আসন্ন দুর্গাপুজো এবং কালীপুজোর সময়ে কলকাতার সমস্ত দমকলকেন্দ্র ছাড়াও দমকলের অতিরিক্ত গাড়ি রাখা হবে শহরের অন্তত ১০টি থানায়। একই সঙ্গে, শহরের যে সব এলাকায় কাছাকাছি দূরত্বে কয়েকটি বড় মণ্ডপ থাকবে, তার একটিতে রাখা থাকবে দমকলের গাড়ি। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত মোকাবিলা করা যায়। দমকলমন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান বলেন, “থানাগুলিতে দমকল ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের প্রশিক্ষিত কর্মীরাও থাকবেন। পুজো দেখতে আসা মানুষ কোনও অসুবিধায় পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই যাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়।”
মন্ত্রী জানিয়েছেন, দমকলের অতিরিক্ত গাড়ি রাখা হবে কলকাতা পুরসভা এলাকার কসবা, টালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, বেহালা, কলেজ স্কোয়ার এবং উত্তর কলকাতার থানাগুলিতে। একই সঙ্গে কলকাতা পুরসভা চেষ্টা করছে, সংযোজিত এলাকায় যে সব গভীর নলকূপ থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হয়, সেখান থেকে জল নেওয়ার একটি বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে। প্রয়োজনে যাতে সেখান থেকে আগুন নেভানোর জল সংগ্রহ করতে পারেন দমকলকর্মীরা। তিনি জানিয়েছেন, পুরসভার মেয়র পারিষদ (নলকূপ) তারক সিংহ তাঁকে জানিয়েছেন, আগামী ১২ তারিখ পরীক্ষামূলক ভাবে ওই ব্যবস্থা চালু করা হবে শহরের ৬২ নম্বর ওয়ার্ডে। |
জাভেদ আরও জানিয়েছেন, পুজোমণ্ডপগুলিকে সাধারণ ভাবে বিদ্যুৎ ও দমকলের যে সব বিধি মেনে চলতে হয়, তা এ বারও মানতে হবে। পাশাপাশি, এ বার পুলিশের সঙ্গে দমকলের সমন্বয় আরও বাড়ানো হবে। পুজো কমিটি ও দর্শনার্থীদের কী কী করণীয় এবং করণীয় নয়, তা জানিয়ে প্রত্যেক মণ্ডপে পৃথক দু’টি ফ্লেক্স রাখা হবে পুলিশ ও দমকলের পক্ষ থেকে।
যে সব পুজো কমিটি হাইকোর্টের নির্দেশ না মেনে মণ্ডপ গড়বে, তাদের দমকল এ বার প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দেবে না বলে ঠিক হয়েছে। অন্য দিকে, পুজো কমিটিগুলিকে অনুমতি পেতে যাতে বেশি ঘুরতে না হয়, তার জন্য কলকাতা ও জেলাগুলির জন্য দুই জানলা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। একটি জানলায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ও দমকল একসঙ্গে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেবে। অন্য জানলা থেকে মিলবে পুলিশ ও প্রশাসনের অনুমতি। মন্ত্রী জানান, কলকাতার ক্ষেত্রে এক জানলাতেই পুরো ব্যবস্থা করা গেলেও জেলার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। তাই সারা রাজ্যের জন্য একই ব্যবস্থা হচ্ছে।
এ দিকে, পুজোয় যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক থাকে, তার জন্য বুধবার বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তারা। বিদ্যুৎকর্তারা মনে করছেন, এ বছর পুজোয় প্রতি দিন কমপক্ষে ৫৫০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে। পুজোর সময়ে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন মণীশবাবু। |