|
|
|
|
পশ্চিমে স্কুল নির্বাচনে জয়জয়কার তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একের পর এক স্কুল নির্বাচনে জয়ী হল তৃণমূল। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে একগুচ্ছ স্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে ২৭টি স্কুলের ফল প্রকাশিত হয়েছে। ২৭টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কোথাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এসেছে আবার কোথাও বিরোধীরা প্রার্থী দিলেও বিপুল ভাবে জয় এসেছে তৃণমূলের। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “দীর্ঘদিন মানুষ সিপিএমের সন্ত্রাস দেখেছে। তাই কেউ আর সিপিএমকে চাইছে না। জেলাতে আমাদের সংগঠনও মজবুত হচ্ছে। তাই এই সাফল্য।”
পিংলার ৩টি স্কুলে জয় পেয়েছে তৃণমূল। সেগুলি হল ধনেশ্বরপুর রাখালচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়, কালন্দিনী ইন্দ্রনারায়ণ ইন্সটিটিউট, ও পিংলা কে কে ইনস্টিটিউট। গড়বেতার কাদড়া হাইস্কুল, রাজবাঁধ হাইস্কুল ও গড়বেতা গার্লস হাইস্কুলেও জয় পেয়েছে তৃণমূল। দাসপুরের রসিকগঞ্জ হাইস্কুল, বাসুদেবপুর হাইস্কুল থেকে ডেবরা, কেশপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ একাধিক জায়গাতেই অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জয় এসেছে তৃণমূলের। সব জায়গায় অবশ্য বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। আবার কোথাও কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, কোথাও ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টি, সিপিএমও লড়াইয়ে নেমেছিল। তবে কোনও বিরোধী দলই সাফল্য পায়নি।
ঝাড়গ্রাম মহকুমার স্কুলগুলির নির্বাচনেও তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যহত। রবিবার বেলপাহাড়ি ব্লকের শিমুলপাল অঞ্চলের বালিচুয়া বিদ্যাপীঠের অভিভাবক প্রতিনিধির সবক’টি আসনে জয়ী হয়ে পরিচালন কমিটির ক্ষমতা দখল করেছেন তৃণমূলপন্থীরা। ব্লকের সন্দাপাড়া অঞ্চলের মুড়ারি এসসি হাইস্কুলেরও সবক’টি আসনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলপন্থীরা। বেলপাহাড়ির হাড়দা অঞ্চলের ডমশোল হাইস্কুলের ৬ টি আসনের সব ক’টিতেই তৃণমূলপন্থীরা জয়ী হয়েছেন। রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের ৬টি আসনের সব ক’টিতেই তৃণমূলপন্থী জোটের প্রার্থীরা জয়ী হন। শহরের ননীবালা বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির ৬টি অভিভাবক প্রতিনিধি আসনের সব গুলিতে তৃণমূলপন্থীরা জয়ী হন। গত ৯ বছর ধরে ননীবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখলে রেখেছিল বামপন্থীরা। রবিবার নয়াগ্রামের বালিগেড়িয়া বালিকা বিদ্যাপীঠের পরিচালন কমিটির ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূলপন্থীরা। ৬টি আসনেই পরাজিত হন বামপন্থী প্রার্থীরা। গত তিন দশক যাবৎ এই স্কুলের পরিচালন কমিটি বামপন্থীদের দখলে ছিল।
রবিবার জামবনির ধড়সার লক্ষ্মীপাল হাইস্কুলের সব ক’টি আসনে জয়ী হন তৃণমূলপন্থীরা। তবে প্রদত্ত ব্যালটপত্রের সংখ্যার গরমিলের জেরে রবিবার জামবনির বাহিরগ্রাম কুঞ্জবিহারী হাইস্কুলের ভোটগণনা স্থগিত রাখা হয়। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
দাসপুরে জয়ী বামেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত দাসপুরের দু’টি স্কুলে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধির নিবার্চনে সিপিএম মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হলেন। রবিবার স্থানীয় লক্ষ্মীকুণ্ডু ও জোতভগবান হাইস্কুলে পরিচালন কমিটির ওই ভোট হয়। আগে লক্ষ্মীকুণ্ডু স্কুলে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। তবে, জোতভগবান স্কুলে সিপিএমই ক্ষমতায় ছিল। দাসপুরে স্কুলভোটের এই ফলে কপালে ভাঁজ পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। প্রকাশ্যে অবশ্য এই নিয়ে মুখ খুলছেন না তাঁরা। তৃণমূল নেতা তপন দত্ত বলেন, “ভোটে জয়-পরাজয় তো থাকবেই। তবে এতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না।” সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুনীল অধিকারী বলেন, “মানুষ এ বার তৃণমূলের আসল চরিত্র বুঝতে পারছেন। তাই ফের সিপিএমের প্রতি আস্থা রেখে আমাদের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন।” অন্য দিকে এ দিনই দাসপুরের রসিকগঞ্জ এবং বাসুদেবপুর স্কুলে তৃণমূল মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। |
|
|
|
|
|