|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
২৬ অগস্ট - ১ সেপ্টেম্বর |
|
ট্যাম্পা ট্যাম্পা লন্ডন তেহরান/কায়রো কাবুল |
|
• লাল নীল, বেলুন স্ট্রিমার, রমনি রমনি! ফ্লোরিডার ট্যাম্পা-য় রিপাবলিকান কনভেনশনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হলেন মিট রমনি। ঘোষণা করলেন, এই ওবামার শেষ, তাঁর শুরু। আমেরিকার অর্থনীতিকে তিনি চাঙ্গা করবেনই, প্রতিশ্রুতি দিলেন। “ওবামা সমুদ্রের উত্তাল তুফান কমাতে চেয়েছিলেন, এই গ্রহের কষ্টের উপশম চেয়েছিলেন। আমি অবশ্য যা কিছু করব, সে সবই আপনার আর আপনার পরিবারের কথাটুকু ভেবেই,” রমনির অমর বাণী। আমেরিকা সান্ত্বনা পেল কি না, জানতে বাকি আর দুই মাস।
• অ্যাসাঞ্জ-এর ধারণা, লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে তাঁকে এক বছর পর্যন্ত থাকতে হতে পারে। তার মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভুল প্রমাণিত হয়ে যাবে। সুইডিশ সরকার নিশ্চয়ই মামলা খারিজ করে দেবে।
• এক পাশে মিশর, অন্য পাশে ইরান, মাঝখানে সিরিয়া। ইরান-মিশরের বহু কালের দূরত্ব অতিক্রম করে সুসম্পর্ক তৈরির তেষ্টায় তেহরান সফরে গিয়েছেন নতুন মিশরী প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুর্সি। কিন্তু সেখানে বক্তৃতায় বললেন, সিরিয়ায় যা হচ্ছে, অন্যায় হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট বাশারের উচিত ক্ষমতা হস্তান্তর করা। বাশার তথা তাঁর দেশ সিরিয়া এ দিকে ইরানের অতীব প্রিয়পাত্র। এ বার?
• আফগানিস্তানের ওয়ার্ডাক প্রদেশে ন্যাটোর সামরিক বেসের কাছেই জোড়া আত্মঘাতী হামলা তালিবানের। চার পুলিশকর্মী এবং অন্তত ন’জন স্থানীয় মানুষ নিহত।
|
• কেবল কি হলিউডের আইকন? তিনি ‘আমেরিকান’ আইকন। কিন্তু রমনির সমর্থনে ক্লিন্ট ইস্টউড এ কী অদ্ভুতুড়ে বক্তৃতা দিলেন? একটি খালি চেয়ারের সঙ্গে কথা বলে গেলেন, ইঙ্গিত, তাতে থাকার কথা প্রেসিডেন্ট ওবামার, কিন্তু তিনি অনুপস্থিত, ‘অকর্মা’। আইডিয়াটা ভাল, তবে জমল না তেমন। এত তথ্যের ভুল, এত নীচু মানের রসিকতা: হায় ‘ডার্টি হ্যারি’! |
|
ইসলামাবাদ |
|
রিমশা মিসাহ ১১ বছরের একটা মেয়ে। জন্ম থেকে ডাউন সিন্ড্রোমের শিকার। এই ক্রোমোজম-ঘটিত রোগটি বুদ্ধির বিকাশের পথে অন্তরায়। যে কোনও স্বাভাবিক দেশ এই মেয়েটিকে একটু বেশি যত্নের সঙ্গে দেখত। কিন্তু রিমশা পাকিস্তানের নাগরিক, তার ওপর খ্রিস্টান। এক দিন সে কতগুলো কাগজ নিয়ে যাচ্ছিল আগুন জ্বালাতে। সেই কাগজে কোরানের কিছু আয়াত লেখা ছিল। তার জানার কথা নয়, ধর্মের ধ্বজাধারীরা ঘোষণা করেছেন, যে কাগজে আয়াত লেখা থাকবে, সেটাই পবিত্র। ব্যস, ধর্মদ্রোহের দায়ে রিমশা গ্রেফতার। আন্তর্জাতিক স্তরে বিপুল হইচই আরম্ভ হওয়ায় প্রেসিডেন্ট জারদারি খোদ তদন্তের আদেশ দিলেন। তাতেও লাভ হয়নি, ইসলামাবাদের আদালত রিমশাকে জেল হেফাজতের হুকুম দিয়েছে।
|
কেমব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস |
মালদায় তৃণমূলের ছাত্রনেতা পরীক্ষায় টুকলি করে ধরা পড়লে তো খুব ছি ছি। ও দিকে, পৃথিবীর সবচেয়ে নামী শিক্ষাকেন্দ্র হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে গণটুকলি চলছে। স্নাতক স্তরে ‘অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু কংগ্রেস’ নামে একটা কোর্স পড়ানো হয়। তাতে ছাত্রসংখ্যা মেরেকেটে আড়াইশো। পরীক্ষার খাতা দেখতে বসে মাস্টারমশাই বিস্মিত পর পর কুড়িটা খাতায় একই ভাষায়, একই উত্তর লেখা। শেষ পর্যন্ত দেখা গেল, ১২৫ জন ছাত্র টুকে পরীক্ষা দিয়েছে। এমনিতেই পরীক্ষাটি ‘ওপেন বুক, ওপেন নোটস’ ছিল। ছাত্ররা তাতেও খুশি নয়, পাশের ছেলের খাতায় উঁকি মেরেছে এন্তার। হইচই, কেলেঙ্কারির একশেষ। নামী হলে যা হয়, কুকথা রটে জড়েরও আগে।
|
প্যারিস |
ফরাসি লেখক রিচার্ড মিলেট একটি মন্তব্য করে ইউরোপময় শোরগোল ফেলে দিয়েছেন। নরওয়েজিয় অভিযুক্ত ব্রেইভিক (ছবি) একসঙ্গে বহু লোককে খুন করে তাঁর দেশের প্রতি বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন গত বছর, গত সপ্তাহে তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি পেয়েছেন। একটি প্যামফ্লেটে ব্রেইভিক প্রসঙ্গে মিলেট-এর মন্তব্য: ব্রেইভিক যা করেছেন, সেটাকে তিনি সমর্থন করেন না। তবে কি না, বহুসংস্কৃতিবাদের নামে ইউরোপে যা হচ্ছে, তাতে ব্রেইভিকের বক্তব্যকে অসংগত বলা চলে না, “ব্রেইভিকের মতো মানুষ নরওয়ের প্রাপ্য ছিল।” গত কুড়ি বছরে ইউরোপে অভিবাসনের বাড়াবাড়িতে এমন ঘটাই স্বাভাবিক। হইচই পড়ে গিয়েছে ফ্রান্স, নরওয়ে এবং অবশিষ্ট ইউরোপে।
|
বেজিং |
চিনেরা সারা দিন চাউমিন খায়, তাতে আরশোলা মেশানো থাকে ভারতবাসীর এই সর্বজনীন অজ্ঞতাপ্রসূত বিশ্বাস যদি আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে থাকে, তবে হে পাঠক, তিষ্ঠ ক্ষণ কাল। চিনের খবরের কাগজ লিখেছে, ভারতীয় মহিলামাত্রেরই গায়ের রঙ কালো। সেই গাত্রবর্ণে সোনার গয়না অতি চমৎকার খোলে, ফলে সব ভারতীয় মেয়েই সর্ব ক্ষণ গয়না পরে থাকে। বোকামোর কোনও পাসপোর্ট চাই না, স্পষ্ট!
|
শেষ পাত |
তিনি বিশ্বের ধনীতম মহিলা। মোট সম্পদ ১৯০০ কোটি পাউন্ড। হিংসে করছেন শুনে? হুম, অস্ট্রেলিয়ার জিনা রাইনহার্টকে নাকি অনেকেই হিংসে করেন। অনেকে, মানে ‘চারপাশের গরিবরা’। তাদের জন্য সহজ পরামর্শ দিয়েছেন জিনা ‘সারা দিন বসে বসে মদ-সিগারেট না খেয়ে, পড়শির সঙ্গে বাজে আড্ডা না মেরে মন দিয়ে কাজ করো তো বাপু, দেখবে তুমিও বড়লোক হয়ে গেছ।’ একেবারে কলকাতার অটোরিকশার দর্শন ‘হিংসে করো না চেষ্টা করো, তোমারও হবে’। হায়! এ ঘোর কলিতে সৎ পরামর্শের দাম নেই। দেশজুড়ে ধিক্কার। মারি আঁতানোয়াতের সঙ্গেও তুলনা হচ্ছে তাঁর। |
|
|
|
|
|