কর্মীদের ‘চাঙ্গা’ করতে পথে নামছে বামেরা |
কর্মীদের ‘চাঙ্গা করতে’ এক মাস ব্যাপী কর্মসূচি নিল কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট। আজ শুক্রবার থেকেই কর্মীদের পথে নামাচ্ছেন ফ্রন্ট নেতৃত্ব। ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুরসভার ব্যর্থতার বিরুদ্ধে পুরসভার প্রতিটি বরো অফিসে বিক্ষোভ দেখাবে ফ্রন্টের কর্মীরা। এমনকী কাউন্সিলরদের নিয়ে বাম নেতারা আজ মেয়রকে স্মারকলিপিও দেবেন। এরপরে আরও বেশ কিছু আন্দোলনের কর্মসূচি তাঁরা নিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার সিপিএম নেতা রবীন দেব জানান। এ দিন ফ্রন্টের বৈঠকে মাস ভর আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। পুজোর আগে ৯ অক্টোবর পুর-ভবনের সামনে জমায়েত ও সভা দিয়ে কর্মসূচি শেষ হবে। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটের পর থেকেই কলকাতায় বাম কর্মীদের মধ্যে সক্রিয়তা কমতে থাকে বলে ফ্রন্টের শরিক দলের নেতৃত্বের একাংশের অভিমত। পুরভোট এবং বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পরে ‘সক্রিয়’ বাম কর্মীর রীতিমতো অভাব দেখা দেয়। কলকাতা জেলা সিপিএমের ডাকে সরকার-বিরোধী জমায়েতেও বিশেষ লোক জুটছিল না। এই অবস্থায় বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে কর্মীদের ‘উজ্জীবিত’ করতেই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের বক্তব্য। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, সমাজবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে কলকাতার প্রতিটি থানার সামনে ১১ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে ফ্রন্ট। ওই দিন বিকেলেই শহরে ১৫ মিনিটের জন্য মানব-বন্ধন পালন হবে। রবীনবাবু বলেন, “টেন্ডার ছাড়া ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ কেনা নিয়ে ২৭ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এর বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি।” এর বিরুদ্ধেও কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় সভা করবেন তাঁরা। বিপিএল তালিকায় নাম তোলার দিন বৃদ্ধির দাবিতেও তাঁরা সভা করবেন।
|
সভাস্থল নিয়ে বিবাদ পুলিশ ও সিপিএমে |
ধর্মতলায় সভা করার জায়গা নিয়ে পুলিসের সঙ্গে বিরোধ বেধেছে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বের। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের পরিকল্পনাতেই দাবিতে ১ অক্টোবর ধর্মতলায় জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম। ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও তাঁদের স্মারকলিপি দেওয়ার কথা আছে। সভার প্রধান বক্তা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ধর্মতলায় ২১ জুলাই মমতা যেখানে সভা করেন (সিইএসসি-র প্রধান কার্যালয় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে) সেখানেই সভা করার অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন সিপিএম নেতারা। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওখানে সভা করা যাবে না। কারণ হিসাবে পুলিশ কমিশনার রঞ্জিত পচনন্দা সিপিএম নেতাদের জানিয়েছেন, ওই জায়গাতেই ইতিমধ্যে বামেরা একটি সভা করেছে। আর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। সিপিএমের পক্ষ থেকে বিকল্প জায়গা হিসাবে ধর্মতলায় পাঁচ রাস্তার মোড় অর্থাৎ ডোরিনা ক্রসিং-এর কথা বলা হয়। কিন্তু ওখানে সভা করলে শহরে যানজট হবে বলে পুলিশ তা নাকচ করে দেয়। বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে সিপিএমের কাছে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ দিন সভার স্থান পরিদর্শনের সময় রবীন দেব, অমিতাভ নন্দী-সহ সিপিএম নেতাদের সঙ্গে পুলিশ কর্তাদের বচসা হয়। অমিতাভবাবু পরে বলেন, “সভা নিয়ে পুলিশ রাজনীতি করছে। পুলিশের প্রস্তাব আমরা মানছি না। জমায়েত অনেক বড় হবে। সেই কারণেই অন্য স্থানে সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।” পুলিশ ডোরিনা ক্রসিং-এ সভার অনুমতি না দিলে কী হবে? জবাবে অমিতাভবাবু সাফ বলেন, “ধর্মতলায় আমরা সভা করবই। কেউ আটকাতে পারবে না।”
|
মিনিডরের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই মোটরবাইক আরোহীর। বৃহস্পতিবার, বেলঘরিয়ায়। মৃতদের নাম অমিত শর্মা (২৫) ও সুবীর দাস (১৮)। গাড়ি-সহ চালক আটক হয়েছে। এ দিনই গার্ডেনরিচ রোডে বাস্কেল সেতুতে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় আব্দুল জব্বার নামে এক ব্যক্তির।
|
বহুতল থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার, বাগুইআটিতে। মৃত সুশীল কেজরিওয়াল (৪৫) ওই বহুতলেই সপরিবারে থাকতেন। এ দিনই সল্টলেকের এ কে ব্লক থেকে কৃপাময় চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ মেলে। সুইসাইড নোটও মিলেছে। অন্য দিকে, বাঘাযতীনের একটি বাড়ি থেকে সৌগত রায় (২৭) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ মেলে।
|
অটো উল্টে আহত হলেন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার, বিধাননগরে। গ্রেফতার হয়েছেন চালক ঈশান রাজপুত। পুলিশ জানায়, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যান চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে চালকের বিরুদ্ধে।
|
বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্ক এলাকায় সবকটি নির্মাণস্থলে তালা লাগানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত ও অসীম মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। হাইকোর্ট নিযুক্ত অফিসার অলোক ঘোষকে পুলিশ ও পুরসভার সহযোগিতা নিয়ে এই কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
|
রাস্তায় গর্তের জন্য যানজট হচ্ছিল বেশ ক’দিন ধরে। জানতে পেরে রাস্তা মেরামতি করলেন পুলিশকর্মীরাই। বৃহস্পতিবার, যশোহর রোডে এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেটের কাছে। |