ডেঙ্গি আতঙ্কে কাঁপছে মালদহ। মঙ্গলবার সকালে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শেফালি খাতুন (১৭) নামের এক কিশোরী মারা যাওয়ার পরেই জ্বরে আক্রান্ত রোগী এবং রোগীর পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, এদিন সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত ২০০ বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। রোগীর ভিড়ে উপচে পড়েছে মেডিক্যাল কলেজ। প্রতিটি বেডে দুইজন করে রোগী ছাড়াও মেঝেতে রয়েছেন জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা। শুধু তাই নয়, ওয়ার্ডের বাইরের বারান্দায় রোগীদের রাখা হয়েছে। মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডের বাইরের বারান্দায় পা রাখার জায়গা নেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে অধ্যক্ষ মেল পেয়িং ওয়ার্ডকে ফ্রি ওয়ার্ড হিসাবে ঘোষণা করে ওই ওয়ার্ডে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সুপার হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “এখন পযর্ন্ত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যত রোগী ভর্তি হয়েছেন, তাঁর মধ্যে তিনজন রুগীর ডেঙ্গি ধরা পড়েছিল। তাঁরা সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। এখন রোগীরা ভর্তি আছেন, তাঁদের বেশিরভাগই ‘ভাইরাল ফিভার’। |
এদিন ভর্তি হওয়া জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের রক্ত পরীক্ষার অবশ্য রিপোর্ট মেলেনি। তা পেলে পরিস্থিতি অনেকটাই পরিষ্কার হবে।” রোগীর আত্মীয়েরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তার উপরে কয়েকজনের ডেঙ্গি ধরাও পড়ে। কারও সামান্য জ্বর হলেও পরিবারের লোকেরা আর বাড়িতে রাখার সাহস পাচ্ছে না। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হচ্ছে। হাসপাতালের কর্মীরা জানান, আর এতেই হুহু করে মেডিক্যাল কলেজে রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ উচ্ছল ভদ্র জানান, দিন ১০-১২ আগে জ্বরে আক্রান্ত তাপস দাস নামে এক রোগী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর রক্তে ডেঙ্গির জীবাণুর সন্ধান মেলে! তাঁকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গি ধরা পড়লেই সবাই মারা যাবেন এটা ঠিক নয়। এটা ভুল ধারণা। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু ডেঙ্গি আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। এ দিন জ্বরে আক্রান্ত ২০০ বেশি রোগী ভর্তি হন। এ পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের সামান্য জ্বর হয়েছে। তাঁরা বাড়িতে থাকলেই ৩-৪ দিনেই তা কমে যেত। কিন্তু বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে ভর্তি করে দিচ্ছেন। রোগীর চাপ সামাল দিতে গিয়ে পেয়িং ওয়ার্ডকে ফ্রি ওয়ার্ডও করা হয়েছে। |