|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
রোয়াকের ভাষা বদল কেন |
ডি-লা-গ্র্যান্ডি মেফিস্টোফিলিস! বলিলেই মনে পড়ে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি পটলডাঙার টেনিদার কথা। বাংলা সাহিত্যের এই অতি জনপ্রিয় দাদার গল্পগুলি একদা ছড়াইয়া-ছিটাইয়া ছিল। কিন্তু সুখের কথা, বেশ কয় বৎসর হইল সে সকল একত্রে সুলভ টেনিদা সমগ্র-এ (সংকলন ও সম্পাদনা প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়, আনন্দ)। কিন্তু সুমুদ্রিত এই সমগ্র কতটা নির্ভরযোগ্য? সে প্রসঙ্গে কিঞ্চিৎ সংশয় জাগিতেছে। কারণ প্রথম সংস্করণ প্রকাশের পরে ষোড়শ বৎসর কাটিয়া গেল, ইহার উধাও অংশগুলি ফিরিল না। যেমন, ‘ঢাউস’ গল্পে ‘একদিন রামধন ধোপা কাপড় নিতে এসেছে আর পিসিমা ফুচুদাকে কাপড়ের হিসেব লিখতে বলেছে।’ বাক্যটিই নাই। ফলে গল্পের পরবর্তী অংশ একটু খাপছাড়া হইয়া পড়িয়াছে। তাহার পরে, ওই একই গল্পে উত্তর কলিকাতার রোয়াকের ভাষা পাল্টাইয়া গিয়াছে সমগ্র-পাঠে। যেমন ‘আটা’ হইয়াছে ‘আঠা’। বাক্যটি হইল, ‘হাবুল সেন বসে বসে বেলের আটা দিয়ে একমনে একটা ছেঁড়া ঘুড়িতে পট্টি লাগাচ্ছিল।’ সম্পাদক জানাইয়াছেন, ‘টেনিদাকে নিয়ে লেখা যে সমূহ গল্প-উপন্যাস-নাটক এই সংগ্রহে অন্তর্ভুক্ত হল, পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে রচনাকাল-অনুসারে সেগুলিকে সাজানো গেল না।’ তাহা না যাউক, অন্তত প্রথম, নিদেনপক্ষে লেখকের জীবনকালে প্রকাশিত সংস্করণের সাক্ষ্যে পাঠ আরও নির্ভরযোগ্য করিয়া তোলা উচিত। প্রসঙ্গত, ‘ঢাউস’ গল্পটির মূল পাঠ পাইয়াছি শারদ সংকলন ‘নবপত্রিকা’য় (প্রথম প্রকাশ আশ্বিন ১৩৬৪)। |
|
|
|
|
|