আরও একটা রেকর্ড এ বার তাঁর ঝুলিতে। সব চেয়ে বেশি ক্ষণ মহাকাশে হাঁটার ‘প্রতিযোগিতায়’ এখন মেয়েদের মধ্যে সবার আগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। গত কাল মহাকাশে হাঁটার পর মোট ৪৪ ঘণ্টা ২ মিনিট ‘স্পেসওয়াকে’র নজির গড়লেন তিনি।
মহাকাশ স্টেশনের প্রধান বিদ্যুৎ ইউনিটে সম্প্রতি গোলযোগ দেখা দিয়েছিল। বিকল যন্ত্রটি সারাতে গত বৃহস্পতিবার সুনীতা ও তাঁর জাপানি সহকর্মী আকিহিকো হোশিদি অভিযানে বেরোন। গবেষণা কেন্দ্রের বাইরে মহাশূন্যে গিয়ে তাঁরা বিদ্যুৎ ইউনিটটি সারানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও সে বার সাফল্যের মুখ দেখেননি সুনীতারা। গত কাল তাঁরা ফের বিকল ইউনিটটি সারাতে মহাকাশ অভিযানে বেরোন।
এ বার আর ব্যর্থ হননি।
দশ হাজার কোটি ডলারের ঘর বাঁচাতে এক ‘অভিনব’ যন্ত্র নিয়ে অভিযানে বেরোন সুনীতা ও হোশিদি। বাজারে যার দাম মাত্র তিন ডলার। যন্ত্রের নাম ‘টুথব্রাশ’। সাফল্য এল তার হাত ধরেই।
সপ্তাহের শুরুতে মহাকাশে নেমে নাকাল হয়েছিলেন দুই মহাকাশচারী। কী ভাবে ঠিক করা যায় বিদ্যুৎ ইউনিটটিকে? কোনও উপায় খুঁজে না পেয়ে শেষমেশ খবর পাঠানো হয় পৃথিবীতে। এর পর নাসার ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে মহাবৈঠকে বসেন সুনীতারা। সেখানেই মেলে সমাধান সূত্র। |
এই নিয়ে ছ’বার মহাকাশে হাঁটলেন সুনীতা। তবে এ বারের ‘স্পেস ওয়াক’ পুরোপুরি উপরি পাওয়া। গত বার ব্যর্থ হওয়ার ফলেই বুধ বার ফের মহাকাশে হাঁটার সুযোগ জুটে যায়। আর সেই সঙ্গে নয়া রেকর্ড।
এত দিন মেয়েদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি বার মহাকাশে হাঁটা এবং দীর্ঘতম মহাকাশযাত্রার রেকর্ড ছিল সুনীতার। ৬ ঘণ্টা ২৮ মিনিটের অভিযান শেষে বিদ্যুৎ বিভ্রাট মেটার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন পালক উঠল সুনীতার মুকুটে। এর আগে সব চেয়ে বেশি ক্ষণ (৩৯ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট) মহাকাশে হাঁটার রেকর্ড ছিল পেগি হুইটসনের। রেকর্ড ভাঙার খবর পেয়ে সুনীতাকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান পেগি ‘গো গার্ল’, আরও এগিয়ে যাও। তবে আলাদা করে এই কৃতিত্ব নিতে নারাজ সুনীতা। তাঁর সহজ স্বীকারোক্তি, “যে কেউই এই কৃতিত্বের ভাগীদার হতে পারত।” |