পেরিয়েছে সময়
শুধুই ভিত
দিনে দিনে কাজ বেড়েছে। কিন্তু অভাব হচ্ছে কাজের জায়গার। তাই সমস্যা মেটাতে অ্যানেক্স বিল্ডিং-এর পিছনে ‘অ্যানেক্স-ওয়ান’ বিল্ডিং তৈরির কাজে হাত দিয়েছিল হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষ। দশতলার এই বাড়িটির জন্য আপাতত জি-প্লাস-ওয়ান তৈরির জন্য কলকাতা আর্বান সার্ভিসেস ফর দ্য পুওর (কেইউএসপি)-র টাকায় কাজ শুরু হয়েছিল। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১১-র অগস্টের মধ্যে। কিন্তু তার পরে বছর গড়িয়ে গেলেও কাজ শেষ হয়নি।
কেন? পুর চেয়ারম্যান স্বপ্না ভট্টাচার্য এবং পুর-কমিশনার নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘আমরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। মেয়র এবং ওঁর দায়িত্বে থাকা প্রজেক্ট বিভাগের লোকেরাই বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন।”
প্রজেক্ট বিভাগের বক্তব্য, অর্থাভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। তবে বিরোধী দলনেতা তৃণমূল কংগ্রেসের অরুণ রায়চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘‘পরিকল্পনাহীন ভাবে কাজ চলছে। সবার সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই নতুন নতুন প্রকল্পে হাত দিচ্ছেন মেয়র। ফলে টাকাগুলো জলে যাচ্ছে।’’
ছবি: রণজিৎ নন্দী
এ বিষয়ে মেয়র মমতা জয়সোয়াল বলেন, ‘‘বর্তমান অ্যানেক্স বিল্ডিংটি ১৯৮৩-তে তৈরি হয়েছিল। দিনে দিনে কাজের চাপ বেড়েছে। ভবিষ্যতে কর্মীর সংখ্যাও বাড়বে। লাইসেন্স, স্বাস্থ্য প্রভৃতি দফতরের স্থানাভাব হচ্ছে। নতুন ভবন তৈরি করে দফতরগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’’
পুর প্রজেক্ট বিভাগ-সূত্রে খবর: অ্যানেক্স ওয়ান বিল্ডিং তৈরি অনুমোদনের পরে ২০১০-এর সেপ্টেম্বরে টেন্ডার ডাকা হয়। নভেম্বরে কাজ শুরু হয়। বেসু-র সিভিল বিভাগ নকশা প্রস্তুত করে। ঠিক হয়, ১৯৬টি পাইলের ওপর দশতলা ভবনটি গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি ফ্লোর হবে আট হাজার বর্গফুটের। গ্রাউন্ড ফ্লোরের পুরোটাই পার্কিং-এর জন্য রাখা হবে, ঠিক হয় তাও। কেইউএসপি-র বরাদ্দ টাকায় আপাতত জি-প্লাস ওয়ান ভবন তৈরি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১১-র অগস্টের মধ্যে। কিন্তু তা হয়নি। শুধু ভিতের কাজ শেষ হয়ে পড়ে রয়েছে। এখন কাজও বন্ধ। কেন কাজ বন্ধ তার সদুত্তর পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে নেই।
এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, “দশতলা ভবনটির জন্য ১৪ কোটি টাকা খরচ হবে। আপাতত জি-প্লাস ওয়ান তৈরি করতে কেইউএসপি ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফান্ডের জন্য ২০১০-এর মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ আবেদন করা হয়েছিল। কেইউএসপি ১ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা অনুমোদন করে। বাকি টাকা পুরসভাকে দিতে হবে। যে টাকা পাওয়া গিয়েছিল, সেই টাকায় কাজ হয়েছে। অন্য কোথাও থেকে টাকা পাওয়া যায় কি না সেই বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে।”




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.