টুকরো খবর |
পিছু হটল রাজ্য , পাঠ্যবই বিলির দায়িত্বে প্রকাশকই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রকাশকদের চাপে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের চালু ব্যবস্থাই বহাল রাখল রাজ্য সরকার। ওই ৩ শ্রেণির সব বই ছাপার দায়িত্ব নিজেদের হাতে নিতে চেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু প্রকাশকদের চাপে বরাবরের মতো ষষ্ঠ থেকে অষ্টমের ৩০টি বইয়ের মধ্যে ১১টি বই রাজ্য ও ১৯টি বই প্রকাশক সংস্থার হাতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর। মঙ্গলবার প্রকাশকদের সংগঠন ‘জয়েন্ট ফোরাম ফর বুক ট্রেডার্স অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ড্রাস্ট্রিজ’ ও ‘পশ্চিমবঙ্গ প্রকাশক সভা’র সঙ্গে আলোচনার পরে তা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। গত ডিসেম্বরে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিল, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির সব বই তারাই প্রকাশ ও বিতরণ করবে। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রকাশকদের ওই দু’টি সংগঠন ২০১১-র ২৬ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয়। সমস্যা মেটাতে ওই দিনই বিকাশ ভবনে সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবাবু এবং শ্রমমন্ত্রী পুর্ণেন্দু বসু। সেই আলোচনার পরে সংগঠনগুলি ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়। তার পরেও পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ এবং বিতরণের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রাজ্য সরকারের উপরে চাপ বজায় রেখেছিল তারা। শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানান, শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব বই বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য। সেই কারণেই সরকার বই প্রকাশ এবং বিতরণের দায়িত্ব নিতে চেয়েছিল। ব্রাত্যবাবু বলেন, “এতে প্রকাশকেরা সমস্যায় পড়তেন। তাই ঠিক হয়েছে, বরাবরের মতো তাঁরা ১৯টি এবং সরকার ১১টি বই ছাপবে। তবে সব বই বিতরণের দায়িত্ব প্রকাশক সংস্থাগুলিকেই দেওয়া হল।”
|
বাছাই নয়, বরাদ্দ ফ্ল্যাট নিতে হবে কর্মীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সরকারি কর্মীদের আবাসন বণ্টনের ক্ষেত্রে তাঁদের নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দের সুযোগ আর দেবে না রাজ্য সরকার। যে-আবাসনে ফ্ল্যাট বরাদ্দ করা হবে, সেখানেই থাকতে হবে ফ্ল্যাটের জন্য আবেদনকারী সরকারি কর্মীকে। ভাড়ার ভিত্তিতে সরকারি কর্মীদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে আবাসন দফতর বিভিন্ন জায়গায় আবাসিক প্রকল্প রূপায়ণ করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মীর কর্মস্থল থেকে সব চেয়ে কাছের যে-সরকারি আবাসনে ফ্ল্যাট খালি পাওয়া যাবে, সেখানে তাঁকে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার জানান আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এত দিন সরকারি আবাসনে ফ্ল্যাটের জন্য আবেদন করার সময় যে-কোনও সরকারি কর্মী নিজের পছন্দমতো চারটি আবাসনের নাম উল্লেখ করতে পারতেন। সম্প্রতি আবাসন দফতরের একটি নির্দেশে ১ অগস্ট থেকে সেই সুযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। ১ অগস্ট এবং তার পরবর্তী সময়ে আবেদনকারীদের কলকাতা বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় সরকারি ফ্ল্যাট বরাদ্দের সময় আর কোনও বাছাইয়ের সুযোগ দেওয়া হবে না। এর ফলে ফ্ল্যাট বণ্টনের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য আসবে বলে আবাসন দফতরের দাবি। আবাসনমন্ত্রী এ দিন মহাকরণে বলেন, চারটি করে আবাসনের নাম পছন্দ করে দেওয়ার সুযোগ থাকায় কোনও কোনও আবাসনে ফ্ল্যাটের সংখ্যার তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছিল। আবার কোনও কোনও সরকারি আবাসনে অনেক ফ্ল্যাট খালি পড়ে থাকায় সেগুলির দরজা, জানলা চুরি হয়ে যাচ্ছিল। আবাসন দফতর শীঘ্রই সব আবাসনে মেরামতির কাজে হাত দেবে। গভীর নলকূপের পরিবর্তে ধীরে ধীরে পুরসভাগুলির কাছ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থাও করবে।
|
গরিবদের জন্য ২৫% বরাদ্দ সব পুরসভায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শহরে বসবাসকারী গরিবদের জন্য প্রতিটি পুরসভাকেই বাজেটে ২৫ শতাংশ টাকা বরাদ্দ রাখতে হবে। পুর ও নগরোন্নন দফতর শীঘ্রই কর্পোরেশন-সহ সব পুরসভার কাছে এই মর্মে নির্দেশ পাঠাচ্ছে বলে মঙ্গলবার জানান ওই দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (সুডা)-র উদ্যোগে এ দিন সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনে রাজ্যের ১২৩টি পুরসভাকে নিয়ে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। পুরমন্ত্রী সেখানে বলেন, “প্রতিটি পুরসভাকেই এ বার শহরের গরিবদের জন্য বাজেটের ২৫ শতাংশ টাকা বরাদ্দ করতে হবে। সেই টাকা শহরের গরিবদের স্বার্থেই খরচ করতে হবে পুরসভাকে। রাজ্য মন্ত্রিসভা সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে।” শহুরে গরিবদের জন্য আলাদা ভাবে এই বরাদ্দ কেন, তা-ও ব্যাখ্যা করেন পুরমন্ত্রী। তিনি জানান, গ্রামের গরিবদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু শহরের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী গরিবদের জন্য এই ধরনের প্রকল্পের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম। তাই এ বার শহরের গরিবদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেএমডিএ কিংবা পুর বিষয়ক দফতরের বাজেটেও এই ব্যবস্থা রাখা হবে। এ দিনই কেন্দ্রীয় সরকারের গ্রামীণ স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় নগরকেন্দ্রিক প্রজনন ও শিশু স্বাস্থ্যের একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পুরমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। স্বাস্থ্য এবং পুর বিষয়ক দফতর যৌথ ভাবে প্রকল্পটি চালাবে। চন্দ্রিমাদেবী বলেন, “ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনের অধীন মূল প্রকল্পটি গ্রামের মানুষের জন্য। তবে আমরা এটা দিল্লি থেকে বিশেষ ভাবে অনুমোদন করিয়ে এনেছি। যাতে এই প্রকল্পের আওতায় শহরের মা এবং শিশুদেরও সুস্থ রাখা যায়।” ২০০১-এর জনগণনা অনুযায়ী ৩০ হাজারের বেশি জনসংখ্যার ৯৯টি পুরসভাকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। এই প্রকল্পে প্রান্তিক মানুষ ও গরিবদের কাছে প্রজনন ও শিশু স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।
|
পোকায় বিপন্ন ফসল, রুখতে চাষি-প্রশিক্ষণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বর্ষার কৃপণতা এবং অনিয়মিত বৃষ্টিতে চাষ-আবাদের ক্ষতি তো হয়েছেই। মাঠে যেটুকু ফসল আছে, তা ঠিকঠাক ঘরে তোলা যাবে কি না, সেই ব্যাপারেও তৈরি হয়েছে সংশয়। কারণ, সামঞ্জস্যহীন বৃষ্টিপাতের কারণে উপদ্রব বেড়েছে পোকামাকড়ের। এ বার তাই পোকার আক্রমণ ঠেকাতে নজরদারি এবং তার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চায় রাজ্যের কৃষি দফতর। রবিশস্যের মরসুমেই এই কাজ শুরু হবে। ঠিক হয়েছে, পোকা প্রতিরোধে পরিকাঠামো গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে উত্তরবঙ্গ এবং বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিটি পঞ্চায়েতের কোনও গ্রাম থেকে এক জন করে চাষিকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তিনি পোকা বা চাষের অন্যান্য প্রতিকূল পরিস্থিতির খবর দেবেন জেলা স্তরে। তার ভিত্তিতে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করবেন কৃষি অধিকর্তা।ফসলে পোকার উপদ্রব বেড়েছে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণেই। রাজ্যের কৃষিসচিব সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “ফসল পোকায় আক্রান্ত হওয়ার পরে পরিস্থিতির ময়না-তদন্ত হয়। কিন্তু তাতে আখেরে ফসল বাঁচানো যায় না। তাই পোকার আক্রমণ প্রতিরোধে আগে থেকে প্রস্তুত হওয়াটা বেশি জরুরি।” সচিব জানান, রাজ্যের মূলত তিনটি ফসল ধান, আলু এবং সর্ষেতে পোকার আক্রমণ ঠেকাতেই এই পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। নভেম্বর থেকে কাজ শুরু করবে কৃষি দফতর। সচিব জানান, পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে ১৬ মাস সময় লাগবে। এই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা খরচ হবে।
|
শিশু নিখোঁজে বক্তব্য তলব সব রাজ্যেরই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দেশে প্রতি বছর ৯০ হাজার শিশু নিখোঁজ হয়। তার মধ্যে ৩০ হাজারের খোঁজ মেলে না। সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থের মামলায় এই তথ্য পেশ করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তার ভিত্তিতে আলতামাস কবীর ও জে চেলামেশ্বরের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার সব রাজ্যকে চার সপ্তাহের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। ১৬ মার্চ রাজ্যগুলিকে একই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু অধিকাংশ রাজ্য তা না-মানায় ফের এক মাস সময় দিল ডিভিশন বেঞ্চ। আবেদনে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি বলেছে, দেশের ৩৯২টি জেলায় ২০০৮-এর জানুয়ারি থেকে ২০১০-এর জানুয়ারির মধ্যে এক লক্ষ ১৭ হাজার ৪৮০টি শিশু নিখোঁজ হয়। সন্ধান মিলেছে মাত্র ৪১,৫৪৬ জনের। ওই সংস্থার হিসেব, শিশু নিখোঁজে মহারাষ্ট্র প্রথম। তার পরে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি ও মধ্যপ্রদেশ।
|
শিক্ষকের পরীক্ষা |
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কাজের মূল্যায়ন চালু হচ্ছে। শিক্ষক নিজের মূল্যায়ন করবেন, পড়ুয়ারাও রায় দেবেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা সংসদ।
|
১০০ শিক্ষারত্ন |
শিক্ষক দিবসে বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার ১০০ শিক্ষককে শিক্ষারত্ন উপাধি দেবে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। |
|