সুনন্দা শিকদার
(সাহিত্যিক) |
সবে মাত্র এক বছর। হাওড়া সিটি পুলিশের আরও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি। সব থেকে বেশি উন্নতি হয়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থার। অনেক কম সময়ে বালি থেকে কলকাতা, হাওড়ায় যেতে পারি। আগে যা অকল্পনীয় ছিল। তবে ট্যাক্সি, অটো ও বাসের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। সিটি পুলিশের ওয়েবসাইটটি চালু হওয়ায় উপকার হচ্ছে। তবে সেখানে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা থাকলে আরও ভাল হত। মহিলাদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন।
|
|
পুলিশ কমিশনারেট হওয়ায় পরে ভিতরে কী পরিবর্তন হয়েছে তা জানার কথা নয়। তবে বাইরে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন ঘটেছে ট্রাফিক ব্যবস্থায়। আগে হাওড়ার পরে সালকিয়া পর্যন্ত যে নৈরাজ্য চোখে পড়ত, সেটা অনেকাংশে কমেছে। মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তবে হাওড়া থেকে বালির মধ্যে অটোচালকদের দৌরাত্ম্যের পরিবর্তন হয়নি। পুলিশ এ দিকে নজর দিলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। আরও একটি বিষয় প্রশংসনীয়, এখন কোনও অভিযোগ পেলেই পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
|
মলয় সেনগুপ্ত
(প্রাক্তন বিচারপতি) |
|
অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়
(সরকারি আইনজীবী) |
হাওড়া কমিশনারেট এলাকায় লোকসংখ্যা প্রচুর, উপরন্তু শিল্পাঞ্চল। ফলে সমস্যা থাকবেই। কিন্তু পুলিশ এখন অনেক তৎপর। কোনও কিছু ঘটলেই মানুষ থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারছেন। কমিশনারেট হওয়ায় পরেই বার বার অভিযান চালিয়ে সুষ্ঠু যান চলাচলের পরিবেশ তৈরি করা গিয়েছে। এখন অনেকে ‘ওয়ান ওয়ে’ মেনে চলেন। হেলমেট পরে মোটরসাইকেল চালান। আগে এ সবের বালাই ছিল না। আস্তে আস্তে আরও উন্নত হতে হবে।
|
|
আগের থেকে রাস্তায় গতি অনেক বেড়েছে। এখন কত সহজেই কলকাতায় অনুশীলনে যেতে পারি। বাচ্চারাও সহজে স্কুলে যেতে পারে। আগে লরি, বাসের জট লেগেই থাকত। ট্রাফিকের মতো অন্যান্য যে বিষয়গুলি পুলিশ কমিশনারেট দেখে সেগুলির উন্নতির ক্ষেত্রেও এখন পুলিশকর্মীরা যথেষ্ট সক্রিয়। পাশাপাশি, নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে।
|
লক্ষ্মীরতন শুক্ল
(ক্রিকেটার) |
|
শঙ্করকুমার সান্যাল
সভাপতি,
হাওড়া বণিকসভা |
হাওড়াবাসী হিসেবে পুলিশ কমিশনারেটের বিষয়টিকে স্বাগত জানাই। পুলিশি তৎপরতায় রাস্তার যান-যন্ত্রণা থেকে মানুষ মুক্ত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রেও যতটা পরিবর্তন আশা করা গিয়েছিল, ততটা হয়নি। শহরের ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় যে ভাবে নজরদারি দরকার, তা হয়নি। পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার জন্য এ অসুবিধা হচ্ছে বলে আমার ধারণা। তবে সময় একটু লাগবেই। আশা করি, আগামী দিনে সে সব সমস্যা কাটিয়ে উঠবে কমিশনারেটের এক ঝাঁক তরুণ অফিসার।
|
|
কমিশনারেট হওয়ার ফলে ট্রাফিকের খুবই উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলার পরিবর্তন হয়নি। শুধু নামটাই জেলা পুলিশ থেকে পুলিশ কমিশনারেট হয়েছে। পরিকাঠামোর উন্নতি না হওয়ায় মাথাভারী প্রশাসন তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি এটাও লক্ষ করেছি, থানাগুলিতে কয়েদিদের রাখার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো আজও তৈরি হয়নি। আশা করি, পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলে মানুষের উপকার হবে।
|
সুভাষ দত্ত
(পরিবেশকর্মী) |
|