মাটি জমে বুজে গিয়েছে নর্দমা। বর্জ্য জমছে রাস্তার পাশেই। জ্বলে না রাস্তার আলো। বারবার আবেদন সত্ত্বেও জামুড়িয়ার চাঁদায় এ সব সমস্যা মেটেনি বলে অভিযোগ।
২ নম্বর জাতীয় সড়কে রয়েছে জামুড়িয়ার এই চাঁদা মোড়। উত্তর দিকের রাস্তা ধরে এগোলে দোমহানি, হরিপুর। দক্ষিণে চাপুই, রতিবাটি, কোয়ারডি কোলিয়ারি। পশ্চিমে আসানসোল ও পূর্ব দিকের রাস্তা গিয়েছে বর্ধমান, বাঁকুড়া যাওয়ার প্রধান সড়কের দিকে। তৃণমূলের চাঁদা আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক অশোক পালের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ের অধিকাংশ আলোই জ্বলে না। উত্তর দিকে জাতীয় সড়কের প্রধান নর্দমাটি মাটি পড়ে বেশ কিছুটা বুজে গিয়েছে। আশপাশের নানা এলাকার মানুষ সেখানে আবর্জনাও ফেলেন। ফলে, বর্ষায় জাতীয় সড়কের উপর দিয়েই নোংরা জল বইতে থাকে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বারবার লিখিত আবেদন জানালেও কোনও প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ অশোকবাবুর।
|
আরও অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ে সরকারি ও বেসরকারি দূরপাল্লার বাস দাঁড়ায় না। এ ব্যাপারে আসানসোল ও বর্ধমানের পরিবহণ দফতরে গণস্বাক্ষর সম্বলিত আবেদন পাঠানো হয়েছে। পুর এলাকাতেও পরিষেবা সংক্রান্ত নানা সমস্যা রয়েছে বলে দাবি অশোকবাবুর। তাঁর কথায়, “চাঁদার তেলিপাড়া ও গড়াইপাড়ায় রাস্তার মোরাম জলে ধুয়ে গিয়েছে। নর্দমা নেই। মহাবীর পাড়ায় অর্ধেক রাস্তা জরাজীর্ণ। খারাপ নিকাশির কারণে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। চাঁদা মোড়ের এক দিকে ও নিঘা মোড়ে কোনও যাত্রী প্রতীক্ষালয় নেই। ফলে গরমে ও বর্ষায় নাকাল হন যাত্রীরা।” স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক বাউরি, টুম্পা বাউরি, পরিমল দাসদেরও দাবি, এই সব সমস্যা নিয়ে দাবিপত্র জমা দিয়েও ফল হয়নি।
এ দিকে জাতীয় সড়কের নর্দমা সংস্কার কার দায়িত্ব, সে নিয়েও তৈরি হয়েছে চাপান-উতোর। ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ইঞ্জিনিয়ার অতনু সেনের বক্তব্য, “ওই নর্দমাটি নিয়ে আমরা প্রায় তিন বছর ধরে পুরসভার সঙ্গে কথা বলছি। সেটি সংস্কার করা পুরসভার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।” পুরপ্রধান ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কী বলছেন, জানি না। তবে ওই নর্দমা সংস্কার জাতীয় সড়কের দায়িত্ব।” অন্য সব পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “টাকার অভাবে অনেক কাজ হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে টাকা পেলেই কাজ হবে।” আসানসোলের মহকুমাশাসক প্রতুল ভুঁইয়া বলেন, “চাঁদা মোড়ে বাসস্টপ সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পাইনি। তা পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।” |