হেলমেটের ‘জাদুতে’ বিমানেই বাইরের পৃথিবী |
যুদ্ধবিমানে করে যাচ্ছেন চালক। পায়ের তলায় শত্রুপক্ষের ঘাঁটি দেখেই কমিয়ে ফেললেন বিমানের গতি। নিঃশব্দে সেই ঘাঁটি লক্ষ্য করে বোমা ফেললেন চালক। এ বার প্রতীক্ষা, ঠিক জায়গায় বোমা আঘাত হানল তো? তবে রেডারের সাহায্য না নিয়ে এখন থেকে চালকরা নিজেই ঘটনাটা পরিচালনা করতে পারবেন। অন্তত এমনটাই দাবি ব্রিটেনের একটি সংস্থার। সৌজন্যে সংস্থাটির তৈরি বিশেষ প্রযুক্তির এক ধরনের হেলমেট। ব্রিটেনের একটা দৈনিকে ওই সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, হেলমেটটিতে রয়েছে একটা বিশেষ সেন্সর। তবে এটিকে কাজ করাতে গেলে বিমানের বাইরের খোলস ঘিরে থাকতে হবে বেশ কয়েকটি ক্যামেরা। ওই ক্যামেরাগুলো বিমানের চারপাশের ছবি তুলে সেগুলো হেলমেটের সেন্সরে পাঠিয়ে দেবে। এর পর হেলমেটের সেন্সর সেই ছবিগুলোকে একসঙ্গে করে একটা ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরি করবে। ফলে চালক বিমানের ভেতরে যে দিকেই তাকাবেন, বিমানের চাদর ভেদ করে বাইরের দৃশ্য দেখতে পাবেন। যেন বিমানটা স্বচ্ছ কাচের তৈরি। শুধু তা-ই নয়, বিমানে বসে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে গেলে ওই হেলমেট তাতেও সাহায্য করবে চালককে। গণনা করে সে চালককে বলে দিতে পারবে কতটা দূরে রয়েছে ওই বস্তু। এমনকী বোমাটি কখন আর কী ভাবে ছুড়লে তা লক্ষ্যবস্তুতে ঠিক ভাবে আঘাত হানতে পারবে তা বলে দেওয়ার ক্ষমতাও নাকি রয়েছে হেলমেটটির। রাতের অন্ধকারেও হেলমেটটি পরে দেখতে অসুবিধা হবে না। কারণ, রাতে দেখা যায় এমন চশমা লাগানো রয়েছে এতে। তবে এর প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা এখনও চলছে। কবে হেলমেটটি বাজারে আসবে তা সংস্থার তরফে এখনও জানানো হয়নি। কিন্তু এই হেলমেট যে কল্পবিজ্ঞান লেখকদের এ বার প্রতিযোগিতার মুখে ফেলবে তাতে সন্দেহ নেই।
|
সূর্যের এক লক্ষ গুণ বেশি উষ্ণতা |
সূর্যের কেন্দ্রের থেকে অন্তত এক লক্ষ গুণ বেশি উষ্ণতা! তা-ও আবার পৃথিবীতে তৈরি করেছেন এক দল বিজ্ঞানী! একটি ব্রিটিশ পত্রিকায় সার্নের তরফে জানানো হয়েছে, জেনিভার লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার যন্ত্রে শিসের আয়নিত কণার মধ্যে ধাক্কা লাগার ফলে খুব অল্প সময়ের জন্য কণাগুলি একটা গলিত দশায় (কোয়ার্ক-গ্লুয়ন প্লাজমা) পৌঁছয়। বিজ্ঞানীদের দাবি, এই প্লাজমা গঠনের সময়েই তৈরি হয় বিশাল উষ্ণতা। এই গবেষণা বিজ্ঞান পত্রিকা ‘নেচার’-এ প্রকাশিত হয়েছে। |