুরটি এসে পায়ে কামড়ে ছুটে পালায়। স্থানীয়রাই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
লোকজন জড়ো হয়ে কুকুরটুকে তাড়া করলে সে পালায়। তারপর আর কুকুরটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাসিন্দারাই তার খোঁজ চালাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পর স্থানীয় বিডিও অফিসে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু বিষয়টিকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এমনকি ভালভাবে পুরো কথা না শুনেই চলে যেতে বলা হয়। বিডিওর কাছে বিষয়টি জানাতে গেলে স্থানীয় সাংবাদিকদেরও বিডিও দফতর থেকে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে চন্দ্রকোনা রোডের বিডিও অমৃতা বর্মন রায় বলেন, “আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।”
তবে এখনও কুকুরের আতঙ্ক কাটেনি এলাকায়। আর প্রশাসনও এ ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহ না দেখানোয় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশের কাছেও এর সুরাহার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়েছে। |