মানুষের হাতে পালিত এক বাঘের বাচ্চাকে আজ কাজিরাঙা থেকে রায়পুরের চিড়িয়াখানায় পাঠানো হল। ‘বিবেক’-এর পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কাজিরঙা পশু উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে ভিন রাজ্যে বাঘ পাঠানো হল।
ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়, গত বছর ২১ অক্টোবর কাজিরাঙার বুড়াপাহাড় রেঞ্জে টহলদার বনরক্ষীরা স্ত্রী-শাবকটিকে দেখতে পান। তার মা আশপাশে ছিল না। এরপর চার দিন ধরে বনকর্মী ও পশু উদ্ধার কেন্দ্রের সদস্যরা শাবকটিকে নিয়ে জঙ্গলে যান। তাকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। একটি দুর্বল খাঁচায় তাকে রেখে ক্যামেরা রাখা হয়েছিল চারপাশে। বাঘের আনাগোনা ক্যামেরায় ধরা পড়লেও মা শাবককে উদ্ধার করতে আসেনি। অগত্যা গত ১০ মাস ধরে পশুচিকিৎসক অভিজিৎ ভাওয়াল, ঋতিকা মহেশ্বরী ও নূপুর বুড়াগোহাইয়ের তত্ত্বাবধানে তাকে লালন-পালন করা হয়। |
কাজিরাঙার অধিকর্তা সঞ্জীব বরা জানান, মানুষের হাতে পালিত বাঘকে এতদিন পরে জঙ্গলে ছাড়া যায় না। সে ওই বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে না। গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে পশু উদ্ধার কেন্দ্র বা সিডব্লিউআরসি থেকে একটি পুরুষ বাঘের বাচ্চাকে ভোপালের বনবিহার চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছিল। সে এখন দিব্য সুস্থ রয়েছে। এ বার ১১ মাস বয়সী শাবকটিকে ছত্তিশগড়ের রায়পুরে, নন্দন চিড়িয়াখানায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। ডব্লিউটিআইয়ের মুখ্য পশুচিকিৎসক এনভিকে আশরফ বলেন, “মানুষের কাছে পালিত বাঘের পুনর্বাসন ভারতে খুব বেশি হয় না। সে জন্যই চিড়িয়াখানায় বাঘটিকে পাঠানো হচ্ছে।”
২১০০ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে চার দিন লাগবে। সিডব্লিউআরসির তত্ত্বাবধায়ক রথীন বর্মণ জানান, বিশেষ ভাবে তৈরি খাঁচায় বাঘটিকে সড়কপথে গুয়াহাটি আনা হবে। চিড়িয়াখানায় রাত কাটিয়ে পর দিন গুয়াহাটি স্টেশন থেকে বাকি পথটা ট্রেনে, বিশেষ পার্সেল ভ্যানে পাড়ি দেবে সে। |