|
|
|
|
মনোহরপুরে দুর্ঘটনার জের |
অটো আটকে বিক্ষোভ ঘাটালে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
অটোতে পাঁচ জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে নাএই দাবিতে ঘাটালের মনোহরপুরে অবরোধ করলেন এলাকাবাসী। এক অটো চালককে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এর জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অটো চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ঘাটাল-রানিচক রুটে। দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন।
বুধবার দুপুরে মনোহরপুরেই অটো উল্টে মৃত্যু হয় এক যাত্রীর। আহত হন ১১ জন। ৪ জনের জায়গায় ১২ জন যাত্রী তোলার কারণেই অটোটি উল্টে গিয়েছিল বলে খবর। এ দিন তাই পাঁচ জনের বেশি যাত্রী নিয়ে অটো চালানো যাবে নাএই দাবিতে মনোহরপুরের ভিডিও হলের কাছে অবরোধ করেন এলাকার মানুষ। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান জয়দেব দোলই বলেন, “সরকার নিয়ম করেছে চার জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না। অথচ, প্রতিটি অটোতেই ১২-১৫ জন যাত্রী তোলা হয়। বিষয়টি বোঝাতে এলাকাবাসী অটো মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায়। কিন্তু অটো মালিক বা অটো চালকরা তা শুনতে চাননি। এই নিয়েই সামান্য গণ্ডগোল হয়।” অটো চালকদের অভিযোগ, অবরোধের নামে কিছু লোক চালকদের ধরে মারধর শুরু করেন। ভক্তি চানক নামে এক অটো চালক আহতও হয়েছেন। ঘাটাল-রানিচক অটো মালিক সংগঠনের সভাপতি আবদুল আজিদের অভিযোগ, “বৈঠকে বসার জন্য হুমকি দেয় ওরা। তাই অটো চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিই আমরা।”
এই রুটে ২৫টির বেশি অটো-ট্রেকার চলাচল করে। একটি বাস ছাড়া যাতায়াতের মাধ্যম বলতে শুধু অটো। আচমকা অটো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাই সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়া, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবীরা। ঘাটাল থানার শ্রীপুরের স্কুল ছাত্র সঞ্জয় ঘোষ, ব্যবসায়ী নয়ন রায়, মনোহরপুরের বাসিন্দা গৌতম খামরুই, মৌমিতা ঘোষালেরা বলেন, “অটোই এখানে একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম। অটো চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুব সমস্যা হয় এ দিন।” ঘাটালের মহকুমাশাসক অংশুমান অধিকারী বলেন, “মনোহরপুরে একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। কিন্তু পুলিশ ফিরে আসার পর ফের শুরু হয় গণ্ডগোল। প্রশাসনের তরফে অনুরোধ করা হলেও ভয়ে অটো মালিকরা আর অটো চালাননি।”
ঘাটাল থানার ওসি বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকার মানুষ এবং অটো মালিকদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। অটোতে ৪ জনের বেশি যাত্রী তোলায় বারণ করে দেওয়া হবে বৈঠকে। এই প্রেক্ষিতে অটো মালিক সংগঠনের পক্ষে শেখ হানিফ মহম্মদ বলেন, “সরকারি নিয়ম মানতে আমরা বাধ্য। কিন্তু তা হলে ভাড়া বাড়ানোর জন্য প্রশাসনকেও চিন্তাভাবনা করতে হবে।” |
|
|
|
|
|