নালিকুল বালিকা বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠা১৯৫৯।
ছাত্রীসংখ্যা ১৫০০ জন, শিক্ষিকা— ২২ জন,
পার্শ্বশিক্ষিকা ৪ জন, কম্পিউটার শিক্ষিকা ২ জন, শিক্ষাকর্মী ৩ জন।
২০১২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী- ২০০, উর্ত্তীর্ণ ১৮৬,
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী১০৬, উত্তীর্ণ১০২। |
|
|
পার্বতী দে
(প্রধান শিক্ষিকা) |
|
১৯৫৯ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। নালিকুল পূর্ব ও পশ্চিম, এই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় এটিই একমাত্র মেয়েদের স্কুল। পরিকাঠামো থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থা সব দিক থেকে বিদ্যালয় এখন অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উন্নীত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। কম্পিউটার শিক্ষা চালু করা সম্ভব হয়েছে। বিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতির পিছনে সরকারি ও বেসরকারি সাহায্য ছাড়াও রয়েছে গ্রামবাসীদের সহযোগিতা। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পরিবারের অনেক মেয়ে এখানে পড়তে আসে। মিড-ডে-মিলের ব্যবস্থা তাদের পক্ষে খুবই উপযোগী হয়েছে। বর্তমান বছরে আমরা সরকারী তরফে ৬ জন শিক্ষিকার পদ পেয়েছি। আরও শিক্ষিকা পাওয়া যাবে। পড়াশোনার পাশাপাশি মেয়েরা শিক্ষাক্ষেত্রের অন্যান্য বিষয়েও পারদর্শিতার পরিচয় দিচ্ছে। ব্লক, জেলা এবং রাজ্যস্তরে আমাদের ছাত্রীরা নিয়মিত অংশগ্রহণ করছে। পুরস্কারও পাচ্ছে। বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়ের বাইরে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাতেও যোগ দিচ্ছে মেয়েরা। ইকো ক্লাবের নানা কর্মসূচি পালিত হয়। বিদ্যালয়ের দু’টি সমস্যা রয়েছে। একটি হল খেলার মাঠ। মাঠ না থাকায় ছাত্রীদের খেলাধূলা এবং শরীরচর্চায় সমস্যা হয়। সাইকেল রাখার একটি গ্যারাজেরও ভীষণ দরকার। |
আমার চোখে
প্রিয়া দাস
(ক্লাস টেন-এর ফার্স্ট গার্ল) |
|
|
পঞ্চম শ্রেণি থেকে এই স্কুলে পড়ছি। বিদ্যালয়ের পরিবেশ পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক বিকাশের জন্যও আদর্শ। শিক্ষিকারা ছাত্রীদের অত্যন্ত স্নেহ করেন। আমাদের সাফল্যের কারিগর কিন্তু তাঁরাই। ছাত্রী হিসেবে এখান থেকে যে শিক্ষি পাই, তা আমাদের পাথেয়। শুধু পড়াশোনাই নয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে খেলাধুলো সব কিছুদেই শিক্ষিকারা আমাদের উৎসাহ দেন। এই ভাবে ছাত্রীদের সঙ্গে দিদিমনিদের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমাদের দায়িত্ব জীবনে সফল হয়ে তাঁদের ভালবাসা এবং শিক্ষাদানের মর্যাদা দেওয়া।
|