পাঁচ মাস আগে তাঁকে বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় ঠাঁই দিয়েছিল মার্কিন সাপ্তাহিক ‘টাইম’। এ বার তিনি ‘ব্লুমবার্গ মার্কেটস’ পত্রিকার বাছাই করা ৫০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মূলত অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণে ভূমিকার কথা মাথায় রেখেই ৫০ জন প্রভাবশালীর তালিকা তৈরি করেছে পত্রিকাটি। মমতাকে ২১ নম্বরে ঠাঁই দিয়ে তারা লিখেছে, “খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিরোধিতা করে তাঁর দল তৃণমূল প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচিকে আটকে দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, দেশে বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসার দরজা বিদেশি সংস্থাগুলির সামনে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় গৃহীত হওয়ার পরেও মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতেই পিছিয়ে আসতে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে এ দেশের অসংখ্য ছোট দোকানদার এবং ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পত্রিকাটির মন্তব্য সম্পর্কে তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বৃহস্পতিবার বলেন, “‘ব্লুমবার্গ’ পত্রিকায় ঠাঁই পাওয়া থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের বিষয়গুলি সাফল্যের সঙ্গে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।” ‘ব্লুমবার্গ মার্কেটস’ পত্রিকার এই তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন মার্কিন ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফে, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ, হুন্ডাইয়ের চেয়ারম্যান চুং মুং কু প্রমুখ। মমতাকে রাখা হয়েছে নীতি নির্ধারক বিভাগে। সেখানে তাঁর সঙ্গে আছেন মার্কিন ফেডেরাল রিজার্ভের চেয়ারম্যান বেন এস বেরনান্ক, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট মারিও দ্রাঘি এবং মায়ানমারের বিরোধী দলনেত্রী আউং সাং সু চি। |