টুকরো খবর
বটানিক্যালে প্রবেশ নিয়ে
পরিচয়পত্রের জন্য টাকা জমার রসিদ দেখিয়েও শুক্রবার বটানিক্যালে ঢুকতে পারলেন না প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ দিয়ে তাঁদের বার করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিযোগ মিথ্যা। আদালতের নির্দেশ মেনে ৮০০ পরিচয়পত্র তৈরি হয়ে আছে। তা প্রাতর্ভ্রমণকারীরা নেননি। মাস তিনেক আগে বটানিক্যাল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দেন, পরিচয়পত্র ছাড়া প্রার্তভ্রমণ করা যাবে না। এ জন্য ২০০ টাকা জমা দিতে হবে। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। জুলাইয়ে আদালত বলে, পরিচয়পত্র তৈরি করবেন কতৃর্পক্ষ। এক মাসের মধ্যে কার্ড তৈরি শেষ করতে হবে। নচেৎ টাকা জমার রসিদ দেখিয়ে প্রাতর্ভ্রমণ করা যাবে। বটানিক্যাল গার্ডেন মর্নিং ওয়ার্কার্স অ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস বলেন, “৩১ অগস্ট আবেদনপত্র জমার শেষ দিন ছিল। কিন্তু এ দিন কর্তৃপক্ষ আবেদন নেননি।” গার্ডেনের যুগ্ম-অধিকর্তা হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ বলেন, “যাঁরা রসিদ দেখিয়েছেন তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। কিছু লোক ইচ্ছে করে গোলমাল পাকাতে চাইছে।”

হাতির হানা, ক্ষতি চাষের
বড়জোড়ায় ঢুকেই হাতিরা দু’টি দলে ভাগ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হামলা চালাল। একটি দল দামোদর নদের পাশে কেশবপুর ও দেউচা গ্রামের ধান ও সব্জি খেত তছনছ করে বলে অভিযোগ। অন্য দলটি সাহারজোড়ার পাশেই ঘুটগড়িয়ায় বোরো ধানের জমিতে হামলা চালায়। শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা বড়জোড়া রেঞ্জের অফিসে গিয়ে ক্ষোভের কথা জানান। বড়জোড়া রেঞ্জের আধিকারিক সৌমেন মণ্ডল বলেন, “কম কর্মী নিয়েও আমরা হাতিদের উপর নজরদারির চেষ্টা চালাচ্ছি। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” অন্য দিকে, ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে কোটশিলা রেঞ্জে ঢুকে পড়া ১৮টি হাতির একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশগড় সংলগ্ন কড়চে, তাহেরবেড়া, মারামু, গুড়িডি গ্রামে তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় ২৫ বিঘা জমির ধান তছনছ করে। ওই দলে তিনটি দাঁতাল ও তিনটি শাবক রয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। কোটশিলার রেঞ্জ অফিসার ললিতমোহন মাহাতো বলেন, “কয়েক দিন ধরে এলাকায় থাকা একটি দাঁতাল আমাদের উদ্বেগে রেখেছিল। নতুন করে আরও ১৮টি হাতি আসায় তটস্থ হয়ে উঠেছি।”

হাতির দল খড়িকাশুলিতে
বাঁকুড়ার বাঁকাদহ থেকে তাড়া খেয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়িকাশুলিতে ঢুকে পড়েছে ২৭টি হাতির দল। দলটি ময়ূরঝর্নার বলে বন দফতর সূত্রে খবর। আসার পথে চাষেরও ক্ষতি করেছে তারা। এ বার দেরিতে বর্ষা নেমেছে। চাষের কাজও শুরু হয়েছে দেরিতে। এখন মাঠে ধান রোয়া হয়েছে। হাতির দল তা মাড়িয়ে নষ্ট করেছে। কুইল্যাবাঁধা, নাচনজাম, তিলাবনি ও সংলগ্ন এলাকায় চাষে ক্ষতি হয়েছে বলে খবর। বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “২৭টি হাতির একটি দল খড়িকাশুলিতে এসেছে। তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে।” শুক্রবার ভোরেই দলটি খড়িকাশুলিতে এসেছে। এই দলটিকে আমলাগোড়া, হুমগড় হয়ে ফের বাঁকুড়ায় পাঠানো চেষ্টা চলছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। দলমা থেকে আসা ১০টি হাতির দল বুধবার মাগুরাশোলের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছিল। জঙ্গলপথ পেরিয়ে দলটি এখন কুইল্যাবাঁধে এসেছে। দফতর সূত্রে খবর, এ বার দলমার ৩টি দল পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকেছে। ৩টি দলে সব মিলিয়ে ৭০-৭৫ টি হাতি রয়েছে। হাতিগুলো দ্রুত জায়গা পাল্টাচ্ছে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “বাঁকাদহ থেকে আসার পথে হাতির দলটি চাষের কিছু ক্ষয়ক্ষতি করেছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি।”

ময়াল উদ্ধার
চা বাগান থেকে ৯ ফুটের আহত ময়াল উদ্ধার করল বন দফতর। শুক্রবার এলেনবাড়ি চা বাগান থেকে ময়ালটি মালবাজারের বন্যপ্রাণী ২ স্কোয়াডের কর্মীরা সেটি উদ্ধার করেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.