সেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই দু’জনের শুরু হয়েছিল একসঙ্গে। সেই লর্ডসে, আজ থেকে ষোলো বছর আগে। আবার ইংল্যান্ডই কি দু’জনকে মাঠের বাইরে একসঙ্গে মিলিয়ে দিচ্ছে?
এ বার অবশ্য লর্ডস নয়। ভেনুর নাম মোতেরা। সেখানে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ১৫-১৯ নভেম্বর। আর নরেন্দ্র মোদীর শহরের কমেন্ট্রি বক্সে সম্ভবত একসঙ্গে বসবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাহুল দ্রাবিড়। ব্যাট হাতে দু’জনের টেস্ট অভিষেক একসঙ্গে হয়েছিল। এখানে সেটা ঘটার উপায় নেই। সৌরভ খেলা ছেড়েছেন ২০০৮-এ। তাই টিভি বক্সে তিনি বন্ধুর চেয়ে অভিজ্ঞতায় চার বছরের বড়। সৌরভ কমেন্ট্রিতে ইদানীং এত নাম করেছেন যে নিউজ চ্যানেলে তাঁকে নিয়ে টানাটানি বাদ দিয়েও কমেন্টেটর হিসেবে ইএসপিএন প্রায় সব ম্যাচে তাঁকে চায়। সৌরভ এই স্রোতে গা ভাসাতে রাজি নন। তিনি কমেন্ট্রি করেন খুব বেছে বেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কমেন্ট্রি করতে শ্রীলঙ্কা যাচ্ছেন। তার পর পুরো ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজটা করবেন। এর পরে সাময়িক ব্রেক চাওয়ার কথা ভেবে রেখেছেন। রাতদিন টিভি বিশেষজ্ঞ হয়ে কাটাতে সৌরভ রাজি নন। |
রাহুলের আবার টিভি বক্সে অভিজ্ঞতা বলতে ’৯৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে লর্ডসে পনেরো মিনিটের বিশেষজ্ঞের মতামত। সারা দিন মাঠে বসে বল-বাই-বল কমেন্ট্রি, যেটাতে তাঁর বন্ধু অভ্যস্ত হয়ে গেছেন, সেটা কখনও করেননি। অবসর নেওয়া এই রাহুলের ভয়ও রয়েছে, একবার টিভি বক্সে বসতে শুরু করলে টানা ছুটে বেড়াতে হবে। বুধবার বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে আনন্দবাজারকে রাহুল বললেন, “যদি সর্বত্র টিমের সঙ্গে ছুটেই বেড়াই তা হলে আর রিটায়ার করলাম কেন? এই তো সবে খেলা ছাড়লাম। এখনই যদি দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিতে হয় তা হলে তো অবসর যে নিয়েছি সেটাই বুঝতে পারব না।” একই সঙ্গে তিনি স্বীকার করছেন ইংল্যান্ড সিরিজে ধারাভাষ্য দিতে পারেন। ইএসপিএন তাঁর ব্যাপারে খুব উৎসাহী। তবে ওয়ান ডে সিরিজের কমেন্ট্রি কিছুতেই করবেন না। একান্তই যদি করতে হয়, চারটে টেস্ট ম্যাচ করবেন। আমদাবাদ, মুম্বই, কলকাতা আর নাগপুর।
সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের সঙ্গে জড়িত কেউ কেউ অবশ্য ধরেই নিচ্ছেন ব্যাপারটা হয়ে গেছে। সচিনরা মাঠে খেলছেন। সেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আর মাইক্রোফোন হাতে সৌরভ-রাহুল একসঙ্গে। তাঁদের মতে মাঠ আর মাঠের বাইরে দুটোই তখন মিডিয়ার সমান উপাদেয় হবে। |