কলকাতায় ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিলেও জেলায় এই রোগে এখনও পর্যন্ত ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২ জনের চিকিৎসা চলছে খড়্গপুরে। একজন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সবিতেন্দ্র পাত্র বলেন, “এখনও পর্যন্ত ৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন।” ডেঙ্গির প্রকোপ থেকে বাঁচতে শহর ও শহরতলিতে শুরু হয়েছে সতর্কতামূলক প্রচার। মেদিনীপুর পুরসভার উদ্যোগে বিভিন্ন ওয়ার্ডে লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুরসভা। ওই লিফলেটে সব মিলিয়ে ৬ দফা আবেদন রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা, বাড়ির কোথাও জল জমতে না দেওয়া, ছাদের ট্যাঙ্ক সপ্তাহে একবার খালি করা প্রভৃতি। সঙ্গে মশারি টাঙিয়ে শোয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে মশা নিরোধক তেল ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
|
মিড-ডে মিলের খাবারে সাপ পড়েছিল। এই আতঙ্কে বাঁকুড়ার জয়পুরের বেলিয়া জুনিয়ার হাইস্কুলের ৫১ জন পড়ুয়াকে মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হল। প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক সাধনচন্দ্র কুণ্ডু বলেন, “খাবার দেওয়ার সময় সাপের লেজ দেখতে পাওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। তবে কেউ অসুস্থ হয়নি।’’ জয়পুরের বিডিও চিত্রদীপ সেন বলেন, “খাবারে সাপ ছিল কিনা স্পষ্ট নয়। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হবে।” হাসপাতাল সূত্রে খবর, পড়ুয়াদের কেউ গুরুতর অসুস্থ ছিল না। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
|
ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়ল জলপাইগুড়ি জেলায়। পাশাপাশি চিকনগুনিয়াও থাবা বসিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। মঙ্গলবার শহরের রাজবাড়ি পাড়ার নার্সিংহোমে ভর্তি দু’জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। সব মিলিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৬। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালেও ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক ব্যক্তি ভর্তি রয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। নাগরাকাটা ব্লকে ১৩ জন চা শ্রমিকের রক্তের নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় এরা চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ স্বাস্থ্য দফতরের। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন সরকার বলেন, “জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল এবং একটি নার্সিংহোমে ভর্তি কয়েকজনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। নাগরাকাটা ব্লক স্বাস্থ্য দফতর থেকে ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এরা সকলেই চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত বলে সন্দেহ। ডেঙ্গি ও চিকনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা জানতে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ” জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত হলেন, “স্বাস্থ্য দফতর থেকে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। আমরা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছি। পুরসভার তরফে সতর্কতামুলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
|
‘ব্র্যান্ড নেম’-এর বদলে জেনেরিক নামে ওষুধ ব্যবহার করে চিকিৎসা ব্যবস্থায় ‘বিপ্লব’ ঘটিয়েছে রাজস্থান। এ বার সেই পথে হাঁটতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনে একটি সেমিনারে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
সস্তায় ওষুধ দিতে রাজ্যে ‘ফেয়ার প্রাইস মেডিসিন শপ’ তৈরির কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি ‘ফেয়ার প্রাইস শপ’ (সুলভে ওষুধের দোকান) চালু করাও হয়েছিল। কিন্তু তেমন সাফল্য পায়নি। কী ভাবে রাজস্থান সফল হল, তা জানতে এ দিনের সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজস্থান মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শমিত শর্মাকে। তিনি জানান, ডাক্তারদের মানসিকতার পরিবর্তনের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। রাজস্থানের বেসরকারি চিকিৎসকেরাও জেনেরিক নামে প্রেসক্রিপশন লেখেন। তিনি রাজস্থানে নামী ওষুধ সংস্থাগুলি দেখছে, একই উপাদানের এবং একই গুণমানের কম দামের ওষুধ রোগীদের ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারেরা। তখন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ওই সব নামী সংস্থা সরকারকে ওষুধ সরবরাহ করার জন্য দরপত্রে যোগ দিচ্ছে। কম দামে ওষুধ আসছে সরকারের ঘরে।
|
বাজারে জরুরি ওষুধের কৃত্রিম ঘাটতি এবং অবৈধ ওষুধ বিক্রির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠল মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের বৃহস্পতিবারের দেশজোড়া ধর্মঘটে। ওই ধর্মঘটে সামিল হয়েছিল ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যান্ড সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউনিয়নও। ধর্মতলায় একটি জনসভায় ওই সংগঠনের সম্পাদক সুমন চক্রবর্তী বলেন, “রিপ্রেজেন্টেটিভদের চাকরির সুরক্ষা দাবির সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতাও করছি আমরা।”
|
খাবারে বিষক্রিয়ায় পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পাঁচলার নয়াচক যদুনাথ হাইস্কুলের ছাত্রাবাসে। অসুস্থদের ১৬ ছাত্রী এবং এক জন ছাত্র। সকলকে গাববেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিকেলেই অবশ্য তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। স্কুল সূত্রের খবর, সোমবার রাতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভাত, ডাল এবং সয়াবিনের তরকারি দেওয়া হয়। পরের দিন সকাল থেকে তাদের বমি এবং পেটের যন্ত্রণা হতে থাকে। স্কুলের তরফ থেকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। |