বিষ্ণুপুর সংলাপ নাট্যমঞ্চ যদুভট্ট মঞ্চে শুরু করল প্রতি মাসে থিয়েটার। আয়োজক সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন, আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত চলবে এই অনুষ্ঠান। প্রতি মাসে অনুষ্ঠিত হবে বাঁকুড়া-সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার একটি করে নাটক। প্রথম দিন রবিবার উদ্বোধনী নাটক ছিল বর্ধমান জেলার অযান্ত্রিক নাট্য সংস্থার ‘সাঁঝ বেলায় একা’।
|
সম্প্রতি বিষ্ণুপুর ব্লকের দুন্দুড় গ্রামে পণপ্রথা ও বাল্যবিবাহ রোধ নিয়ে একটি আলোচনাচক্র হয়ে গেল। বিষ্ণুপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর এই নিয়ে একটি পথ নাটকেরও আয়োজন করেছিল। গ্রামবাসীদের সচেতনতার লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন বলে জানিয়েছেন বিষ্ণুপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক আজিজুর রহমান।
|
কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া ব্লকের সড়বড়িতে। রবিবার বিকেলে রঘুনাথপুর মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে সড়বড়ি মোড়ের সম্প্রতি সদনে ওই অনুষ্ঠান হয়। নজরুল ইসলামের রচিত গান পরিবেশন করেছেন স্থানীয় শিল্পীরা। এছড়াও ছিল আবৃত্তি ও নৃত্য। যোগ দিয়েছিলেন স্থানীয় শিল্পী গোষ্ঠীগুলির সদস্যরা। কবির জীবন, সাহিত্যের উপরে হয়েছে আলোচনাসভা। উপস্থিত ছিলেন রঘুনাথপুরের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি।
|
‘আমার শৈশবে
এঁদো গলিও
আশ্রয় দেয়নি আমাকে।
আমার প্রত্যেক মুহূর্ত
মরীচিকার প্রলোভন ঠেকাত।
দেখা পেতাম
ছোয়া ছিল না।
ভালবাসা, স্নেহের
হাহাকার ছিল অজস্র,
সান্ত্বনা... কল্পনা বিলাস
মনে হত!!’
লিখেছেন মধুরিমা নার্গিস। বীরভূমের এক নবীন কবি। পত্রিকার নাম ‘চরৈবেতি’। বীরভূম-ঝাড়খণ্ড সীমান্তবর্তী রাজগ্রাম থেকে ওই লিটল ম্যাগাজিনটি প্রকাশ করেন কুদ্দুস আলি। গ্রাম বাংলার অন্যান্য পত্রিকা যেমন ‘চরৈবেতি’ও মধুরিমার মতো বহু নতুন কবি ও লেখকদের হাত পাকানোর অন্যতম উপায়। ‘চরৈবেতি’র মতোই লিটল ম্যাগাজিনগুলিতে প্রকাশিত কবিতা, গল্প বা লেখা থেকে তাঁদের চোখে উঠে আসে তাঁদের দেখা সমকাল। সেই নবীন সাহিত্যিকেরা প্রথম জীবনে লেখায় উৎসাহ পান এমন অনেক নাম না জানা সব লিটল ম্যাগাজিন ও তার সম্পাদকদের থেকেই। কুদ্দুসবাবু নিজে রাজ্যের বহু পত্রপত্রিকায় গল্প লিখলেও রাজগ্রাম থেকেই গত ২৪ বছর ধরে ‘চরৈবেতি’ প্রকাশ করে আসছেন। বছরে দু’টি করে সংখ্যা প্রকাশিত হয়। কুদ্দুস জানালেন, পুজোর পরেই আসছে ‘চরৈবেতি’র বিশেষ ছোটগল্প সংকলন।
|
এই সঙ্গীতশিল্পীর জীবদ্দশাতেই তাঁর গান গেয়েই বহু গায়ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তাঁর কণ্ঠ নকল করেই শুরু করেছেন তালিম। তিনি প্রয়াত শিল্পী কিশোরকুমার। সেই কিশোরকুমারের গান গেয়ে গোটা দেশে অনেকেই ‘কিশোর কণ্ঠী’ সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। কিশোরের গান গেয়েই রাজ্যে পরিচিতি পেয়েছেন বীরভূমেরই এক শিল্পী। তিনি মল্লারপুরের গায়ক বুবুল সিংহ। বুবুল শৈশব থেকেই দৃষ্টিহীন। কিশোরের গান গাইছেন সেই ১৯৯৩ সাল থেকে। তালিম পেয়েছেন সিউড়ির উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী শান্তব্রত নন্দন ও সুরকার মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। তবে বুবুলের আসল ‘গুরু’ কিন্তু, পুরনো দিনের টেপরেকর্ডার। অবশ্য এখন সেই টেপরেকর্ডারের জায়গা নিয়েছে মোবাইল। বুবুল এখন মোবাইলে গান শুনেই প্রস্তুতি নেন গানের। তাঁর কথা মতো, আজ পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই গানের অনুষ্ঠান করেছেন। অনুষ্ঠানের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ষোলোশো। বুবুল তবলার পাশাপাশি রবীন্দ্রসঙ্গীতও শিখেছেন।
|
|
|
সিউড়ি রবীন্দ্র সদনে সংস্কার ভারতীর অনুষ্ঠান। |
দ্বিজেন্দ্রলাল রায় স্মরণে অনুষ্ঠান। |
|
সংস্কার ভারতীর সিউড়ি শাখা বরাবরই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দর্শক-শ্রোতাদের নতুন কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করে। স্বাভাবিক ভাবেই ওই সংস্থার অনুষ্ঠানে জনতার ভিড় উপচে পড়ে। গত ২৬ অগস্ট তাঁরা স্থানীয় রবীন্দ্রসদনে কবি, গীতিকার ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে নিয়ে একটি মনোরম অনুষ্ঠান উপহার দিলেন। সেখানে স্বামী বিবেকান্দকে নিয়ে ‘কবি ও সন্ন্যাসী’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের সমবেত নৃত্যানুষ্ঠানটি দর্শকদের মন ভরিয়ে দিয়েছে।
|
তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়।
—নিজস্ব চিত্র। |