ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বজয়ী অধিনায়ককে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি থেকে অজয় মাকেন সবাই এগিয়ে এসেছিলেন। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র পেয়েও গেলেন উন্মুক্ত চন্দ। কিন্তু উন্মুক্তের ভাগ্য যে তার সতীর্থ দুই ক্রিকেটারেরও হয়েছে, সে কথা বোধহয় কারও জানা নেই।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলে বাংলার দুই সদস্য, রবিকান্ত সিংহ এবং সন্দীপন দাস অতীতে ঠিক প্রায় একই সমস্যায় পড়েন। ক্রিকেটীয় কারণে দু’জনে ফর্ম ভর্তি করতে পারেননি বলে পরীক্ষায়ও বসতে পারেননি। ফলে দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিতে পারলেও শিক্ষাক্ষেত্রে কিন্তু দুই তরুণ ক্রিকেটারই পিছিয়ে পড়েছেন। |
বছরখানেক আগে জাতীয় দলের সদস্য হিসেবে বেঙ্গালুরুর জাতীয় অ্যাকাডেমির শিবিরে ছিলেন বিশ্বকাপে ১২ উইকেট পাওয়া রবিকান্ত। দেশের জন্য প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকায় সে বার প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফর্ম ভর্তি করতে পারেনি। আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজের বি.কম অনার্সের ছাত্র তাই রয়ে গিয়েছেন প্রথম বর্ষেই। রবিকান্তের কথায়, “দেশের হয়ে খেলতে যাওয়ার জন্য কলেজ যেতে পারিনি। আমাদের দিকটাও ভেবে দেখা উচিত।” রবির দাদা ঋ
ষিকান্ত বলছিলেন, “প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজ থেকে সাড়া না পেলে ওকে নিউ আলিপুর কলেজে ভর্তির চেষ্টা করব। শুনেছি ওরা খেলোয়াড়দের সুবিধা দেয়।”
আবার আগরপাড়া মহাজাতি বিদ্যাপীঠের ছাত্র সন্দীপনের সমস্যার শুরু দু’বছর আগে। সেই সময় মধ্যপ্রদেশে বাংলার অনূর্ধ্ব ১৬ দলের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন সন্দীপন। তাঁর কথায়, “মধ্যপ্রদেশে থাকার সময়ই মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশন হয়ে যায়। পরে আর আমার করার সুযোগ ছিল না। তাই মাধ্যমিক দেওয়া হয়নি।” বর্তমানে সন্দীপন প্রাইভেটে মাধ্যমিকের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। সব ঠিকঠাক চললে অক্টোবরে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেবেন জগদ্দলের বিশ্বকাপার ক্রিকেটার। সন্দীপনের আক্ষেপ, “আমরা তো দেশ বা রাজ্যের প্রতিনিধিত্বই করছি। সে ক্ষেত্রে কি একটু সুবিধা পেতে পারি না?” |