হাসপাতালে কমিশনের প্রতিনিধিরা |
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বহরমপুর মানসিক হাসপাতাল সরজমিনে পরিদর্শন করলেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের অতিরিক্ত ডিরেক্টার জেনারেল কেপিপি রাও। হাসপাতাল ভবনের অবস্থা, রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবার মান ও রোগীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাপনা কেমন তা বৃহস্পতিবার খতিয়ে দেখে তিনি বলেন, “রাজ্যের সব কটি মানসিক হাসপাতাল সরজমিনে দেখে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু-দিন ধরে পরিদর্শন করার পর কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।” বহরমপুর মানসিক হাসপাতালের সুপার পবিত্রচন্দ্র সরকার বলেন, “ওই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২৯১ জন। তার মধ্যে ১০০ জন সেরে উঠেছেন। তবুও তাঁদের পরিবারের লোকজন ফিরিয়ে নিয়ে যাননি। তাঁরা কেউ ১০ বছর কেউ বা ছ-সাত বছর আগেই সেরে উঠেছেন।” কেন তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি সে ব্যাপারটিও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করা হবে বলে মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি জানান। শতাধিক বছরের প্রাচীন ওই স্যাঁতসেতে ভবনে ভর্তি থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীদের মধ্যে অনেকেই প্রতি শীতে মারা যান। এ নিয়ে এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন এডিজি।
|
শিশু মৃত্যুর জেরে বিক্ষোভ, পথ অবরোধ |
শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহম্মদবাজারের দেউচা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে এলাকার ১১ জন শিশুকে দেউচা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাদের প্রয়োজন মতো বিভিন্ন রকমের টীকা দেওয়া হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, টীকা নেওয়ার পর নেহা খাতুন নামে মাস দু’য়েকের একটি শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরের দিন সকালে তার মৃত্যু হয়। ওই শিশুর বাবা কামাল শেখ, মা অঞ্জুমা বিবি-র অভিযোগ, “আমাদের আশঙ্কা যাঁরা টীকা দিয়েছেন তাঁদের ঠিক মতো প্রশিক্ষণ নেই।” উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে এ দিন সকাল থেকে দেউচা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরে বিক্ষোভকারীরা মোরগ্রাম-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কও অবরোধ করেন। পরে প্রশাসন ও মহম্মদবাজারের বিএমওএইচ-এর হস্তক্ষেপে ওই বাসিন্দারা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন। বিএমওএইচ প্রসূন গোস্বামী বলেন, “ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই শিশুর মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে না।”
|
কলকাতার সব ওয়ার্ডের ভূগর্ভস্থ ও নলকূপের জলে আর্সেনিক আছে কি না তা পরীক্ষা করবে পুর-প্রশাসন। সদ্য গঠিত আর্সেনিক টাস্কফোর্স বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেয়। মেয়র পারিষদ (নলকূপ) তারক সিংহ বলেন, “শহরে পুর-অনুমোদিত সব নলকূপের জল পরীক্ষা হবে।” তিনি জানান, পুর এলাকায় গভীর নলকূপের সংখ্যা ৪৫০ ও হস্তচালিত সংখ্যা ৮,৯০০ টি। এত দিন পুরসভা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও রাজ্য জল অনুসন্ধান দফতরের কেন্দ্রে পরীক্ষা হত। এ বার যাদবপুর, শিবপুর, প্রেসিডেন্সি ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর-সহ ১৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। অনুমোদন ছাড়া বেসরকারি ভাবে যাঁরা গভীর নলকূপ বসিয়েছেন, তাঁরাও ২৫০ টাকা ফি দিয়ে জল পরীক্ষা করাতে পারবেন।
|
জ্বরে আক্রান্তদের রক্ত পরীক্ষার জন্য ১২টি ক্যাম্প চালু করছে পুরসভা। সেখানে বিনামূল্যে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া নির্ণয়ের রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি আক্রান্তদের বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হবে। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, আজ, শুক্রবার থেকে ক্যাম্প চালু হবে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, “শহরে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। ডেঙ্গিতে আক্রান্তের খবর পেলেই পুর-স্বাস্থ্য দফতরে জানান। এখনও পর্যন্ত শহরে ১৮১ জনের রক্তে নিশ্চিত ভাবে ডেঙ্গির জীবাণু পাওয়া গিয়েছে।” |