|
|
|
|
খড়্গপুর পুরসভা নিয়ে জট |
তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ডিএমকে নালিশ কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুরপ্রধান পদে না থেকেও সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন তৃণমূলের জহরলাল পাল এই অভিযোগ নিয়ে জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তর দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। খড়্গপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর রবিশঙ্কর পাণ্ডের নেতৃত্বে দলের ৬ জন কাউন্সিলর সোমবার দুপুরে মেদিনীপুরে এসে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। সঙ্গে ছিলেন নির্দল কাউন্সিলর সত্যদেও শর্মা। তিনি আগে থেকেই কংগ্রেস শিবিরে আছেন। জেলাশাসক জানান, খড়্গপুর পুরসভার বিষয়টি পুর-দফতর দেখছে।
রবিশঙ্করবাবু বলেন, “সোমবার খড়্গপুরে অনাস্থা ভোট হয়েছে। ওই ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর আমাদের পাশেই ছিলেন। ফলে, পুরপ্রধান পদে আর জহরলাল পাল থাকতে পারেন না। উনি অপসারিত হয়েছেন। অথচ, মঙ্গলবার পুরসভার গাড়িতেই উনি কলকাতায় গিয়েছেন।” পুরপ্রধানদের নিয়ে রাজ্য স্তরের এক কর্মশালায় যোগ দিতেই কলকাতায় এসেছিলেন জহরলালবাবুর। তাঁর দাবি, “আমি এখনও পুরপ্রধান পদে রয়েছি। সোমবারের সভাটাই তো অবৈধ। ওই সভা মুলতুবি রাখার জন্য আমরা ইও’র (এক্সিকিউটিভ অফিসার) কাছে আবেদনও জানিয়েছিলাম।” |
|
স্মারকলিপি দিতে যাচ্ছেন কংগ্রেস কাউন্সিলররা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
কংগ্রেসের আনা অনাস্থার প্রেক্ষিতে সোমবার পুরসভায় বোর্ড মিটিং হয়। মিটিংয়ের শুরুতে হয় সভাপতি নির্বাচন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলীয় কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন মণ্ডলের নাম সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সভাপতি হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয় উপ-পুরপ্রধান তুষার চৌধুরীর। সভাকক্ষে উপস্থিত ৩১ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৬ জন কংগ্রেসের প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। কংগ্রেসের কাউন্সিলর ১৫ জন হলেও বিজেপি’র একমাত্র কাউন্সিলর বেলারানি অধিকারী কংগ্রেসের প্রস্তাবকে সমর্থন করেন। উল্টো দিকে ছিলেন ১৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। এরপরই অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। তবে পরিস্থিতি দেখে কৌশলে ভোটাভুটি এড়িয়ে যায় তৃণমূল। দলীয় কাউন্সিলররা একযোগে সভাকক্ষ ত্যাগ করেন। তৃণমূলের বক্তব্য, আইন ও নিয়ম বহির্ভুত ভাবে সভাপতি নির্বাচন হয়েছে। পুরপ্রধানের পরিবর্তে উপপুরপ্রধানই সভাপতি হন। সভা পরিচালনা করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি।
এ নিয়ে ইও’র রিপোর্ট জেলাশাসকের কাছে জমা পড়েছে। জেলাশাসক রিপোর্ট পাঠিয়েছেন পুর-দফতরে। এরপর দফতর থেকে যে নির্দেশ আসবে, সেই মতো পদক্ষেপ হবে। নিয়মানুযায়ী, অনাস্থা পাশ হলে ১৫ দিনের মধ্যে পুরপ্রধান নির্বাচনের বৈঠক হবে। তখন যদি পুরপ্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরের সমর্থন না পান, তখনই নতুন পুরবোর্ড তৈরি হবে। আর এই সময়ের মধ্যে পুরসভার কাজকর্ম দেখভাল করবেন উপপুরপ্রধান। |
|
|
|
|
|