আনারস উৎসবের শুরুর দিনেই উপচে পড়া ভিড় দেখে আগামী বছর তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে করার কথা ঘোষণা করল শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। শনিবার শিলিগুড়ির বিধাননগর আনারস উন্নয়ন কেন্দ্রে উৎসবের সূচনা করেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। উৎসবের উদ্যোক্তাদের অন্যতম তথা এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “এ বছর আনারস উৎসবের আয়োজন করে বিপুল সাড়া পাওয়া গিয়েছে। আগামী বছর আমরা আন্তর্জাতিক আনারস উৎসব করতে চলেছি। এখানকার আনারস চাষ বাসিন্দাদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে চাই।”
আনারস উৎসবকে ঘিরে খুশি আনারস চাষি থেকে ব্যবসায়ী সকলেই। উৎসবের উদ্বোধক তথা রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, “রাজ্য সরকার কেবল ‘উৎসব’ করছে বলে অনেকে বলছেন। কিন্তু এই উৎসবের মাহাত্ম্য বোঝার ক্ষমতা অনেকের হয়তো নেই। মানুষের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি এতদিন অবহেলিত ছিল। এ সব যে জরুরি এবং তার বাস্তবায়ন কতটা দ্রুত দরকার তা এই উৎসবের আয়োজনের মধ্য দিয়েই বোঝা যাচ্ছে। প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, সুষ্ঠু সংরক্ষণ ব্যবস্থা না-থাকায় আনারসের মতো জিনিস ৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যায়। সে সব ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার।”
তিন দিন ব্যাপী এই আনারস উৎসবে ৭৬টি প্রদর্শনী স্টল রয়েছে। বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাও স্টল দিয়েছেন। আনারসের বিরিয়ানির মতো নানা চমকপ্রদ পদ চেখে দেখতে ভিড় জমছে স্টলে স্টলে। আনারসের জিলিপি, রসগোল্লা, রসমালাই, সন্দেশের মতো রকমারি মিষ্টিও মিলছে। উৎসবের আয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে বিধাননগর আনারস ব্যবসায়ী সমিতি এবং উত্তরবঙ্গ আনারস চাষি সংগঠনও। আনারস চাষি সংগঠনের সভাপতি অরুণ মণ্ডল জানান, আনারস চাষের উন্নতির জন্য এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ যে ভাবে এগিয়ে এসেছেন তাতে তাঁরা আশাবাদী। এলাকার কৃষকদের একটি দলকে উন্নত পদ্ধতিতে আনারস চাষের বিষয়টি দেখাতে ব্রাজিলে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এ দিন এসজেডিএ-র তরফে ৯৬ জন আনারস চাষিকে এই কেন্দ্রে স্থায়ী ‘স্টল’ দেওয়া হয়। মহম্মদ আবদুল, বাবুলাল মুর্মুদের মতো কৃষকদের আর্থিক অনুদান দেওয়া হয় আনারস চাষে উৎসাহ দিতে। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উৎসব চলবে। |