|
|
|
|
সমর্থন এলাকার সাংসদদের |
উত্তর-পূর্ব জুড়ে বন্ধ, অসমে অনুপ্রবেশ-বিরোধী মিছিল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
অনুপ্রবেশকারী বিতারণের দাবিতে নর্থ-ইস্টার্ন স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনের (নেসো) ডাকে আজ উত্তর-পূর্ব জুড়ে পালিত হল বন্ধ, সংগঠিত হল বিক্ষোভ মিছিল। বড়োভূমির কোকরাঝাড় থেকে যে সংঘর্ষের সূত্রপাত, সেই দ্বন্দ্বের সূত্র ধরেই তিন দশক পরে ফের আসুর নেতৃত্বে অসমে শুরু হল ‘বিদেশী খেদাও আন্দোলন’।
তবে এ বার কেবল অসমে আবদ্ধ না থেকে আসুর নেতৃত্বে নেসো গোটা উত্তর-পূর্ব জুড়ে একযোগে আন্দোলন শুরু করল। ১২ ঘণ্টার বন্ধের জেরে থমকে গেল মণিপুর, মেঘালয়, অরুণাচল, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড। খানিকটা প্রভাব পড়ল ত্রিপুরাতেও।
ভিন রাজ্যে উত্তর-পূর্বের ছাত্রছাত্রী ও কর্মীদের উপর অত্যাচারের ঘটনা এবং রটনার পিছনে জঙ্গি সংগঠনের প্ররোচনা কাজ করছে বলে পুলিশ প্রধানদের বৈঠকে আজ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, অনুপ্রবেশ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে অসম সরকার। কিন্তু উত্তর-পূর্বের ছাত্র সংগঠনগুলি কেন্দ্রের বক্তব্য বা রাজ্যের ভরসায় আর আস্থা রাখছে না।
আজ, অসমে বন্ধ না ডাকলেও রাজ্যের নানা প্রান্তের ২৬টি সংগঠনের ২০ হাজার মানুষ অনুপ্রবেশ বিরোধী মিছিলে সামিল হয়। নিজেদের এলাকায় ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখতে উত্তর-পূর্বের সাংসদরাও এই আন্দোলনকে পুরোপুরি সমর্থন জানিয়েছেন।
উত্তর-পূর্ব সাংসদদের মিলিত মঞ্চের পক্ষ থেকে সাংসদ বীরেন্দ্রপ্রসাদ বৈশ্য বলেন, “উত্তর-পূর্বকে বাঁচাতে গেলে অসমের অস্তিত্বকে বাঁচাতেই হবে।” আসুর পরামর্শদাতা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য, কেন্দ্র ও রাজ্যে ক্ষমতায় আসা সব সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “১৯৮৫ সালের মতোই ফের অসমের ভূমিপুত্ররা অস্তিত্বের সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অসম চুক্তির সবকটি শর্ত মেনে অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য থেকে বের করে দেওয়া হোক।”
অসম চুক্তি রূপায়ণ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কথামতো, আমরা আগামী তিন বছরের মধ্যেই জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বা এনআরসির কাজ শেষ করে ফেলব। আন্দোলন না করে, ছাত্রসংগঠনগুলি সেই কাজে সাহায্য করলেই মঙ্গল।”
কিন্তু আসু আর সবুর করতে নারাজ। সমুজ্জ্বলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও প্রধানমন্ত্রী তথা অসমের সাংসদ মনমোহন সিংহের ব্যর্থতার ফলেই বড়োভূমি, নামনি অসমে শান্তি ফিরছে না। আজ মণিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল, মিজোরামে বন্ধ সর্বাত্মক ছিল। বন্ধ ছিল সব স্কুল, দফতর, ব্যাঙ্ক, বাজার। অসমে এক মাসের জন্য বন্ধ নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুরোধ করেছিলেন, এক মাস কেউ যেন মিছিল, সমাবেশ না করেন।
আসু আজ অসমের বন্ধ না করলেও, মিছিলের ক্ষেত্রে নিষেধ মানেনি। ক্ষুব্ধ গগৈ বলেন, “সংগঠনগুলির শুভবুদ্ধির উপরে আস্থা রেখে অনুরোধ করেছিলাম। যদি অনুরোধ না মানা হয়, তাহলে তা প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।” |
|
|
|
|
|