সেই রাতে রাজকুমারের গায়ে কোনও কাপড় ছিল না।
তাই সেই রাতটি নিয়ে গোটা বিশ্বে কম চর্চা হয়নি।
সেই রাতে লাস্যময়ীদের ভিড় কাটিয়ে রাজকুমারের সঙ্গে কিছু ক্ষণ একা কাটাতে পেরেছিলেন তিনি।
লাস ভেগাসের হোটেলের সেই বহুচর্চিত রাত নিয়ে ব্রিটেনের এক সংবাদপত্রে এত দিনে মুখ খুলেছেন বছর ৩২-এর ব্রিটিশ মহিলা ক্যারি রিখার্ট। যাঁর কথায়, ব্রিটেনের রাজকুমার হ্যারির সঙ্গে ‘স্ট্রিপ বিলিয়ার্ড’ খেলার অভিজ্ঞতা অনবদ্য।
সান দিয়েগোর বাসিন্দা, পেশায় সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ ক্যারিই প্রথম মহিলা যিনি ওই রাত নিয়ে মুখ খুললেন। তাঁর দাবি, তিনি ছাড়া কেউই জানতেন না যে প্রমোদে মত্ত ওই ছেলেটি ব্রিটেনের সিংহাসনের তৃতীয় দাবিদার।
নগ্ন রাজকুমারের সঙ্গে কাটানো ওই বিশেষ কিছু মুহূর্ত ক্যারির কাছে ‘রোম্যান্টিক’ নয়, শুধুই মজার, “অতিরিক্তি মদ খেয়ে ও একেবারে অন্য জগতে ছিল।” ক্যারির আরও দাবি, হ্যারির পার্টিতে যোগ দেওয়ার জন্য আরও ন’জন মহিলার সঙ্গে তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন রাজকুমারেরই অনুচরবর্গ। আর তাঁকে বিশেষ ভাবে বাছা হয়েছিল রাজকুমারকে একা সঙ্গ দেওয়ার জন্য। রাজকুমারের সঙ্গে পার্টির সুযোগে লাফিয়ে উঠেছিলেন ক্যারি।
ছোটবেলা ব্রিটেনেই কাটিয়েছেন ক্যারি। ব্রিটেন নিয়েই ক্যারি-হ্যারির আলাপচারিতা শুরু। রাজকুমার তখনও হুঁশ হারাননি। তার কিছু ক্ষণ পরেই ক্যারির কথায়, “আমরা প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে চুমু খেলাম। বার বার। ও বলল, দারুণ লাগছে।” হ্যারি এই সময়
থেকেই নগ্ন ছিলেন বলে জানিয়েছেন ক্যারি।
‘‘ইংল্যান্ডে জন্মেছি বলে রাজপরিবার সম্পকের্র্ অনেক কিছুই জানি আমি। কিন্তু হ্যারির সঙ্গে আর কারা ছিল, তাদের চিনতে পারিনি,” বলেছেন ক্যারি। তবে একটি বিষয়ে তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে হ্যারিকে তিনি ছাড়া আর কোনও মহিলাই চিনতে পারেনি। ক্যারির মন্তব্য, “আমার কাছে সবাই জানতে চাইছিল ও কে? আমিই ওদের জানালাম ও রাজকুমার হ্যারি।”
পার্টিতে ঢালাও মদ আর হইহুল্লোড়। নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কাউকেই চোখে পড়েনি ক্যারির। “জামাকাপড় খুলে হ্যারি আর নিজের মধ্যে ছিল না। বার বার আমাকে এসে জড়িয়ে ধরছিল। পুল টেবিলের ধারে পুল স্টিকস হাতে গিটার বাজানোর উদ্দাম ভঙ্গিতে দেখলাম হ্যারিকে। চেঁচিয়ে বলছিল মাইকেল জ্যাকসনের কিছু করব।” ক্যারি অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সে রাতে মজা করাটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল। হ্যারি পার্টিতে সবাইকেই নগ্ন হতে বলছিল। কিন্তু সেটা কোনও কুৎসিত উদ্দেশ্যে নয়।
ক্যারি যা-ই বলুন, রাজপরিবারের কনিষ্ঠ উত্তরাধিকারীর ‘কীর্তি’ নিয়ে জলঘোলা হয়েছে যথেষ্টই। সে রাতের আমোদের সবিস্তার বর্ণনা এ বার প্রকাশ্যে এল। এতে রাজপরিবারের অস্বস্তি কতটা বাড়ে, সেটাই এখন দেখার। |