তৃণমূল কার্যালয়ে বোমাবাজির অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
ঘটনার তদন্তে পুলিশ। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত। |
তৃণমূলের কার্যালয়ে বোমাবাজি ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে দুবরাজপুরের তরুলিয়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, এ দিন বিকালে তরুলিয়া মোড়ে একটি মিছিল ও পথসভা করে সিপিএম। সভা থেকে ফেরার পথে সিপিএমের কিছু লোক আচমকা তরুলিয়ায় তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায়, তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। সিপিএমের লোকজন দু’টি বোমা ফাটায় এবং অফিসের ভিতরে থাকা একটি টিভি ও ঘড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় বলেও স্থানীয় তৃণমূলের অভিযোগ। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “দিন কয়েক আগে তরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে সিপিএমপ্রার্থী দিতে পারেনি। সেটার দায় ওরা আমাদের উপর ভ্রান্তভাবে চাপিয়ে ছিল। এই আক্রমণ ওই আক্রোশ থেকেই।” সিপিএমের বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অরুণ মিত্রের দাবি ,“ভিত্তিহীন আভিযোগ। এ দিন আমরা মিছিল করেছিলাম ঠিকই, কিন্তু সেটা বিকাল ৫টায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার পরেই সকলে বাড়ি ফিরে যায়। আর ওই ঘটনাটি ঘটেছে সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ। এর থেকেই পরিষ্কার, ওরা নিজেরা নিজেদের অফিসে বোমাবাজি ও ভাঙচুর চালিয়ে সেই দায় আমাদের কাঁধে চাপাচ্ছে। এখন অমাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চাইছে।” |
মন্দিরে চুরি, আইসিকে ‘শো-কজ’
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
এলাকায় পরপর চুরি, অপরাধমূলক কাজকর্মের মাত্রা বাড়তে থাকা ও অপরাধ সংগঠিত হওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার বোলপুর থানার আইসি কমল বৈরাগ্যকে ‘শো-কজ’ করলেন জেলার পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা। তিনি বলেন, “চুরি, ছিনতাই ও অপরাধ বাড়ছে। ঘটনার মুখ্য অপরাধীরা ধরা পড়ছে না। তাই এর কারণ কী তা জানতে চেয়েছি।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে বোলপুর থানার বাহিরী গ্রামে পরপর ৫টি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। কয়েক লক্ষ টাকার সোনা, রুপোর গয়না চুরি গেলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। চুরি যাওয়া সামগ্রীও উদ্ধার হয়নি। মাস খানেক আগেই বোলপুরের প্রফেসর কলোনিতে ডাকাতিতে বাধা দিয়ে খুন হয়েছিলেন এক শিক্ষক। জনতার মারে এক দুষ্কৃতী মারা গেলেও ঘটনায় যুক্ত অন্য অপরাধীরা এখনও অধরা। বোলপুর এলাকায় অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় বাসিন্দাদের একাংশ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও করছেন। সম্প্রতি রামপুরহাট মহকুমাতেও পরপর বেশ কয়েকটি মন্দিরে চুরি হয়েছে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই পুলিশ অপরাধ ঠেকাতে বা অপরাধীদের ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে বোলপুরের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা পুলিশ। বৃহস্পতিবার কমল বৈরাগ্যকে ‘শো-কজ’ করে সে চিত্রই দেখাতে চাইছে পুলিশ-প্রশাসন। অন্য দিকে, আইসি কমল বৈরাগ্য অবশ্য এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |
নানুরে বোমা উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • নানুর |
ফের নানুরের গ্রাম থেকে ৫০০টিরও বেশি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে নানুরের সাঁতরা গ্রামের ঘটনা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সাঁতরা গ্রামের খায়েরপাড়া এলাকার এক কচু খেত থেকে ওই বোমাগুলি উদ্ধার করে। ৯টি প্লাস্টিকের ড্রামে বোমাগুলি রাখা ছিল। প্রসঙ্গত, এর আগেও স্থানীয় সূচপুর, খুজুটি পাড়া, পালুন্ডি-সহ নানুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ প্রচুর বোমা উদ্ধার হয়েছে। স্বভাবতই এ দিনের বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, কারা কী কারণে বোমাগুলি মজুত রেখেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বম্ব ডিসপোসাল স্কোয়াড টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। |
বধূকে পুড়িয়ে মারার নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • খয়রাশোল |
এক বধূকে পুড়িয়ে মারার আভিযোগ উঠল স্বামী-সহ ওই বধূর শ্বশুরবাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে খয়রাশোল থানা এলাকার নওপাড়া গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম ফিরোজা বিবি (৩২)। বাড়ি ওই গ্রামেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে গায়ে আগুন লাগায় মারাত্মক জখম আবস্থায় ওই বধুকে সিউড়ি সদর হসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার ভোর চারটে নাগাদ তিনি মারা যান। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে জখম স্বামী আনিসুর রহমান জখম হয়েছেন দাবি পরিবারের। তিনিও ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যদিও ওই বধূর বাপের বাড়ির দাবি, তাঁদের মেয়ের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এই মর্মে খয়রাশোল থানায় একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে গ্রফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। |
বিদ্যুতের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • আমোদপুর |
বিদ্যুৎ সংযোগের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আমোদপুরের বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ দেখাল সারা বাংলা হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির আমোদপুর শাখা। ওই সংগঠনের জেলা নেতা মানস সিংহ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো সত্ত্বেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হল।” সংশ্লিষ্ট দফতরের স্টেশন ম্যানেজার সমরনাথ দত্ত বলেন, “এ দিন বিক্ষোভকারীরা যে দাবি জানিয়েছেন তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।” |