টুকরো খবর
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ
এক মহিলার মৃত্যুর পরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে চিকিৎসককে ঘেরাও করে রাখল গ্রামবাসীদের একাংশ। বৃহস্পতিবার কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বসন্তিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘটনা। অভিযোগ, বুধবার মুকুন্দপুরের বাসিন্দা রাজীব মণ্ডলের স্ত্রী মালবিকা কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসক শান্তনু মহাপাত্রের তত্বাবধানে হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার শারীরিক অবস্থায় উন্নতি না হওয়ায় মালবিকাদেবীকে মহকুমা হাসপাতালে ‘রেফার’ করেন ওই চিকিৎসক। রোগীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বিকেলে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে রোগীকে শ্বাসকষ্ট উপশমের একটা ট্যাবলেট খেতে দেন ওই চিকিৎসক। তারপরেই মালবিকাদেবী অজ্ঞান হয়ে যান। মুখ দিয়ে রক্তও বেরোতে থাকে বলে অভিযোগ। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান তিনি। এরপর থেকেই রোগীর বাড়ির লোকজন ও গ্রামবাসীরা ওই চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকলে রাত ১০টা নাগাদ কাঁথির আইসি বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পৌঁছন দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তরুণ জানা ও জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন। পুলিশ ওই চিকিৎসককে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। তবে কাঁথির আইসি সুব্রত বারিক জানান, ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই তাঁকে থানায় আনা হয়েছিল। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কালিদাস দত্ত ঘটনার তদন্ত করতে এসিএমওএইচ তরুণকান্তি খাটুয়ার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন। মেডিক্যাল বোর্ডের মাধ্যমে ময়নাতদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

মুর্শিদাবাদে ১২ জনের ডেঙ্গি
ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বহরমপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন চার জন। তার মধ্যে মুক্তাদির শেখ নামে ১০ বছরের এক বালক রয়েছে। তার বাড়ি বহরমপুর লাগোয়া সারগাছিতে। ডেঙ্গি আক্রান্ত বাকি তিন জন হলেনবহরমপুরের রাধারঘাটের সোমনাথ চক্রবর্তী ও পঞ্চাননতলার প্রশান্ত শিকদার এবং নওদা থানার টুঙ্গি গ্রামের ইরকান খান। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেন, “ডেঙ্গির সমস্ত উপসর্গ ওই চার জনের শরীরে রয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে রক্ত পরীক্ষায় তাঁদের ডেঙ্গি ধরা পড়েছে। তবে রোগীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ওই চার জনই ব্যক্তিগত কাজে কলকাতা গিয়েছিলেন। কলকাতা থেকে ফিরে আসার পরেই তাঁরা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনের শরীরে ডেঙ্গির উপসর্গ মিলেছে। তার মধ্যে বহরমপুর ব্লকে ৬ জন, মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জে ২ জন, ভগবানগোলা-১ ব্লকে ১ জন, নবগ্রামে ২ জন এবং বেলডাঙা-২ ব্লকে ১ জন। অজয়বাবু বলেন, “কলকাতায় কাজের জন্য গিয়েছিলেন তাঁরা। ফিরে এসে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন।” ডেঙ্গি ধরা পড়ার পরে বৃহস্পতিবার রাতে ভর্তি হন প্রশান্তবাবু। বাকি তিন জন তার আগে ভর্তি হন। অজয়বাবু বলেন, “সদর হাসপাতালে ডেঙ্গি ক্লিনিক খোলা হয়েছে।”

মিড-ডে-মিল খেয়ে অসুস্থ ১৫০ পড়ুয়া
মিড-ডে-মিলের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল শ’দেড়েক ছাত্রছাত্রী। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ন্যাজাট নেতাজি বিদ্যামন্দিরে। অসুস্থদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। কয়েকজনকে বসিরহাট ও কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে এবং নিম্নমানের খাবার পরিবশনের অভিযোগ তুলে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্কুলে শিক্ষকদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান বসিরহাটের এসডিপিও আনন্দ সরকার, বিডিও অনিন্দ্য গৌতম এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীম দাস। প্রধান শিক্ষক অসীম গাইন বলেন, “মনে হচ্ছে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ ঠিক নয়।” সন্দেশখালির বিএমওএইচ সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, “ইতিমধ্যে দেড়শোর উপর ছাত্রছাত্রীর চিকিৎসা করা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় ৩ জনকে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।” স্বাস্থ্য দফতর থেকে খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য। পঞ্চায়েত সমিতির সভপতি অসীম দাস বলেন, “আপাতত কয়েক দিন মিড-ডে-মিলের রান্না বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”

স্প্রে মেশিন অকেজো, দুই পুরসভায় সমস্যা
এক পুরসভায় মশা নিরোধক স্প্রে মেশিন নেই। ওই মেশিন কেনার পরিকল্পনা চলছে। আর এক পুরসভায় মেশিন থেকেও অচল হয়ে পড়ে রয়েছে! ফলে, খড়্গপুর-মেদিনীপুর দুই শহরেই ব্যাহত হচ্ছে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব এড়াতে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থার নেওয়ার চেষ্টা। অথচ, জেলায় যে ডেঙ্গির প্রভাব একেবারে নেই তা নয়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন। প্রায় ছ’বছর আগে মেদিনীপুর পুরসভা তিনটি ধোঁয়া ছড়ানোর মেশিন কিনেছিল। ভোরে ও সন্ধেতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ধোঁয়া ছড়ানো হত। প্রাক্তন পুরপ্রধান নাজিম আহমেদ বলেন, “ওই তিনটি মেশিনের কী হল, কেউ জানে না। অচল হয়ে থাকলে তা মেরামতের প্রয়োজন। অথচ, এ ক্ষেত্রে পুর- কর্তৃপক্ষ উদাসীন।” মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু অবশ্য বলেন, “ওই মেশিনগুলো পুরসভার ছিল না। তবে আমাদের তো স্প্রে মেশিন রয়েছে। ফলে, সমস্যা হচ্ছে না।” সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপ্রধান-পারিষদ সুনন্দা খান বলেন, “ধোঁয়া ছড়ানোর মেশিন রয়েছে। তা মেরামতের চেষ্টা চলছে।” খড়্গপুরের পরিস্থিতি আরও খারাপ। অনাস্থা নিয়ে জটিলতার জেরে এ সমস্ত কাজকর্মই শিকেয় উঠেছে। নিয়মিত সব এলাকায় মশা মারার তেলও স্প্রে করা হচ্ছে না। সমস্যার কথা মেনে সংশ্লিষ্ট দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুরপ্রধান-পারিষদ কমল কুণ্ডু বলেন, “আমরা নতুন করে ৩৫টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৫টি স্প্রে মেশিন কেনার পরিকল্পনা করেছি। যত দ্রুত সম্ভব এই মেশিন কেনার চেষ্টা চলছে।”

স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবির
কুনুস্তরিয়া এরিয়ার উদ্যোগে স্বাস্থ্য শিবির আয়োজিত হল শুক্রবার। এই শিবিরে ৩ জন চিকিৎসক ৮০ জনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন।

ডাক্তার সাসপেন্ড
রাতে হঠাৎ হাসপাতাল পরিদর্শনে বেরোলেন উপ কমিশনার। দেখলেন ৪ ডাক্তার ও ১ নার্স অনুপস্থিত। সাসপেন্ড হয়েছেন তাঁরা।

শিবির
থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় শিবির হল খড়্গপুরের ইন্দা কৃষ্ণলাল শিক্ষা নিকেতনে। শুক্রবারের এই শিবিরে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ২০০ জন ছাত্রের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দু’টি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই শিবির। প্রধান শিক্ষক পার্থ ঘোষ জানান, গত সোমবার স্কুলে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা শিবির হয়। শুক্রবার থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় শিবির।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.