বাঁ দিকে এগোলেই গর্ত। ডান দিকেও গর্ত। পিচ-পাথর উঠে গিয়ে এমনই অবস্থায় রয়েছে বাঁকুড়া শহরের উপকণ্ঠে ভাদুল এলাকার রাস্তা। রেল ফটকের দু’পাশের কয়েকশো মিটার রাস্তা কার্যত চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে বলে বাসিন্দাদের ক্ষোভ। এই মেদিনীপুর-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক বেহাল হয়ে ওঠায় যানবাহণের চালক থেকে সাধারণ যাত্রীরাও তিতি বিরক্ত হয়ে উঠেছেন। অবিলম্বে তাঁরা রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলছেন।
বিষ্ণুপুর, খাতড়া ও রাইপুর রুটের যানবাহণগুলি এই পথ দিয়েই বাঁকুড়া শহরে ঢোকে ও বের হয়। রাস্তাটি তাই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্তবহুল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বছর খানেক আগে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরামতির সময় রেল ফটকের দু’পাশের কয়েকশো মিটার অংশে মেরামতির কাজ করা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। |
চলতি বর্ষা শুরুর মাস খানেক আগে রাস্তার খানাখন্দ গুলিতে মোরাম ফেলা হয়। কিন্তু ইতিমধ্যেই সেই মোরাম ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তা সেই আগের মতোই খানাখন্দে ভরে গিয়েছে।
বাঁকুড়া-বিষ্ণপুর রুটের একটি বেসরকারি বাসের চালক সৌমিত্র দাস বলেন, “এই রাস্তাটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বাস চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যে কোনও সময় বাস উল্টে যেতে পারে।” একই আশঙ্কার কথা জানালেন, তালড্যাংরা থেকে বাঁকুড়া রুটের একটি বেসরকারি বাসের চালক অনঙ্গ হাজরা। তাঁর বক্তব্য, “গর্তে পড়ে বাসে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। বাস প্রায় হেলে পড়ে। যাত্রীরা আতঙ্কে অনেক সময় চিৎকার জুড়ে দেন।”
ক্ষুদ্ধ যাত্রীরাও। নানা কাজে বিভিন্ন শহরে যাতায়াতকারীরা ছাড়াও কর্মসূত্রে প্রতিদিনই বিষ্ণুপুর, ওন্দা, খাতড়া, সিমলাপাল থেকে বাঁকুড়ায় যাতায়াত করতে হয় বহু মানুষকে। তাঁদের ক্ষোভ, “দিনের পর দিন আমাদের প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যে দিয়ে ওই রাস্তা পার হতে হয়। অথচ, প্রশাসনের রাস্তাটি নিয়ে কোনও উদ্বেগ রয়েছে বলে মনে হয় না। এখনও কেনও রাস্তাটি সংস্কার করা হচ্ছে না বুঝতে পারছি না।”
পূর্ত দফতরের জাতীয় সড়ক বিভাগের (দুর্গাপুর ডিভিশনের) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র শান্তনু দে বলেন, “রেল ফটকটি পারাপারের জন্য একটি ওভার ব্রিজ ওই রাস্তার পাশেই তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তা শেষ হলেই রাস্তাটি মেরামতির কাজ শুরু করা হবে। আপাতত রাস্তার গর্তগুলি ভরাটের জন্য ফের মোরাম ফেলা হবে।” |