বেসরকারি বা ব্যক্তিমালিকানায় কর্মরত শ্রমিকরা অবসরের পর যাতে শেষ বয়সে কোনও ক্রমে দিন গুজরান করতে পারেন, তার জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভার বিভিন্ন নেতার মহৎ চেষ্টায় ১৯৯৫ সালের ১৫ নভেম্বর ওই শ্রমিকদের জন্য চালু হয় ‘এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড পেনশন প্রকল্প’। এর জন্য শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে পেনশন ফান্ডে টাকা কেটে নেওয়া হয়, আজও হচ্ছে।
১৯৯৫ সালের পর থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কেউ ৩০০ টাকা, কেউ ৬০০ টাকা পেনশন পাচ্ছি। তখন বাজারে জিনিসপত্রের দাম আজকের বাজারদর থেকে অনেক কম ছিল। ২০০০ সালের পর আজ পর্যন্ত এই পেনশন খাতে কোনও বৃদ্ধি হয়নি। অন্য সব পেনশন বা ভাতাসমূহ যথানিয়মে বেড়েই চলেছে।
এই পেনশনের আওতায় যাঁরা আছেন, তাঁরা অসীম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এই সামান্য টাকায় কী করে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকরা বেঁচে থাকেন! অনেকের সন্তানরা এঁদের ঠিক মতো দেখাশোনা করে না, অনেকের সন্তানই বিয়ে করে এঁদের ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। কোনও অর্থ সাহায্য করে না। এঁদের কোনও কোনও সন্তান রোজগারের আশায় বিদেশে গিয়ে বাবা-মায়ের খোঁজ রাখে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কোনও চিঠি দিলে সহজে তার উত্তর পাওয়া যায় না। বর্তমান শ্রমমন্ত্রী মহাশয়কে চিঠি দিয়েও কোনও উত্তর পাওয়া যায় না। কেউ কিছু করতে চাইছে না। তা হলে ওই পেনশন স্কিমের মূল্য কী? কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কোনও পেনশন স্কিমে এমন দুর্দশা নেই। এত অবজ্ঞা, এত অবহেলা নেই। তা হলে এই পেনশন স্কিমের আওতায় থাকা লোকগুলো অনাহারে, অর্ধাহারে থেকে ক্রমে মৃত্যুমুখে চলে যাবে। আর বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ও তার সহযোগীরা ‘দেশ এগিয়ে চলেছে’ বলে জয়গান গাইতে থাকবে, যাতে এই ‘ই পি এফ’ পেনশনভোগীদের আর্তনাদ শোনা না-যায়।
গত ২২ জুলাই, ২০০৪ কেন্দ্রীয় শ্রম দফতরের অধীন সমীক্ষক দলের সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, ন্যূনতম পেনশন ওই সময়ের বাজারদর অনুযায়ী মাসিক ৩২৫০ টাকা দেওয়া যেতে পারে। এই খবর দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছিল।
এর পর দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর চলে যেতে থাকে। কেন্দ্রীয় শ্রম দফতর, কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ চুপ হয়ে এই মানুষগুলোর দুর্দশা দেখছে মনে হয়। ২০১০ সালে একটি এক্সপার্ট কমিটি তাদের গোপন রিপোর্ট পাঠায়। রিপোর্ট পেয়েও কেন্দ্রীয় সরকার এই পেনশন স্কিমের মধ্যে থাকা মানুষগুলোর জন্য কিছু করছে না।
অথচ সংসদ সদস্যদের ভাতা বৃদ্ধির জন্য কোনও সমীক্ষক দল লাগে না বা কোনও এক্সপার্ট কমিটির সুপারিশ লাগে না। ই পি এফ পেনশন স্কিমে থাকা অবসরপ্রাপ্ত মানুষগুলো কী ভাবে বেঁচে আছেন, কেউ খবর নেবেন? আনক্লেমড ৪০,০০০ কোটি টাকা এই ফান্ডে পড়ে আছে। এই টাকা দিয়ে এই পেনশন বৃদ্ধি করা যায়। এই টাকার কোনও ব্যবহার হচ্ছে না। তা হলে এই পেনশন স্কিমের ভবিষ্যৎ কী? কেনই বা এই অবহেলার পেনশন স্কিম চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার?
এই সামান্য টাকা নির্দিষ্ট কোনও দিনে ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া যায় না। অনেক সময় ২৮ তারিখেও ব্যাঙ্কের থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়। কেউ দেখার নেই, কোথাও যাওয়ার নেই, সুরাহার কোনও রাস্তা নেই। অনেক টাকা মাইনে পাওয়া ফান্ড অফিসের কর্তারাও কিছু করেন না। এই ভাবেই কি চলবে?
অরুণ ভট্টাচার্য ও অন্যরা। উত্তর নিমতা, পাইকপাড়া,
কলকাতা-৪৯
|
শিশিরকুমার ভাদুড়ির হাহাকার’ (৩০ শ্রাবণ ১৪১৯) বোঝাতে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ভাদুড়ি মশায়ের ‘পদ্মভূষণ’ খেতাব প্রত্যাখানের কথা লিখেছেন। শিশিরকুমার ১৯৫৯ সালে ভারত সরকারের ‘পদ্মভূষণ’ উপাধি সবিনয় প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছিলেন, নাট্যকার বা নাট্যশিল্পী কখনও রাষ্ট্রশক্তি তথা সরকারের হাতে পুরস্কার নিলে সরকারি কাজকর্মের ভুলত্রুটির সমালোচনা করতে গিয়ে শিল্পীসত্তার প্রতিবাদী মানসিকতায় দ্বিধা সৃষ্টি হয়। এ যুগে শিল্পী ও শাসকের সম্পর্কের প্রেক্ষিতে এই মন্তব্যটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়। বাঁকুড়া
|
কলকাতার পাতায় এক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘অদ্রিকাকে কোলে নিয়ে ফেরার সময়ে আচমকাই শর্মিষ্ঠাদেবীর মোবাইলে একটি ফোন আসে এবং ডান হাত দিয়ে ফোনটি ধরার সময়ে অসাবধানে পড়ে যায় অদ্রিকা’ (২১-৮)। আমি শর্মিষ্ঠাদেবীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি, অটো ইউনিয়নের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া পুলিশের এই বক্তব্য ভুল। অদ্রিকার শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণার পাশাপাশি পত্রিকায় প্রকাশিত এই ‘ভুল তথ্য’ পরিবারের কাছে আরও বেশি অস্বস্তিকর এবং পীড়াদায়ক।
অনিতকুমার ঘোষাল। কলকাতা-৩৬ |