আলাদিন আর আশ্চর্য প্রদীপের সেই কার্পেটের কথা মনে পড়ে। আলাদিন যেখানেই যেতে চাইত তাকে নিয়ে উড়ে যেত এই কার্পেট। তবে সেই উড়ন্ত কার্পেট না হলেও ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আবিষ্কৃত কার্পেট গুণে কোনও অংশেই কম নয়। এর উপর যে মানুষ শুধু বসতে পারে তাই নয়, মানুষ কোন দিকে ঘুরবে তার আগাম আভাসও নাকি দিতে পারে এই কার্পেট। অন্তত এমনটাই দাবি বিজ্ঞানীদের।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই কার্পেটের তলায় লাগানো রয়েছে প্লাস্টিকের অপটিক্যাল ফাইবার। আর তার ধারে লাগানো আছে ছোট্ট ছোট্ট ইলেকট্রনিক্সের সেন্সর। গবেষকদের দাবি, পায়ের চাপে উত্তেজিত হয়ে ওঠে এই সেন্সরগুলি। তারা অপটিক্যাল ফাইবারের সঙ্গে লাগানো আরও কিছু সেন্সরের কাছে পৌঁছে দেয় পায়ের গতিবিধির খবর। আর সেই খবর অনুযায়ী প্রয়োজন মতো নানা দিকে নাকি বেঁকে যায় অপটিক্যাল ফাইবার। |
গবেষণা চলছে কার্পেট নিয়ে। |
কিন্তু এত কিছু থাকতে এ রকম কার্পেটের কথা মাথায় এল কেন বিজ্ঞানীদের?
ম্যাঞ্চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মূলত বয়স্ক মানুষদের কথা ভেবেই এই কার্পেট তৈরি করা হয়েছে। কারণ বয়স্করা অনেক সময়ই হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। আমেরিকায় ৬৫ বছরের বেশি যত বয়স্ক মানুষ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তাঁদের ৫০ শতাংশই পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন। বিজ্ঞানীদের আশা, এই কার্পেট বাজারে এলে শুধু বয়স্করাই নন, কোনও রাসায়নিক কারখানায় কাচের বোতল মাটিতে পড়ে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যাবে।
তবে বয়স্করা এর কতটা সুবিধে পাবেন তা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আপাতত কোনও গৃহস্থের বাড়িতে এ রকম কার্পেট থাকলে চোরেরা যে অনেক নিঃশব্দে তাদের কাজ সারতে পারবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। |