উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগকর থানার ছালারঘাটের বাসিন্দা আজমিরা খাতুনকে খুনের ঘটনায় ওই গ্রামেরই বাসিন্দা কুতুবুদ্দিন মণ্ডলকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাকে বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এ দিকে, বুধবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে যাওয়ার পরে তাদের মনোভাবে স্থানীয় মানুষের সন্দেহ হয়, আজমিরার মৃত্যুকে জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বলে তদন্ত করছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে স্থানীয় ঈশ্বরীগাছা মোড়ে হাবরা-নৈহাটি সড়ক অবরোধ করেন গ্রামের কয়েকশো মানুষ। তাঁদের দাবি ছিল, আজমিরার মৃত্যুকে খুনের ঘটনা হিসাবে পুলিশকে প্রকাশ্যে ঘোষণা করতে হবে। |
সেইসঙ্গে এই ঘটনায় আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। কাজের দিনে সকালবেলায় আচমকা রাস্তা অবরোধে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে যান নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে অশোকনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে ওসি সুরেন্দ্রকুমার সিংহ এটিকে খুনের ঘটনা হিসাবে ঘোষণা করে ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সকলকে ধরার প্রতিশ্রুতি দিলে বেলা ১১টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে পুকুর থেকে আজমিরার হাত বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার পাশেই ধৃত কুতুবুদ্দিনের বাড়ি। বুধবার যে দিন আজমিরার দেহ উদ্ধার হয় সেদিন কুতুবুদ্দিনের স্ত্রী বাড়ি ছিলেন না। নিহত আজমিরার পরিবারের তরফে পুলিশকে যে তন্ত্র সাধনা করা মহিলার কথা বলা হয়েছিল তিনি কুতুবুদ্দিনেরই স্ত্রী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের দাবি, জেরায় কুতুবুদ্দিন জানিয়েছে আজমিরাকে বাড়ির দিকে যেতে দেখে সে তাকে ডেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তার পর গলা টিপে তাকে খুন করে। রাতে তাকে পুকুরের ধারে ফেলে দেয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, আজমিরার কানে যে সোনার দুল ছিল তা নেওয়ার জন্যই তাকে খুন করা হয়েছে। |