অজানা জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে শালবনির কয়েকটি গ্রামে। শুক্রবার রাতে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ঝর্না বালা (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রীর। মহাশোল গ্রামের বাসিন্দা ঝর্না গড়বেতা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। গত চার দিনে ওই এলাকার আরও প্রায় ৪০ জন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গির প্রমাণ মেলেনি। পরবর্তী পরীক্ষার জন্য আক্রান্তদের কয়েকজনের রক্তের নমুনা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছে। সেখানেও কিছু না পাওয়া গেলে নমুনা পাঠানো হবে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন-এ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার জ্বর নিয়ে ঝর্না প্রথমে শালবনি ব্লক হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গভীর রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জ্বরের সঙ্গে তাঁর ইউরিনারি ট্র্যাকে সংক্রমণ হয়েছিল। তার থেকে সেপ্টিসেমিয়া হয়ে যায়। স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস বলেন, “সামান্য ইউরিনারি ট্র্যাক সংক্রমণ থেকে সাধারণত মৃত্যু হয় না। তাই বিষয়টি একটু অদ্ভুত লাগছে। আমরা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছি।” এ দিকে, শনিবার সকাল থেকেই শালবনির বিভিন্ন গ্রামে সরকারি চিকিৎসকেরা গিয়ে গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র জানিয়েছেন, মহাশোল, মণ্ডলকুপি, সিদাডিহি, জগন্নাথপুর-সহ কয়েকটি গ্রামের বেশ কয়েকজন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
|
প্রায় ২ কোটি টাকায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের প্রশাসনিক ভবন তৈরি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বালুরঘাটে যাবেন জানতে পারার পর তাঁকে দিয়ে ওই ভবনের উদ্বোধনের তোড়জোড় শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বালুরঘাটে গেলে শুক্রবার তাঁকে দিয়ে উদ্বোধন করাতে নানা ভাবে চেষ্টা করেন জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধনের কর্মসূচি চূড়ান্ত না-হলেও তিনি আসতে পারেন এই আশা নিয়ে প্রস্তুত হয়ে ছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ভবন উদ্বোধনে যেতে পারেননি। |