তৃণমূলের ‘অনুগত’ সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে একই সংগঠনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এতদিন রাজ্যের প্রধান শাসক দলের ‘প্রভাবিত’ সরকারি কর্মচারী সংগঠন বিভিন্ন গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে কাজ করছিল। দলেরই সমর্থক সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর কার্যকলাপে মন্ত্রী থেকে আমলারা সমস্যায় পড়ছিলেন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসে। বস্তুত তাঁরই নির্দেশে, শনিবার রাজ্যের তিন ‘গুরুত্বপূর্ণ’ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পূর্ণেন্দু বসু ও সুব্রত মুখোপাধ্যায় দলীয় প্রভাবিত সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতাদের তৃণমূল ভবনে ডেকে জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেনও।
বৈঠকের পরে পার্থবাবু, পূর্ণেন্দুবাবু জানান, ‘ইউনাইটেড স্টেট গর্ভণমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’ ছাড়া আর তৃণমূল প্রভাবিত আর কোনও সংগঠন রাখা হবেনা। প্রসঙ্গত, এর আগে দলনেত্রীর নির্দেশেই তৃণমূলের শ্রমিক শাখাও ‘একই ছাতার তলা’য় নিয়ে এসে একটি সংগঠন করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, দলীয় প্রভাবিত সরকারি কর্মচারীরাও বিভিন্ন সংগঠন করে চাঁদা তুলছিলেন। বিভিন্ন সংগঠনের ফলে ‘অর্ন্তদ্বন্দ্ব’ও হচ্ছিল। সবচেয়ে বড় কথা, বিভিন্ন সংগঠনের নাম করে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছিল। এরফলে সরকারি কাজে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘কর্মসংস্কৃতি’ নষ্ট হচ্ছিল। পার্থবাবু এ দিন বলেন, “এ বার থেকে সরকারি কর্মচারিরা কোনও কর্মসূচি নিলে তা কেন্দ্রীয় ভাবে করা হবে।”
বৈঠকের পরে তৃণমূল বিধায়ক তথা দলীয় প্রভাবিত সংগঠনের নেতা মৃগেন মাইতি জানান, এ দিন বৈঠকে ‘অ্যাড হক কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। সংগঠনের সংবিধান ও আচরণ বিধির খসড়া সাত দিনের মধ্যে তৈরি করার জন্য পার্থবাবুরা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন। ওই কমিটিতে মনোজ চক্রবর্তী, মঙ্গলময় ঘোষ, জিতেন ঘোষ প্রমুখ নেতাদের রাখা হয়েছে। মৃগেনবাবু বলেন, “এখন থেকে যে একটি সংগঠন থাকবে এবং সংগঠন কী ভাবে কাজ করবে তা লিখিতভাবে মন্ত্রী ও জেলাশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হবে।” পুজোর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্য সম্মেলন করে সংগঠনের স্থায়ী কমিটি গঠন করা হবে বলে তিনি জানান। |