ডাকঘর

বিস্মরণে স্বর্ণকুমারী
লোকমাতা মহারানি স্বর্ণময়ীর প্রয়াণ দিবস ২৫ অগস্ট এ বছরও নিঃশব্দে পার হয়ে গেল। অথচ তাঁর অকাতর সাহায্য ছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলা তথা রাজ্যের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের আজকের অবস্থায় উন্নীত হওয়া অসম্ভব ছিল। মহারানি স্বর্ণময়ীর স্বামী রাজা কৃষ্ণনাথ যৌবনের প্রারম্ভেই নিঃসন্তান অবস্থায় আত্মঘাতী হন। ফলে বিধবা স্বর্ণময়ীকে অল্প বয়সেই কাশিমবাজার রাজ পরিবারের রাজ্যপাটের হাল ধরতে হয়। লর্ড মেয়ো ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে ‘মহারানি’ খেতাবে ভূষিত করেন। ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে তিনি ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দান করেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে মেয়েদের হস্টেল গড়তে এক লক্ষ টাকা, ক্যাম্বেল মেডিক্যাল স্কুলের ছাত্রাবাস নির্মাণে ১০ হাজার টাকা দান করেন। তাঁর দান করা এক লক্ষ টাকায় বহরমপুর শহরে নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প গড়ে ওঠে যা আজও রানিকল নামে প্রচারিত। বাংলার ছোটলাট ক্যাম্বেল তৎকালীন বহরমপুর কলেজ (বর্তমানে কৃষ্ণনাথ কলেজ)-এর বি এ ক্লাস বাতিল করে দ্বিতীয় শ্রেণির কলেজে পরিণত করতে চলেছিলেন। প্রতিবাদে স্বর্ণময়ী রুখে দাঁড়ালেন। ক্যাম্বেল ব্যর্থ হলেন। ওই কলেজের জন্য মহারানির দান আনুমানিক ষাট লক্ষ টাকা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও মাইকেল মধুসূদন দত্তকে তিনি অর্থ সাহায্য করেছেন। লেফটেন্যান্ট গর্ভনর পিকক ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দের ১৪ অগস্ট স্বর্ণময়ীকে ‘ক্রাউন অব ইন্ডিয়া’ সম্মানে ভূষিত করে মহারানি সম্পর্কে বলেন, “বেস্ট ফিমেল সাবজেক্ট অব দ্যা কুইন ইন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি।’’ ৭০ বছর বয়সে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২৫ অগস্ট তিনি অমৃতলোকে যাত্রা করেন।
স্টেশনের রাস্তা জঙ্গলাকীর্ণ
জিয়াগঞ্জের ট্রেনযাত্রীদের নিমতলাঘাট হয়ে গঙ্গা পার হয়ে আজিমগঞ্জ স্টেশনে যেতে হয়। গঙ্গা পার হয়ে আজিমগঞ্জ পাড়ের যে রাস্তাটি দিয়ে স্টেশনে যেতে হয় তা জঙ্গলাকীর্ণ। রাস্তাটি বর্ষায় জলকাদায় ডুবে থাকে। স্টেশনের ২ নম্বর, ৩ নম্বর ও ৪ নম্বর প্লাটফর্মে যেতে গেলে রেললাইন বরাবর ওই রাস্তা দিয়েই যেতে হয়। বিকল্প রাস্তা বলতে পশ্চিম দিক বরাবর একটি পাকা রাস্তা আছে ঠিকই। তবে সেই রাস্তার রেলগেট রয়েছে, যা ট্রেন যাতায়াতের কারণে প্রায়শই বন্ধ থাকে। রাস্তা সমস্যার সমাধনে চাই।
পদার্থবিদ্যার শিক্ষক নেই
বহরমপুরে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জওহর নবোদয় বিদ্যালয়’। সেখানে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পরিকাঠামো ঠিক থাকলেও একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য পরিকাঠামো অপ্রতুল। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে কেবল বিজ্ঞান বিভাগ রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। গত দু’বছর ধরে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক নেই। সন্তানদের লেখাপড়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন। দ্রুত পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য ওই বিদ্যালয়ের সবর্ময় কর্তা তথা মাননীয় জেলাশাসকের কাছে সবিনয় অনুরোধ জানাই।
প্রতীক্ষালয় চাই
জিয়াগঞ্জ শহরের ভিতরে প্রতীক্ষালয় না থাকায় যাত্রীরা রোদ ও বৃষ্টিতে কষ্ট পায়। তিনটি বাস ও যাত্রীবাহী ট্রেকার ও অটো চলে এখানে। এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.