টুকরো খবর
রেণু-হত্যা মামলায় সাংবাদিকের সাক্ষ্য
নিহত রেণুদেবীর বাড়ির অদূরে ঝোঁপ থেকে লোহার রড খুঁজে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল মঙ্গল সাহানি। তারপর কী ভাবে রেণুদেবীর বাড়িতে প্রবেশ, রেণুদেবীর হত্যা পুলিশের কাছে পুরো ঘটনার পুনরাভিনয় করেছিল মঙ্গল, শুক্রবার এই হত্যা-মামলার দ্বিতীয় দফার সাক্ষ্যগ্রহণের চতুর্থ দিন সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এমনটাই জানালেন সাংবাদিক মুনতাজ রহমান। সরকার পক্ষের আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “বোলপুর ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহের এজলাসে সাক্ষী জানিয়েছেন, তিনিই ওই পুনরাভিনয়, অডিও-ভিস্যুয়াল মাধ্যমে রেকর্ডিং করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি মঙ্গলকে শনাক্তও করেছেন।” প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে শান্তিনিকেতনের বাগানপাড়ার বাড়ির দোতলার ঘরে খুন হন রেণুদেবী। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদার এবং দুই দুষ্কৃতী মঙ্গল সাহানি ও পিন্টু দাসকে ধরে। শুক্রবার অন্যতম অভিযুক্ত মঙ্গল সাহানির আইনজীবী কার্তিক চক্রবর্তী জেরা করেন ওই সাংবাদিককে। তিনি জানতে চান, পুনরাভিনয় রেকর্ড করার জন্য কোনও অনুমতি নিয়েছিলেন কি না, এ বিষয়ে তাঁর কোনও প্রশিক্ষণ রয়েছে কি না। উত্তরে মুনতাজ জানান, পেশার জন্য তিনি রেকর্ডিংয়ের কাজটি করেছিলেন। যদিও ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ক্ষেত্রে আলাদা করে তাঁর কোনও প্রশিক্ষণ নেই বলেই আদালতকে জানিয়েছেন এ দিনের সাক্ষী। আজ, শনিবার ওই মামলায় সাক্ষ্য দেবেন বোলপুর থানার পুলিশকর্মী অমলকুমার সেন।

নিয়মিত স্কুলে আসার দাবিতে বিক্ষোভ, তালা
শিক্ষকদের একাংশ ইচ্ছেমতো বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন। ছাত্র-ছাত্রীদের ভাল করে পড়ান না। এই সব অভিযোগে শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে খয়রাশোলের রূপুসপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখালেন বেশ কিছু অভিভাবক। অভিভাবকদের দাবি, এই বিদ্যালয়ের ৫-৬ জন শিক্ষক বাইরে থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে নিয়মিত দেরিতে স্কুলে আসেন এবং স্কুল ছুটির অনেক আগেই তাঁরা ফিরে যান। ফলে পড়াশোনার যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে বহুবার প্রধান শিক্ষককে জানিয়েও ফল না হওয়ায় এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। যদিও এদিন প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় সমাধান সূত্র মেলেনি। শেষ পর্যন্ত তালা খুলে দিলেও অভিভাবকদের হুঁশিয়ারি প্রধান শিক্ষক এলে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। তাতে কাজ না হলে ফের একই ভাবে প্রতিবাদ করা হবে। রূপুসপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৬০০ জন। তিনজন পার্শ্বশিক্ষক মিলিয়ে মোট ১৪ জন শিক্ষক আছেন। অভিভাবক কৃষ্ণ বাউড়ি, মনোরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, রতন বাগদিরা বললেন, “একেই ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা অনুপাতে শিক্ষক কম, তার মধ্যে যদি পাঁচ-ছয় জন নিজেদের মর্জিমাফিক বিদ্যালয়ে অসেন এবং শিক্ষকের অভাবে ক্লাস মার খায় তাহলে আমাদের ছেলে মেয়েরা কী ভাবে শিখবে।” প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আখতার হোসেন বলেন, “অসুস্থ থাকায় বাড়িতে আছি। তাই স্কুলে কী ঘটেছে বলতে পারব না। তবে ক্লাস মার খাওয়া নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে সেটা ঠিক নয়।”

১০০ টাকার জন্য খুন, দুই বন্ধুর কারাদণ্ড
মাত্র ১০০ টাকার জন্য খুন হয়েছিলেন ময়ূরেশ্বর থানার বুঁইচা গ্রামের যুবক টুটুল হেমব্রম। ২০১০ সালের ওই ঘটনায় শুক্রবার রামপুরহাট ফাস্ট ট্র্যাক তৃতীয় আদালত দুই বন্ধুকে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনাল। সরকার পক্ষের আইনজীবী অথীন্দ্রকুমার মণ্ডল বলেন, “ওই মামলায় বিচারক মানস বসু ময়ূরেশ্বর বুঁইচা গ্রামেরই দুই যুবক মুন্সি কিস্কু ও সুনীল হাঁসদাকে দোষী পেয়েছেন। ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর তারাই টুটুলকে খুন করেছিল।” অথীন্দ্রবাবু জানান, ওই দিন রাতে পাশের গ্রাম থেকে যাত্রা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন টুটুল ও তাঁর বন্ধু যোসেফ হাঁসদা। বেলবুনি গ্রামের মাঝিপাড়ায় মুন্সি ও সুনীল তাঁদের পথ আটকায়। মুন্সি টুটুলের কাছ থেকে প্রাপ্য ১০০ টাকা তখনই তাকে দিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি করে। তখন টাকা না থাকায় টুটুল তাদের বলে পরের দিন মিটিয়ে দেবে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি মুন্সি ও সুনীল। তারা দু’জনে মিলে আক্রমণ করে টুটুলকে। হাসুয়া ও কাঠের পাটা দিয়ে মারতে থাকে। যোসেফ সে সময় কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে। অথীন্দ্রবাবু বলেন, “মুন্সি ও সুনীল টুটুল মারা গিয়েছে ভেবে পালিয়ে গেলে মারাত্বক জখম অবস্থাতেই টুটুল কোনওরকমে গ্রামের ডাক্তার মুর্মু নামে এক বাসিন্দার বাড়ির বারান্দা পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিল। পরের দিন সকালে সবাই টুটুলকে মৃত অবস্থায় ওখানে দেখতে পায়। ৯ ডিসেম্বর ওই যুবকের বাবা রাবণ সোরেন মুন্সি ও সুনীলের নামে খুনের অভিযোগ করেন।”

দু’জনের যাবজ্জীবন
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা ও প্রমাণ লোপাটের দায়ে দু’জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত। সরকারি আইনজীবী মহম্মদ সামসুজ্জোহা বলেন, “বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা এবং প্রমাণ লোপাটের দায়ে শুক্রবার দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন বোলপুরের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সোমেশপ্রসাদ সিংহ। বিচারক দু’জনকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রমাণ লোপাটের জন্য আরও ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। সব সাজা এক সঙ্গে চলবে।” ২০০৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। নানুর থানার সাওতা সন্তোষপুরের বাসিন্দা আলম শেখকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় গ্রামের দুই যুবক ভুটো শেখ ও লালচাঁদ শেখ। পরের দিন লাভপুর থানার তিলটিকুরী গ্রামের পুকুরপাড়ে রক্তাক্ত দেহ মেলে আলম শেখের। ওই গ্রামের বাসিন্দা উত্তম হাজরা প্রথমে বিষয়টি দেখেন। তিনিই পুলিশে খবর দেন। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিহত আলম শেখের স্ত্রী সাহানা বিবি ও বাবা হালিম শেখ দেহ শনাক্ত করেন। তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আইনজীবী সামসুজ্জোহা জানান, এই মামলায় মোট ১৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

মিড-ডে মিল নিয়ে বিশৃঙ্খলা
ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
মিড-ডে মিল রান্না করতে দেওয়ার দাবিতে প্রাথমিক স্কুলে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ উঠল এলাকারই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের একাংশের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রামপুরহাট থানার ছোড়া গ্রামের ঘটনা। ওই প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ দলুইয়ের অভিযোগ, “ওই মহিলারা গত দু’দিন ধরে স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্না করতে দিচ্ছেন না। শিক্ষকদেরও হেনস্থা করছেন।” তিনি জানান, এই স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামেরই একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও দুই মহিলা এক মাস অন্তর পালা করে মিড-ডে মিলের রান্না করেন। সম্প্রতি গ্রামেরই অন্য কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের একাংশ ওই রান্না করার জন্য আবেদন করেছেন। ইন্দ্রজিৎবাবুর দাবি, “আমি তাঁদের বলি এ ব্যাপারে প্রশাসনই যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। তা না শুনে তাঁরা এই হাঙ্গামা শুরু করেছেন।” আগামী ৮ সেপ্টেম্বর আলোচনা করে বিষয়টির নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

ভর্তির দাবিতে বিক্ষোভ
ভর্তি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বচসা। —নিজস্ব চিত্র।
এনসিটিই-র অনুমোদন মেলায় ১০০-র বদলে ২০০টি আসনে বিএডে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করাতে হবে বলে বিনয়ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়াদের একাংশ। এর জেরে ধাক্কাধাক্কি হয়। দুই ছাত্রী চোট পান বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সেখানে হাজির হন। এ দিন বিএড-এর ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ‘ওয়েটিং লিস্টে’ নাম থাকা আবেদনকারীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। কর্মসচিব মণিমুকুট মিত্র বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনও বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।” কর্তৃপক্ষ আগেই দাবি করেছেন, এনসিটিই-র আসন বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত তাঁরা লিখিত ভাবে পাননি।

এলাকায় সাংসদ
সাংসদ এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় গিয়ে এলাকাবাসীর সমস্যার কথা শুনলেন শতাব্দী রায়। শুক্রবার সাংসদ ঘুরলেন নলহাটি থানার খিদিরপুর গ্রাম, ডিহা গ্রাম, কুরুমগ্রাম ও পাইকপাড়ার মতো বেশ কয়েকটি এলাকায়। শেষ দু’টি পঞ্চায়েত এলাকায় শতাব্দী তাঁর সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে দু’টি অ্যাম্বুল্যান্স দান করেন। এ দিন সাংসদ বলেন, “বাউটিয়া পঞ্চায়েতের কাদাসিনা গ্রামে ফ্লোরাইড দূষিত এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল প্রকল্পে প্রাথমিক ভাবে সাড়ে ৮ কোটি টাকা দেওয়া হবে।”

মোতাহার-স্মরণে
বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের ৮২ তম জন্ম দিন উপলক্ষে ‘সদ্ ভাবনা দিবস’ পালন করল জেলা কংগ্রেস। শুক্রবার সকালে মুরারই এলাকায় পদযাত্রায় যোগ দিলেন স্থানীয় কংগ্রেসকর্মী-সহ জেলা নেতৃত্ব। ২০১১ সালের ২০ নভেম্বর মৃত্যু হয় জেলার এই জনপ্রিয় নেতার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.