আস্থা ভোটে কংগ্রেস প্রধানকে হারিয়ে দিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার মঙ্গলকোটের মাজিগ্রাম পঞ্চায়েতে আস্থা ভোটে ৭-৫ ব্যবধানে হেরে যান কংগ্রেসের প্রধান জ্যোৎস্না মাজি। যদিও বছরখানেক আগে সিপিএমকে হঠিয়ে দিয়ে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত হন পঞ্চায়েত প্রধান জ্যোৎস্না দেবী ও তৃণমূল থেকে নির্বাচিত হন উপপ্রধান রামপ্রসাদ ঘোষ। এ দিন মঙ্গলকোটের যুগ্ম বিডিও অমিত সাউ ও পঞ্চায়েত অ্যাকাউন্টস অফিসার বিমানবিহারী চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে আস্থা ভোট হয়। ছিলেন ১২ জন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁদের মধ্যে ৭ জন প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দেন। মঙ্গলকোটের বিডিও প্রদীপ মজুমদার জানান, কয়েক দিনের মধ্যে নতুন প্রধান নির্বাচন করা হবে।
মঙ্গলকোট ব্লক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মোট ১৩ জন। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম ৭টি আসন পায়। কংগ্রেস পায় ৪টি আসন ও তৃণমূল পায় ২টি আসন। ২০১১-এর ১২ অগস্ট সিপিএম প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন পঞ্চায়েতের ৮ সদস্য। কংগ্রেস পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের মেয়াদ এক বছর পূর্ণ হওয়ার পরেই সিপিএম থেকে নির্বাচিত ৫ জন ও তৃণমূলের ২ জন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিডিও-কে চিঠি দেন। ওই সদস্যদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত চালানোর নামে দলের ঘনিষ্ঠদের সুযোগ-সুবিধা করে দিচ্ছেন প্রধান। ফলে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও কর্মসূচি ব্যহত হচ্ছে। বিডিও ২৮ জুলাই ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের চিঠি দিয়ে জানান, ৬ সেপ্টেম্বর আস্থা ভোট নেওয়া হবে পঞ্চায়েত প্রধানের।
এ দিন কংগ্রেস দাবি করে, তৃণমূলের ২ জন সদস্য সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে সরিয়ে দিয়েছে। জেলা কংগ্রেস নেতা জগদীশ দত্তের দাবি, কাঁকোড়া গ্রামের কংগ্রেস সদস্যদের এ দিন বেরোতে দেয়নি তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের জেলা নেতা বিকাশ চৌধুরীর দাবি করেন, “সিপিএমের ওই ৫ সদস্য এক বছর আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।’’ তার প্রতিলিপি বিডিও-র কাছে আছে বলেও দাবি করেন তিনি। সিপিএমের ভাগীরথী-অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক দুর্যোধন সরও জানান, ওই ৫ সদস্যের সঙ্গে দীর্ঘ দিন দলের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রদীপবাবু বলেন, “আমি নতুন এসেছি। তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।” |